ল্যাণ্ডা কোপের বই ‘পুরাতন নিয়মের মূল নকশা – চারুকলা’-এর উপর ভিত্তি করা হয়েছে

শিল্পের বিভিন্ন ধরণ

          আঁকা                           ডিজাইন                     হস্তশিল্প                গঠন                    স্থাপত্য                       বাস্কর্য              বাগান                  পার্ক

      গান-বাজনা ও শব্দ                     তাল                     ফ্যাশন                শোভাকর                        নাটক                      নড়াচড়া                     মুখাভিনয়          নাচ

         ভারসাম্য                    জিমন্যাস্টিকস্                  সুগন্ধি                        স্বাদ                  হস্তশিল্প           খেলাধূলা               জাগলিং            ঐকতান             নাচ

কিছু ভিত্তিক চিন্তা

উপদেশক ৩:১১ ইংরেজিতে: “He has made everything beautiful in its time.” সাধারণ: “তিনি সব কিছুর জন্য উপযুক্ত সময় ঠিক করে রেখেছেন।” কেরী: “তিনি সকলই যথাকালে মনোহর করিয়াছেন।”
গীত ২৭:৪     “সদাপ্রভুর কাছে আমি একটা অনুরোধ জানাচ্ছি; আমি যা চাইছি তা এই-আমার সারা জীবন আমি যেন সদাপ্রভুর ঘরে বাস করতে পারি, যাতে আমি তাঁর সৌন্দর্য দেখতে পারি আর সেই বাসস্থানে তাঁর বিষয় নিয়ে ধ্যান করতে পারি”

  • ঈশ্বর যত যা সৃষ্টি করেছেন, সব কিছুর সৌন্দর্য আছে। এমন কিছু নেই যাতে রং, আকৃতি, গঠন বা বয়ন না থাকে।
  • ঈশ্বর “ছাইয়ের বদলে সৌন্দর্যের মুকুট” দেবেন (যিশাইয় ৬১:৩)। তিনিই পরমগীত। তিনি কুমার। তিনি সৌন্দর্যের ঈশ্বর। তিনি সুন্দর।
  • সৃষ্টিকর্তার সৃজনশীলতা এবং সৃষ্টিকর্তা নিজেই বিভিন্ন ধরণে শিল্প দ্বারা প্রকাশিত – গান-বাজনা, কথা, রং, আকৃতি, ডিজাইন, ভারসাম্য, নাচ, নড়াচাড়া, তাল, সম্প্রীতি, স্বাদ ইত্যাদি। দায়ূদ বলেন যে, “মহাকাশ ঈশ্বরের মহিমা ঘোষণা করছে … হে সূর্য ও চাঁদ, উজ্জ্বল সব তারা তাঁর প্রশংসা কর” (গীত ১৯:১, ১৪৮:৩) এবং আধুনিক যুগের পদার্থ বৈজ্ঞানিকেরা আছে যারা চিন্তা করে যে, সৌরজগতের গ্রহগুলো এক সমন্বয়ে ও ঐকতানে বাজে।
  • আদি ২:২-৩ পদে ঈশ্বর বিশ্রাম করেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যে, ৬ দিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে এই বিশ্রাম পালন করেন, এমন নয়। কিন্তু তিনি কাজ থেকে বিরতি নেন যেন তাঁর সৃষ্টির সৌন্দর্য ও মঙ্গলময়তা, অর্থাৎ নিজের হাতের কাজের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে আনন্দ করতে পারেন।
  • ঈশ্বরের চিরিত্র ও বৈশিষ্ট সৌন্দর্যে, বিশ্রামে এবং উৎযাপনে প্রকাশিত। শিল্প ও বিনোদন ক্ষেত্রের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য হল শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম বা পুনরুদ্ধার, পুনরায় গঠন এবং নিজের হাতের কাজ নিয়ে আনন্দ করা।
  • সৌন্দর্য আমাদের সাহায্য করে চিন্তামুক্ত হয়ে রিল্যাক্স্ বা বিশ্রাম করা। সৌন্দর্য আমাদের সুস্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। সৌন্দর্য সান্ত্বনা দেয় (একারণেই তো আমরা কবরে ফুল দিয়ে থাকি)।
  • মানুষ আক্ষরিক অর্থে তাল (rhythm) ছাড়া বাঁচতে পারে না, শরীরের বা মনের অনেক কিছু চক্রে বা ধারাবাহিকতায় চলে (বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়া বা পদ্ধতি যেমন হৃদস্পন্দন, শ্বাস-নিশ্বাস, ঘুম ও জেগে থাকা, উত্তেজনা ও শিথিলকরণ ইত্যাদি)। আমরা ঢোল বা বাদ্যযন্ত্রের তাল শুনতে ভালবাসি, নিজেই তাল, শব্দ ও সুর তৈরি করি এবং তাল শুনে এর সাথে নিজের তাল মিলায়।

আমি কি খ্রিষ্টান শিল্পী অথবা একজন শিল্পী যিনি খ্রিষ্টান

  • আধুনিক খ্রিষ্টান শিল্পী প্রায়ই নিজের দান-তালন্ত কি এবং তার উপযুক্ত ব্যবহার কি, এই প্রশ্নগুলো নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে। আমাকে দিয়ে রচিত জিনিসে (গান, কবিতা, ছবি ইত্যাদি) কি সব সময় যীশুর নাম উল্লেখ করা উচিত? আমি সুন্দর কিছু সৃষ্টি করলে কিন্তু তার নাম উল্লেখ করি না, তা কি তারপরেও মূল্যবান? তা কি তারপরেও ঈশ্বরকে গৌরব দেয়? সব সৌন্দর্য কি ঈশ্বরকে গৌরবানিত করে না শুধুমাত্র খ্রিষ্টানদের দ্বারা তৈরি সৌন্দর্য? অবিশ্বাসীদের দান-তালন্ত বা সুন্দর সৃষ্টি কি ঈশ্বরকে গৌরব করতে পারে? বিশ্বাসী শিল্পী কি অবিশ্বাসী শিল্পীদের সাথে কাজ করতে পারে?
  • চমৎকার কিছু দেখে বা শুনে আমরা চিন্তা করি: তা কি বিশ্বাসীদের দ্বারা তৈরী? খ্রিষ্টানদের দ্বারা কি উপস্থাপনা করা হয়েছে? আমরা মনে করি তা (এবং মাত্র তা) সৌন্দর্যকে মূল্যবান বা উপযুক্ত করে তোলে।
  • কিন্তু সৌন্দর্যই ভাল, সয়ং চমৎকার বিষয়। সৌন্দর্য ঈশ্বরের একটি চরিত্র বা বৈশিষ্ট। যদি আমরা সুন্দর কোন বস্তুর গায়ে একটি “যীশু উদ্ধার করেন” স্টিকার লাগাই তবে তা কি ভাল? তা কি দরকার? তা কি আলাদা কিছু বুঝায়? চার্চে অবশ্যই আমাদের বিভিন্ন ধরণের সৌন্দর্যের অভাব নেই (যেমন স্থাপত্য, ছবি, রঙ্গীন কাচের জানালা, গান-বাজনা, ইত্যাদি) কিন্তু গান-বাজনা বা অন্য ধরণের সৌন্দর্য যে মাত্র চার্চের সাথে সংযুক্ত হলেই ঈশ্বরকে গৌরব দেয় বা তাঁকে প্রকাশিত করে, এমন নয়।
  • যে কোন শিল্প, যে কোন দান-তালন্ত (যেমন গান-বাজনা, চারুকলা বা বাদ্যযন্ত্র) ভালদিকে অথবা খারাপ দিকে ব্যবহার করা যায়। ‘শয়তানের বাদ্যযন্ত্র’ বা ‘মন্দ আত্মার তাল’ বলতে কিছু নেই। শয়তান যে. কোন গান-বাজনা, তাল বা বাদ্যযন্ত্রের মালিক, এমন নয়। প্রকৃতপক্ষে শয়তান কোন বস্তুর সৃষ্টিকর্তা নয়, মালিকও নয় (চাঁদ, রংধনু, বাঘ, কাঁঠাল বা তুলসি গাছ হোক), এসব ঈশ্বরের।
  • ঈশ্বরের সৃষ্ট যে কোন কিছু শয়তানের আরাধনায় বা সমর্থনের ভুলভাবে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু তা ঈশ্বরের আরাধনায় অথবা ঈশ্বরকে প্রকাশিত করার জন্যও ব্যবহার করা যায়।
  • আমরা অনেক বার আগের যুগের গান-বাজনা ‘ঈশ্বরীয়’ মনে করি এবং নতুন আধুনিক কোন কিছু সন্দেহের বিষয় অথবা এমন কি মন্দ মনে করি। প্রকৃতপক্ষে এটা আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়, তা ঈশ্বর সম্বন্ধে কিছু বলে না। আমরা লুথারের গানগুলো ভালবাসি, সুরের জন্য এবং চমৎকার বিষয়বস্তু বা আত্মিক শিক্ষার জন্য।
  • আমরা অনেকে জানি না যে, লুথার তার সময়ে মদ-ঘরে প্রচলিত সুর বা বাজনা নিয়ে এর সাথে খ্রিষ্টান শিক্ষা সংযুক্ত করে তার সেই বিখ্যাত গানগুলো রচিত করেছিলেন। তার সময়ে বিশ্বাসীরা কি লুথারের গান গাইতে রাজি ছিল? আমরা জানি না। আমাদের যুগে যদি কেউ আধুনিক গান-বাজনা বা বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে চার্চে নতুন গান উপস্থাপনা করত, তবে আমরা কি আপত্তি উঠাতাম?

বাইবেলে বাজনার ৩টি ব্যবহার

  • বাইবেরে আমরা তিন ক্ষেত্রে গান-বাজনার ব্যবহার দেখি:
    • ঈশ্বরের আরাধনায়
    • জাতীয় বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে
    • প্রেম গান
  • বাইবেলের একটি সম্পূর্ণ পুস্তক হল প্রেমের গান (শলোমনের পরমগীত)।
  • আধুনিক যুগে আমরা ঈশ্বেরের আরাধনার ক্ষেত্রে গান-বাজনা, প্রশংসা ও গীত গুরুত্বের সঙ্গে ও বিস্তারিতভাবে ব্যবহার করি, কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর প্রেম অথবা দেশের প্রেম উৎযাপন করার গুরুত্ব আমরা আর তেমন বুঝি না।
    • যদি আপনি বিভিন্ন দেশের জাতীয় গান দেখেন তবে দেখা যায় যে, ১৯৭০ শতাব্দের আগের রচিত গান ঈশ্বরকে এবং তাঁর আশীর্বাদকে উল্লেখ করে। সেই সময় মানুষ এখনও বুঝত যে, জাতির ইতিহাসে ও রাজনৈতিক জীবনে ঈশ্বরের ভূমিকার গুরুত্ব কত বেশি।
    • আমাদের আধুনিক যুগে অনেক পশ্চিমা দেশে ঈশ্বরের নাম জাতীয় গান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অনেকে বলে তা অবিশ্বাসীদের সংখ্যার হার বাড়ানোর কারণে হয়েছে। হয়তো তার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে যে, বিশ্বাসীরা আর বুঝে না সরকারের ক্ষেত্রে ঈশ্বর কিভাবে প্রকাশিত এবং তিনি একটি দেশের জন্য কি ভূমিকা পালন করেন।
  • বিশ্বাসীদের প্রেমের গান কোথায়? ইন্টার্নেট, রেডিও ও টি.ভি. এমন প্রেমের গান দিয়ে ভরা যা প্রেম ভুলভাবে উপস্থাপনা করে, অধিকাংশ প্রেমের গান কামনার প্রকাশ ছাড়া বেশি কিছু নেই। কিন্তু যখন একজন খ্রিষ্টান একটি সুন্দর গান রচিত করে যেখানে মানুষের মধ্যে প্রেমের সৌন্দর্য বা সন্তান জন্ম নেওয়ার বিষয় উৎযাপন করা হয় তখন আমরা বলি যে, সেই খ্রিষ্টান শিল্পী ‘সেকুলার’ হয়ে গেছে, অর্থাৎ সে ঈশ্বরকে তার গানে গৌরব দেয় না।
  • তবুও বাইবেলের এই সব বিষয় গান-বাজনায় আনা হয় এবং তা দ্বারা ঈশ্বরকে প্রকাশিত করা হয়।
  • গত দু’ই শতাব্দ থেকে আমরা কিছু চমৎকার অপেরা পেয়েছি। অপেরা হল একটি গল্প যা বাজনা দ্বারা উপস্থাপনা করা হয়। প্রকৃতপক্ষে এর অনেক শতাব্দ আগে মোশি একটি গল্প গান-বাজনা হিসাবে উপস্থাপনা করলেন, যার বর্ণনা আমরা দ্বিতীয় বিবরণ ৩২ পাই। দেশের রাজনৈতিক নেতা হিসাবে মোশি একটি জাতির জন্য গান-বাজনার গুরুত্ব গভীরভাবে বুঝতে পেরেছিলেন। একারণে তিনি তার মৃত্যুর আগে একটি গান বা অপেরা রচনা করেছিলেন, যা ঈশ্বরের মৌলিক নীতিগুলো ইস্রায়েল জাতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। গান বা অপেরাটি সহজে মুখস্ত করার পদ্ধতি হিসাবেও কাজ করে: “মোশি আর নূনের ছেলে যিহোশূয় গিয়ে এই গানের সব কথা লোকদের শোনালেন” (দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৪৪)।

শিল্প কোন নীতি দিয়ে চালিত?

  • বিজ্ঞান যেমন ঈশ্বর প্রাকৃতিক নিয়ম দিয়ে চালান, ঠিক তেমনি তিনি শিল্পের ক্ষেত্রেও নিয়ম-নীতি স্থাপন করেছেন। শিল্পের প্রত্যকটি ধরণের জন্য নিজস্ব নিয়ম-নীতি আছে, যেমন নান্দনিকতার নিয়ম বা নন্দনতত্ব, তাল, অসঙ্গতি ও সম্প্রীতি, রঙ্গের পার্থক্য ও মিল, আলো ও অন্ধকার, আকৃতি ইত্যাদি।
  • গান-বাজনা, নাচ, ভাস্কর্য, আঁকা, লেখা হোক, সব শিল্পীরা জানে যে, তার সেই শিল্পের পিছনে কিছু নিয়ম-নীতি আছে যার উপর সব কিছু নির্ভর করে। শিল্পী সেই নীতির আয়ত্বে পেয়ে তার দক্ষতা উন্নত হয়। নীতিগুলো এমনভাবে শিল্পীর দক্ষতার অংশ হয়ে যায় যে, নীতিগুলোর চিন্তা আর না করে তার উপস্থাপনায় অদ্ভুত সৌন্দর্য প্রকাশ পায়।
  • যারা বিশ্বাসী নয়, তারাও ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি এবং এভাবে তারাও সৃষ্টিকর্তার সৃজনশীলতা ও দক্ষতার অংশীদার। কেন তারা সৌন্দর্যকে ভালবাসে, এর উৎস তারা জানে না। তারা তালন্ত-দাতাকে চিনে না কিন্তু তাদের তালন্ত তারপরেও ঈশ্বরকে গৌরব দেয়। তারা ঈশ্বরকে জানে ও স্বীকার করে, অথবা তা নাও করে, তবুও এটা তাদের তালন্ত, উপস্থাপনা বা সৃজনশীলতার উপর কোন প্রভাব ফেলে না। শিল্পী যে হোক না কেন, সৌন্দর্য দেখতে ভালাগে। ঠিক তেমনি আমাদের বলা ঠিক হবে না যে, যিহূদী ভাষা ঈশ্বরেরই ভাষা বলে যিহূদী ভাষা অন্য ভাষার তুলনায় সুন্দর বা ঈশ্বরীয়।
  • সৌন্দর্যের মূল্য আছে, কারণ তা ঈশ্বরের চরিত্র ও বৈশিষ্টের একটি প্রকাশ। তাঁকে সরাসরি স্বীকার করুক বা না করুক, শিল্পী বিশ্বাসী হোক বা না হোক, সৌন্দর্য চমৎকার ও ঈশ্বরীয় বিষয়।

আধা-মনা বা মোটামুটি ধরণের কাজ

  • আগের যুগে বিশ্বাসীরা অত্যন্ত চমৎকার গান-বাজনা রচিত করেছে (যেমন হ্যান্ডেলের “মসীহ”), কিন্তু দুঃখের
  • বিষয় যে আমাদের আধুনিক যুগে বিশ্বাসীদের দ্বারা রচিত গান-বাজনা তেমন ভাল হয় না।
  • হয়তো আমরা চিন্তা করছি যে, ঈশ্বরের নাম যদি উপস্থাপনা করা হয় তবে গান-বাজনাটিই ভাল। যীশুর সুখবর যদি প্রকাশ করে তবে গান-বাজনাটি চমৎকার। যীশুর সুখবর যদি প্রকাশ না করে তবে বাজনাটি ভাল নয়। আঁকাটি বেশি ভাল না হলেও যদি তাতে লেখা থাকে ‘যীশুই প্রভু’ তবে আমরা শিল্পকাজটিকে ভাল বলি।
  • আমরা কি অন্য ক্ষেত্রেও এভাবে বলতাম? ব্রেন অপারেশন লাগলে আমরা কি বলব যে, সার্জেন বিশ্বাসী না হলে সার্জারি করব না? সার্জন বিশ্বাসী হলে তবে তার মেডিকেল জ্ঞান না থাকলেও চলে, আমরা কি তা মনে করি? অবশ্যই আমরা খুশি যদি সার্জন বিশ্বাসী হন কিন্তু তার মেডিকেল জ্ঞান ও দক্ষতা তারপরেও গুরুত্বপূর্ণ!
  • একজন শিল্পীর হৃদয় এবং একজন শিল্পীর দক্ষতা একই বিষয় নয়, যদিও চূড়ান্তভাবে দু’টি বিষয় যীশুর প্রভুত্বের অধীনের। বিশ্বাসী হিসাবে আমাদের জন্য শিল্পীর হৃদয় এবং শিল্পীর তালন্ত বা দ্ক্ষতা উভ্য়ই গুরুত্বপূর্ণ।
  • আমরা সৌন্দর্যকে সৌন্দর্য হিসাবে উৎযাপন করতে পারি, কারণ ঈশ্বরই সৌন্দর্যের প্রভু, সব তালন্তের সৃষ্টিকর্তা এবং দক্ষতার আসল উৎস। এবং আমাদের আশা ও প্রচেষ্টা হবে যেন শিল্পীটি ঈশ্বরকে জানতে পারে।
  • পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নেই, এমন কোন জাতি, গোষ্ঠি বা সংস্কৃতি নেই যাতে শিল্প, গান-বাজনা ও খেলাধূলা না থাকে।
  • এছাড়া সৌন্দর্য, গান ও উৎযাপন সব শুরু হয়েছিল মানব জাতির সৃষ্টির আগে। এগুলো ঈশ্বরের মধ্যে ছিল ও প্রকাশিত হয়েছিল এবং সেগুলো আজ পর্যন্ত ঈশ্বরকে প্রকাশিত করে।
  • আমরা খেলাধূলা ভালবাসি। তার জন্য আমাদের অজুহাত দেখানোর প্রয়োজন নেই। আমরা কি মাত্র ফুটবল স্টেডিয়ামে যাই কারণ আমরা অন্যদের কাছে সুসমাচার শেয়ার করতে যাচ্ছি? না, প্রকৃতপক্ষে আমরা ফুটবল দেখে আনন্দ পাই। কিন্তু সুযোগ পেলে অবশ্যই সুসমাচার শেয়ার করুন!
  • আমরা যখন সৌন্দর্য দিয়ে আকৃষ্ট হই, যখন চমৎকার তালন্তের উপস্থানা উপভোগ করি বা শিল্প কাজে আনন্দ পাই তবে আমরা ঈশ্বরের দেওয়া বিষয় নিয়ে আনন্দভোগ করি। শিল্প বা সৌন্দর্যের একটি প্রকৃত মূল্য ও গুরুত্ব আছে এবং তা দ্বারা সৃষ্টিকর্তাকে আরাধনা ও প্রকাশ করা হয়, যিনি দান-তালন্ত এবং উপভোগ করার ক্ষমতা দিয়েছেন (উপদেশক ৫:১৯)। সৌন্দর্যে ঈশ্বর নিজেই প্রকাশিত।

সারাংশ

শিল্প প্রকাশিত করে                 ঈশ্বর সৃজনশীল শিল্পী, নির্মাতা, কুমার, পরমগীত।
ঈশ্বরের যে চরিত্র-বৈশিষ্ট প্রকাশিত     ঈশ্বর সুন্দর।
শিল্পের ভূমিকা                      প্রভাব
শিল্প ক্ষেত্রে কি নিয়ম অনুযায়ী চলে    নান্দনিকতার নিয়ম-নীতি, সৌন্দর্য সংক্রান্ত আইন

সৌন্দর্যকে ভালবেসো! সৌন্দর্য উপভোগ করো! সৌন্দর্য সৃষ্টি করো!