অর্থনীতি ০৬ – ঠকানো এবং ক্রয়-বিক্রয়
- ঠকানো = একটা সুবিধা অর্জন করতে একটা নিয়ম বা আইন ভেঙ্গে ফেলা। কারও কাছ থেকে কোন কিছু নেওয়ার জন্য মিথ্যা বলা বা নিয়ম ভাঙ্গা।
- কাউকে কোন কিছু পেতে বা রাখতে না দেওয়া, যা সে পাওয়া বা রাখার যোগ্য বা পাওয়ার আশা ছিল। (উৎস: Merriam-Webster Dictionary)
২য় বিবরণ ২৫:১৩-১৬ ঠকাবে না
“তোমাদের থলিতে যেন একই ওজন দেখাবার জন্য দু’টা করে বাট্খারা না থাকে, একটা বেশী ওজনের আর একটা কম ওজনের। তোমাদের বাড়ীতে যেন একই মাপ দেখাবার জন্য দু’টা করে পাত্র না থাকে, একটা বেশী মাপের আর একটা কম মাপের। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের যে দেশ দিতে যাচ্ছেন সেখানে যেন তোমরা অনেক দিন বেঁচে থাকতে পার সেইজন্য তোমাদের ঠিক এবং উচিত মাপের বাট্খারা ও পাত্র রাখতে হবে। এর কারণ হল, যে এই সব করে, অর্থাৎ যে ঠকিয়ে বেড়ায় তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাকে ঘৃণা করেন।”
লেবীয় ১৯:৩৫-৩৬ ঠকাবে না
“বিচারে রায় দিতে অথবা কোন কিছু লম্বায় কিম্বা ওজনে কিম্বা পরিমাণে কতখানি তা মাপতে গিয়ে তোমরা অন্যায় কোরো না। তোমাদের দাঁড়িপাল্লা, বাটখারা এবং অন্যান্য মাপের জিনিস যেন ঠিক হয়। আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর। মিসর দেশ থেকে আমিই তোমাদের বের করে এনেছি। “

যিহিষ্কেল ৪৫:১০-১১ ঠকাবে না
“তোমরা ঠিক দাঁড়িপাল্লা ও অন্যান্য মাপের জিনিস ব্যবহার কর।”
- ‘বাটখারা’, ‘ঐফা’, ‘হিন’ ছিল ইব্রীয়দের পরিমাণের মাপ (২৪ লিটার ও ৪ লিটারের মাপ)।
- ঈশ্বর আদেশ দেন যেন ক্রয়-বিক্রয়ে সততা থাকে (লম্বা, ওজন, পরিমাণের মাপের ক্ষেত্রে)।
- সততা মানে: ১ কেজি বললে, ১ কেজি হতেই হবে।
- সততা মানে: মালের মান, ধরণ, উৎস, বয়স সম্বন্ধে যে তথ্য দেওয়া হয়, সত্যি হতেই হবে।
হিতোপদেশ ১১:১, ১৬:১১
“ঠকামির দাঁড়িপাল্লা সদাপ্রভু ঘৃণা করেন, কিন্তু ন্যায্য বাট্খারাতে তিনি খুশী হন…সঠিক দাঁড়িপাল্লা ও নিক্তি সদাপ্রভুর: থলির সঠিক বাটখারাগুলো তাঁর চোখে ভাল।”
- ক্রয়-বিক্রয়ে সততা থাকলে ঈশ্বর আনন্দ পান, তা তারই কাজ বলা হয়েছে।
- ক্রয়-বিক্রয় মন্দ না, নিষেধও না। সৎভাবে ও ঈশ্বরীয় নীতি অনুসারেও ক্রয়-বিক্রয় করা সম্ভব।
হিতোপদেশ ১১:১, ২০:১০, ২০:২৩
“ঠকামির দাঁড়িপাল্লা সদাপ্রভু ঘৃণা করেন, কিন্তু ন্যায্য বাট্খারাতে তিনি খুশী হন …বেঠিক বাটখারা ও মাপ- এ দু’টাই সদাপ্রভু ঘৃণা করেন। … সদাপ্রভু বেঠিক বাটখারা ঘৃণা করেন; ঠকামির দাঁড়িপাল্লা ভাল নয়।”
মীখা ৬:১০-১২
“দুষ্ট লোকদের ঘরে অসৎ উপায়ে পাওয়া ধন-সম্পদ ও ঠকাবার মাপের টুকরি আছে যা আমি ঘৃণা করি। যে লোকের কাছে ঠকাবার দাঁড়িপাল্লা ও ওজনে কম বাট্খারা আছে তাকে কি আমি নির্দোষ বলে মনে করব? তোমাদের ধনী লোকেরা অত্যাচারী, তোমরা মিথ্যাবাদী এবং তোমাদের মুখ ছলনার কথা বলে ।”
- অসৎ ত্রয়-বিক্রয়ের বিষয়ে ঈশ্বর খুব শক্তিশালী শব্দ ব্যবহার করেছেন: জঘন্য, মন্দ, ঘৃণিত, কুৎসিত, এমন কি অভিশপ্ত (ইংরেজি অনুবাদে abominable, abhorrent, accursed)।
- এমন কিছু যা আমরা এত স্বাভাবিক, নর্মাল, প্রচলিত বা সামান্য ব্যাপার মনে করি; ঈশ্বর কেন এত জোরালো উক্তি ব্যবহার করেন?
- ২য় বিবরণ ২৫:১৫ পদে সৎ ক্রয়-বিক্রয় এবং দেশের স্থিরতা বা দীর্ঘ আয়ু যুক্ত করা হয়। বিপরীতও বলা যায়: অসৎ ক্রয়-বিক্রয় দেশকে অস্থির করবে ও আয়ু কমাবে।
কেন ঈশ্বর ঠকানো নিষেধ করেন? কেন তাঁর চোখে তা ‘বড় ব্যাপার’? ঠকানো কিভাবে ক্ষতিকারক?

- বিরক্তি, রাগ, হতাশা, অবিশ্বাস, পরিকল্পনার নিষ্ফলতা… যেমন চুরির বিষয়ে, যদিও একটু কম।
- ঈশ্বর চান না, যে আমাকে ঠকানোর মধ্যে দিয়ে দৈনিক এই ধরণের বিরক্ত, হতাশা, অবিশ্বাস সহ্য করতে হয়।
- আমাকে ঠকানো হলে আমার উদ্দেশ্য পূর্ণ হয় না, প্রচেষ্টা নিষ্ফল হয়, সেটা ঠিক করতে গেলে আরও অনেক সময় ও বল-শক্তি লাগে।
- ঠকানোর কারণে ঝামেলা, জটিলতা, বিরক্তি আসে – যে ঠকায় তার লাভের চেয়ে আমার লোকসান অনেক বেশী।
- ঠকানো = কোন কিছুর উপর নির্ভর করা যায় না > সফল পরিকল্পনা করা যায় না > কার্যকারী ভাবে কাজ করা যায় না।
- ঠকানো = সময়, চিন্তা, শক্তি ও সম্পদের অপচয়।
- ঠকানো = কথা না রাখা, মিথ্যা বলা, মৌখিক চুক্তি রক্ষা না করা, নির্ভরযোগ্যতা নেই, ভুল তথ্য দেওয়া।
- ঠকানো প্রতিরোধ করতে অনেক জ্ঞান দরকার, জ্ঞানী লোক সাথে না থাকলে ঠকে যাব।
- যারা গরীব, অশিক্ষিত, সরল, যারা প্রতিরোধ করতে জানে না, তাদের সবচেয়ে বেশী ঠকানো হয়।
- যারা সবচেয়ে দুর্বল তাদের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি, ঠকানো দুর্বলদের উন্নয়ন বা সুযোগের বাধা দেয়।
- মিথ্যা বলা, সন্দেহ, অবিশ্বাস, অসম্মান ও অন্যের অধিকার অমান্য করার একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়
- যেহেতু পরিমাণ ছোট (‘মাত্র দশ টাকা’), ঠকানো আইনের অধীনে আনা যায় না কারণ মামলা চালানোর খরচ তুলনায় অনেক বেশী।
- তাই তা আইনগত ভাবে বিচারে আনা যায় না, যদিও ঠকানো অবশ্যই পাপ ও অনৈতিক। হয়তো এর জন্য ঈশ্বর এত জোরালো উক্তি ব্যবহার করেন: তা নির্মূল করতে চান যেহেতু বিচার পদ্ধতি এইগুলি সামলাতে পারে না।
উদাহরণ
- ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক হিসাবে ঔষধ কেনা: যে ওষুধের কোম্পানি ঔষধের পরিমাণ, দাম, মান, ডেলিভারির তারিখ নিয়ে উল্টাপাল্টা করে > সময়, টাকা, বল-শক্তি নষ্ট করে > অকার্যকারিতা তৈরী।
- কিন্তু এমন কোম্পানি যারা মৌখিক চুক্তি রক্ষা করে (কত ওষুধ, কত দামে ধরা, মান, সঠিক তারিখে ডেলিভারি), তাদের সাথে লক্ষ টাকার ওষুধের ডেলিভারির লেনদেন > তাড়াতাড়ি, কার্যকারী।
যদি ক্রয়-বিক্রয়ে সততা থাকে
- কার্যকারী খরচে, অল্প সময় ও শ্রম দিয়ে বড় পরিমাণের ক্রয়-বিক্রয়।
- নির্ভরতা ও বিশ্বাস বাড়বে, দীর্ঘদিনের জন্য সুসম্পর্ক হবে, আরও বেশি বিনিয়োগ হবে, সুযোগ আরও বাড়বে।
বড় ধরণের বেচাকেনা
যা একটি ছোট ব্যবসার জন্য ঠিক, তা বড় আন্তর্জাতিক বেচাকেনার জন্যও ঠিক:
- চুক্তি ভাঙ্গলে বিরক্তি, মালকে অগ্রাহ্য, কার্যকরী হীনতা, সময়মত ডেলিভারি দিতে অক্ষম।
- টাকা, সময়, সম্পদ ও শ্রমের অপচয়।
- উদাহরণ: অনেক বড় পোশাক কেনার কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে আর মাল নেয় না, কারণ তাদের সব সময় মান ও ডেলিভারি তারিখ নিয়ে সমস্যা হয়
- বড় স্কেলে যদি ঠকানো হয় একটি দেশে ‘কেনার লোক বিরক্ত পায়, ক্রয়-বিক্রয়ে আরো টাকা নষ্ট, সময়, টাকা, শ্রম ও দক্ষতার অপচয়।
- কম কার্যকারী > বেশী দাম > কম বিনিয়োগ > কম উৎপাদন > কম দক্ষতা > কম উন্নয়ন।


ঠকানোর ক্রমবৃদ্ধি প্রভাব
- ছোট ছোট প্রতারণা বা ঠকানো অথবা ঘুষ নেওয়া ঘটলে আমরা মনে করি: এত ছোট ব্যাপার দেশকে ক্ষতি করতে সমর্থ নয়। কিন্তু যদি ঠকানো হয়, যদি চিন্তা করা হয় যে ‘বড় কোন বিষয় নয়’, তবে ঠকানো অনেক বেড়ে যায়। প্রত্যেকেই তা করবে > ক্রমবর্ধমান প্রভাব একটা দেশের অর্থনীতির গলা চেপে ধরে এবং পক্ষাঘাতের মত অবস্থা তৈরী করবে।
- উদাহরণ: ট্রাক ঢাকা যেতে ব্রীজের টোল আদায়।
- ঠকানোর ফলে হতাশা, অকার্যকরীটা, অপচয় হয়। তার জন্য ঈশ্বর ঠকানোকে চরমভাবে ঘৃণা করেন
- আমাদেরও ঠকানোকে ঘৃণা করা উচিত। কখনই ঠকানোতে বিজয়ী বা স্মার্ট ভাববেন না।
ঠকানোতে অন্য পাপের সম্পর্ক
লেবীয় ১৯:১১ ঠকানো <=> চুক্তি রক্ষা না করা, মিথ্যা বলা
“চুরি করা চলবে না, কাউকে ঠকানো চলবে না, মিথ্যা কথা বলা চলবে না।”
যিরমিয় ৬: ১৩, ৮:১০ ঠকানো <=> ক্ষমতার বা পদের ভুল ব্যবহার
“ছোট থেকে বড় পর্যন্ত সবাই লাভের জন্য লোভ করে; এমন কি, নবী ও পুরোহিত সবাই ছলনা করে।”
আমোষ ৮:৫-৬ ঠকানো <=> গরীবদের ক্ষতি করা
“তোমরা বলছ, “কখন অমাবস্যা চলে যাবে যাতে আমরা শস্য বিক্রি করতে পারি? কখন বিশ্রাম দিন শেষ হবে যাতে আমরা বাজারে গম বেচতে পারি? আমরা মাপের টুকরি ছোট করব, দাম বাড়াব, ঠকামির দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করব, রূপা দিয়ে গরীবকে এবং এক জোড়া জুতা দিয়ে অভাবীকে কিনে নেব আর ঝাড়ু দিয়ে ফেলে দেওয়া গম তাদের কাছে বিক্রি করব।” (মান বা গুণের বিষয়ে ঠকানো)
হোশেয় ১২:৭ ঠকানো <=> অন্যায্যতা, অত্যাচার
“সদাপ্রভু বলছেন, “ব্যবসায়ী ইফ্রয়িম ঠকামির দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করে; সে জোরজুলুম করতে ভালবাসে।”
মীখা ৬: ১০-১২ ঠকানো <=> অন্যায্যতায় উপার্জন, অন্যায্যতা , জুলুম
“দুষ্ট লোকদের ঘরে অসৎ উপায়ে পাওয়া ধন-সম্পদ ও ঠকাবার মাপের টুকরি আছে যা আমি ঘৃণা করি।যে লোকের কাছে ঠকাবার দাঁড়িপাল্লা ও ওজনে কম বাট্খারা আছে তাকে কি আমি নির্দোষ বলে মনে করব? তোমাদের ধনী লোকেরা অত্যাচারী, তোমরা মিথ্যাবাদী এবং তোমাদের মুখ ছলনার কথা বলে।”

উদাহরণ
- ভেজাল খাবার বা ওষুধ বিক্রয় যা বিশেষ করে ছেলেমেয়ে এবং রোগীদের ক্ষতি করে।
- ওয়ারেন্টটিতে লেখা কথা রক্ষা না করা কাস্টমার সার্ভিস যার বাস্তবে কোন অস্তিত্বই নেই।
- বাংলাদেশে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস বা কেনা ডিগ্রী > শেষে ডিগ্রী আছে কিন্তু মূল্য নেই।
ব্যবসায় অসততা ঘুষের মত একই প্রভাব ফেলে
- একটু অল্প লাভ – অল্প লোকের জন্য – অল্প সময়ের জন্য
- বড় ক্ষতি – অনেক লোকের জন্য – দীর্ঘ সময়ের জন্য
সততার সাথে অন্যান্য আশীর্বাদের সম্পর্ক
লেবীয় ২৫:১৪, ১৭ ব্যবসার ক্ষেত্রে সততা <=> শান্তিপূর্ণ ভাবে একসাথে বসবাস
“তোমরা নিজেদের মধ্যে জমি কেনা-বেচা করবার সময়ে কারও উপর অন্যায় কোরো না; তোমরা কেউ কারও উপর অন্যায় কোরো না। তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের ঈশ্বরকে ভয় করে চল, কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।”
ঈশ্বরের সঠিক ও উঁচু মানদণ্ড
লেবীয় ৬:৩, ৫ খুঁজে পাওয়া জিনিস নিয়ে ঠকানো বা প্রতারণা
“কারও হারানো জিনিস পেয়েও মিথ্যা কথা বলা বা মিথ্যা শপথ করা … হারানো জিনিস যা সে পেয়েছে বা যে জিনিসের বিষয়ে সে মিথ্যা শপথ করেছে তা তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। তাকে পুরোপুরি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং তার সংগে সেই জিনিসের দামের পাঁচ ভাগের এক ভাগ দামও বেশী দিতে হবে। দোষ-উৎসর্গের দিনে সে জিনিসের মালিককে তা দেবে।”
- এটা সঠিক মানদণ্ড: সৎ থাকা এমনকি কারও হারানো জিনিষ পাওয়ার ক্ষেত্রেও।
মালাখি ১:১৪ ঈশ্বরকে ঠকানো মানে ঈশ্বরকে অসম্মান করা।
“যার পশুপালের মধ্যে রয়েছে উপযুক্ত পুরুষ পশু এবং সে সেটা দেবার জন্য মানতও করেছে কিন্তু তারপর একটা খুঁতযুক্ত পশু সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করেছে, সে তো ঠগ। তার উপর অভিশাপ পড়ুক। আমিই মহান রাজা এবং সমস্ত জাতি আমাকেই ভয় করে।”
বাইবেলে কয়েকজন ঠক ও প্রতারক
- আদি ২৭:৩৫-৩৬ যাকোব এষৌকে ঠকিয়ে তার আশীর্বাদ চুরি করে নেয়।
- আদি ২৯:২৫ লাবন যাকোবকে ঠকায় কনের বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে।
- আদি ৩১:৭,২০,২৬,২৭ লাবন যাকোবের বেতন পরিবর্তন করে ঠকায়।
- আদি ৩৬ যাকোবের ছেলেরা শিখিমের লোকদের প্রতারণা করে হত্যা করে।
- আদি ৩৭:৩১ যাকোবের ছেলেরা বাবার কাছে যোষেফের বিষয়ে প্রতারণা করে।
- যিহোশূয় ৯ গীবিয়োনীয়েরা যিহোশূয়ের সাথে প্রতারণা করে শান্তি চুক্তি করে ।
- ২ শমূয়েল ৩ দায়ূদের সেনাপ্রধান যোয়াব অবনেরকে বন্ধুত্বের ভান করে হত্যা করেন।
- প্রেরিত ৫:১-১১ অননিয় এবং সাফিরা জমির দাম নিয়ে মিথ্যা বলে।
- ঠকানোর সাথে স্বার্থপরতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, কথা না রাখা, মিথ্যা বলা, ছলনা, ঘুষ, আদালতে অবিচার, অত্যাচার বা জুলুম ইত্যাদির সম্পর্ক আছে। ঈশ্বর এই সবগুলি ঘৃণা করেন।
- ঈশ্বর হলেন চুক্তি রক্ষাকারী ঈশ্বর। তিনি সত্যের, নির্ভরতার, ন্যায়ের, সততার, নিরপেক্ষতার, সুবিচারের, শান্তির, স্বার্থহীনতার ও ভালবাসার ঈশ্বর।
- আমাদের তার মত হওয়া দরকার, নির্ভরযোগ্য ও সৎ।