ডি.জে. হ্যামিল্টনের চিন্তা যুক্ত করা আছে

কিছু মৌলিক চিন্তা

বস্তু জগতকে অনুমোদন
  • ঈশ্বর মানুষের শরীরকে পাঁচটি ইন্দ্রিয় দিয়ে সৃষ্টি করেছেন যেন আমরা আমাদের পরিবেশ, অর্থাৎ বস্তু জগত থেকে বিভিন্ন ধরণের তথ্য পেতে পারি।
  • পাঁচটি ইন্দ্রিয় হল বাইরে থেকে তথ্য পাওয়ার পদ্ধতি, মানুষ এবং জগতের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম। অন্য যোগাযোগ পদ্ধতি বা প্রবেশপথ থাকতে পারে (যেমন প্রকাশ, অন্তরর্দৃষ্টি), কিন্তু এই অধ্যয়ন হল পাঁটি ইন্দ্রিয় সম্বন্ধীয়।
  • সৃষ্টিকর্তা আমাদের এই পাঁচটি ইন্দ্রিয় দিয়েছেন, এর মানে এই যে, বস্তু জগত গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তব।
  • ঈশ্বর মানুষকে এই জগতের মধ্যে বাস করার জন্য এবং এই জগতের সাথে সম্পর্কে থাকার জন্য সৃষ্টি করেছেন। বস্তু জগত ভাল।
  • তা না হলে এই জগতকে লক্ষ্য করার ও বুঝার পদ্ধতি ঈশ্বর আমাদের কেন দিয়েছেন?
মানুষের পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা তথ্য গ্রহণে ঈশ্বরের অনুমোদন
  • ফিলোসফিতে, অর্থাৎ দর্শনে বিভিন্ন মৌলিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়।
  • দর্শনের একটি অংশকে বলা হয় epistemology, অর্থাৎ মানুষ কিভাবে সত্য জানে বা তথ্য গ্রহণ করে।
  • epistemology-তে এই ধরণের প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করে: জানার মত কিছু আছে কি? যদি থাকে তবে তা কিভাবে জানব? মানুষ কি কি জানতে পারে? মানুষ কিভাবে জানতে পারে?
  • সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর যে, মানুষকে এবং অন্যান্য প্রাণীদের ইন্দ্রিয় দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তা থেকে বুঝা যায় যে, আমার মাথার চিন্তার বাইরে জানার মত আরো অনেক কিছু আছে।
  • আমার মাথার চিন্তা আমারই কিন্তু বাইরে একটি বাস্তবতা আছে, যা আমার জানা দরকার এবং যা (এক পরিমাণে) জানা যায় ও বুঝা যায় – এবং ঠিক এই উদ্দেশ্যে ঈশ্বর মানুষকে পাঁচটি ইন্দ্রিয় দান করেছেন।
  • পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা তথ্য সংগ্রহ করা হল বাইরের জগত জানার উপযুক্ত পদ্ধতি।
  • মানুষ পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা জ্ঞান অর্জন করে।
  • অভিজ্ঞতাবাদ (ইংরেজিতে: empiricism), অর্থাৎ প্রকৃতিকে লক্ষ্য করে গবেষণা দ্বারা জ্ঞান অর্জন, তা হল ঈশ্বর দ্বারা অনুমোদিত পদ্ধতি। তবুও আমরা যদি প্রজ্ঞাবান হই তবে আমরা স্বীকার করি যে:
    • হয়তো এমন বাস্তব কিছু আছে, যা পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা জানা যায় না।
    • তথ্য বা জ্ঞান অর্জনের জন্য অন্যান্য পদ্ধতি থাকতেও পারে (যেমন ঈশ্বর থেকে প্রকাশ বা আত্মিক অভিজ্ঞতা)।
    • হয়তো বস্তু জগতের পাশাপাশি অন্য কোন জগত (যেমন আত্মিক জগত) থাকতেও পারে, যদিও তা পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা প্রমাণ করা যায় না।
    • পাঁচটি ইন্দ্রিয় সীমিত পদ্ধতি, আমি ভুল বুঝতে পারি, অসম্পূর্ণ তথ্য আসতে পারে।
  • সারাংশে বলা যায় যে, বস্তু জগত বলতে কিছু আছে এবং তা সম্বন্ধে জানার জন্য পাঁচটি ইন্দ্রিয় কার্যকারী পদ্ধতি।
১ যোহন ১:১-২

“সেই প্রথম থেকেই যিনি ছিলেন, যাঁর মুখের কথা আমরা শুনেছি, যাঁকে নিজেদের চোখে দেখেছি, যাঁকে ভাল করে লক্ষ্য করেছি, যাঁকে নিজেদের হাতে ছুঁয়েছি, এখানে সেই জীবন-বাক্যের কথাই লিখছি। ২ সেই জীবন প্রকাশিত হয়েছিলেন। আমরা তাঁকে দেখেছি এবং তাঁর বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছি। যিনি পিতার কাছে ছিলেন আর আমাদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিলেন সেই অনন্ত জীবনের কথাই তোমাদের জানাচ্ছি।”

  • এই পদগুলোতে আবারও বস্তু জগতকে লক্ষ্য করা ও বুঝার জন্য পাঁচটি ইন্দ্রিয় উপযুক্ত পদ্ধতি হিসাবে প্রকাশ করা হয়েছে এবং তাতে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
  • এছাড়া ‘চোখের সাক্ষীদের’ উপর বাইবেলে কত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তাও এই পদগুলোতে প্রকাশ পায়।
    • পুরাতন নিয়ম অনুসারে একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তবে তা দুই বা তিনজন চোখের সাক্ষী ছাড়া প্রমাণ করা যেত না (দ্বিতীয় বিবরণ ১৯)।
    • নতুন নিয়মেও যীশুর কাজের এবং বিশেষভাবে তাঁর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের সাক্ষীদের উপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়:
    • ১ করিন্থীয় ১৫:৩-৮ “আমি নিজে যা পেয়েছি তা সব চেয়ে দরকারী বিষয় হিসাবে তোমাদেরও দিয়েছি। সেই বিষয় হল এই-পবিত্র শাস্ত্রের কথামত খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরেছিলেন, তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছিল, শাস্ত্রের কথামত তিন দিনের দিন তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করা হয়েছে … ৫ আর তিনি পিতরকে ও পরে তাঁর প্রেরিত্‌দের দেখা দিয়েছিলেন। ৬ এর পরে তিনি একই সময়ে পাঁচশোরও বেশী ভাইদের দেখা দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ মারা গেলেও বেশীর ভাগ লোক এখনও বেঁচে আছেন। ৭ তার পরে তিনি যাকোবকে ও পরে সব প্রেরিত্‌দের দেখা দিয়েছিলেন। ৮ অসময়ে জন্মেছি যে আমি, সেই আমাকেও তিনি সবার শেষে দেখা দিয়েছিলেন। ”
৫টি ইন্দ্রিয় দ্বারা গ্রহণ করা তথ্য থেকে উপসংহারে আসার অনুমোদন
  • বিষয়টি বাইবেলে আরো সাধারণভাবে প্রকাশ পায়: বাইবেলে আমরা কমবেশি ১৬০০ বার (!) এমন পদ পাই যেখানে “যদি … তবে” ধরণের উক্তি আছে।
  • ঈশ্বর আমাদের “যদি…তবে” ধরণের উক্তি দ্বারা শিক্ষা দেন যেন আমরা আমাদের ইন্দ্রিয় দ্বারা লক্ষ্য করি, একটি আচরণের ফলাফল কি হতে পারে।
  • তিনি আমাদের লক্ষ্য করতে বলেন কারণ কি এবং তার ফলাফল কি।
  • এখানে আবারও বস্তু জগতের বাস্তবতা প্রকাশ পায়।
  • এছাড়া ইন্দ্রিয় দ্বারা তথ্য গ্রহণ করা, তা অনুমোদিত এবং এমন কি উৎসাহিত করা হয়। তথ্য থেকে উপসংহারে আসাও অনুমোদন ও উৎসাহ পায়।
  • যদি আমরা লেবীয় ২৬ (অথবা দ্বিতীয় বিবরণ ২৮) দেখি তবে তা অতি পরিষ্কার হয়ে যায়: দেখ! খেয়াল কর! বুঝ! বাক্য থেকে সত্যের প্রমাণ গ্রহণ কর! উপসংহারে আস! তা অনুসারে সিদ্ধান্ত নাও!
পাঁটটি ইন্দ্রিয় দ্বারা ত্রিত্ব ঈশ্বর প্রকাশিত
  • ঈশ্বর পাঁচটি ইন্দ্রিয় সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে এমন কি ত্রিত্ব ঈশ্বরের চরিত্র বা বৈশিষ্ট সম্বন্ধে কিছু না কিছু জানা যায়: ঈশ্বর ত্রিত্ব ঈশ্বর, তিনি সম্পর্কের ঈশ্বর, এমন ঈশ্বর যাঁর সহানুভূতি আছে এবং তিনি আমাদের জীবনে ভূমিকা রাখতে ও অংশ গ্রহণ করতে চান। ত্রিত্ব ঈশ্বরের মধ্যে, অর্থাৎ স্বর্গস্থ পিতা, যীশু ও পবিত্র আত্মার মধ্যে সব সময় যোগাযোগ চলছে।
  • বিশেষভাবে যোহন সুসমাচার আমাদের এই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে দেখান। স্বর্গস্থ পিতা, যীশু ও পবিত্র মধ্যে সুসম্পর্ক আছে, তারা পরস্পর্কে সম্মান করেন, একসাথে সিদ্ধান্ত নেন, পরস্পর্কে গৌরবান্বিত করেন, পরস্পর্কে প্রকাশিত করেন, পরস্পর্কে বুঝিয়ে দেন, পরস্পরের কথা স্মরণ করিয়ে দেন, পরস্পর্কে সুপারিশ করেন এবং পরস্পরের প্রতিনিধি হিসাবে দাঁড়ান। তাদের এই ভালবাসা ও সম্মানের সহভাগিতায় আমাদেরও আহ্বান করা হয়েছে এবং ঠিক এর জন্যই তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
  • কোন কিছু পাওয়ার জন্য ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, তা নয়। বরং তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন যেন আমরা ত্রিত্ব ঈশ্বরের মধ্যে সুসম্পর্কে ও ভালবাসার সহভাগিতায় আসতে পারি এবং যেন আমরা ঈশ্বরের উপচে পড়া পূর্ণতার অংশ পেতে পারি।
  • ত্রিত্ব ঈশ্বরের মধ্যে সব সবময় যোগাযোগ চলছে, একইভাবে ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টির সাথেও যোগাযোগ রাখেন।
  • এছাড়া তিনি সৃষ্টিকে এমনভাবে তৈরি করেছেন যেন বিভিন্ন প্রাণীদের মধ্যেও সব সময় যোগাযোগ চলতে থাকে।
  • তিনি প্রাণীদের (এবং মানুষদেরও) বিভিন্ন ধরণের যোগাযোগের পদ্ধতি দিয়েই সৃষ্টি করেছেন:
    • পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা আমরা তথ্য গ্রহণ করি এবং তথ্য প্রকাশও করি।
    • পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা আমরা নিজেদেরকে এই জগতে বুঝতে পারি, নিজের স্থান খুঁজে পাই, কোথায় যাব তার দিক-নির্দেশনা পাই এবং কি করা দরকার, এর ইঙ্গিত পাই।
    • পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা আমরা অন্যদের সাথে যোগাযোগ করি।
    • পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা সম্পর্কে ও সহভাগিতায় থাকা সম্ভব। পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা আমরা ভালবাসা দান করি ও গ্রহণ করি।

পাঁচটি ইন্দ্রিয়

স্বাদের অনুভূতি (taste)
  • এই ইন্দ্রিয় সম্পূর্ণ মানুষের শরীরের ভিতরে অবস্থিত।
  • এই ইন্দ্রিয় ব্যক্তিগত ও হৃদয়ের কাছাকাছি, উভয় আক্ষরিক এবং রূপক অর্থে।
  • যখন আমরা সুস্বাদুু খাবার একসাথে ভোজন করি, তখন সুসম্পর্ক, সুন্দর সহভাগিতা ও বন্ধুত্ব তৈরি হয়, সংযুক্তি, স্বদেশীতা, কাছের মানুষ মনে করা, অন্তর্গত হওয়ার বা একআত্মার অনুভূতি তৈরি হয়।
  • পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বা সংস্কৃতিতে পর্ব উৎযাপনের সময়ে বা পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ খাবার বানানো ও খাওয়া হয়।
  • একসাথে খাওয়া-দাওয়া করা দ্বারা সহভাগিতা ও সুসম্পর্কে তৈরি হয়।
শ্পর্শানুভূতি (touch)
  • এই ইন্দ্রিয় মানুষের শরীরের প্রান্তে অব্স্থিত।
  • যখন দু’ই মানুষের শরীরের প্রান্ত এক হয়, আমরা এটাকে ‘ছোঁয়া’ বা ‘স্পর্শ’ বলি।
    প্রত্যেকটি সংস্কৃতিতে কিছু নিয়ম আছে কি স্পর্শ অনুমোদিত এবং কি স্পর্শ উপযুক্ত নয়।
  • যদি আমি একজন মানুষকে তার সংস্কৃতি অনুসারে উপুযক্তভাবে স্পর্শ করি তবে সে মনে করে যে তাকে বুঝা ও সম্মান করা হয়।
  • স্পর্শ দ্বারা সহভাগিতা, পরস্পর্ক বুঝার ক্ষমতা এবং সহানুভূতি তৈরি হয়, যা সুসম্পর্ক, বন্ধুত্ব ও একআত্মার অনুভূতি তৈরি করে।
গন্ধের অনুভূতি (smell)
  • এই ইন্দ্রিয় মানুষের শরীরের বাইরে অস্থিত, অর্থাৎ শ্বাস নিয়ে আমরা চারিদিকে হাওয়া বা বাতাস নিজেদের শরীরের মধ্যে আনি।
  • গন্ধের অনুভূতি দ্বারা আমরা চিন্তার চেয়েও শক্তিশালীভাবে প্রভাবিত, গন্ধ অত্যন্ত শক্তিশালী যোগাযোগকারী, উভয় ভাল দিকে ও খারাপের দিকে।
  • অধিকাংশ ভাষায় গন্ধ বর্ণনা করার জন্য মাত্র অল্প কয়েকটি শব্দ আছে।
  • সম্ভবত অন্য ইন্দ্রিয়দের চেয়ে গন্ধের অনুভূতি নিয়ে আমাদের খেয়াল বা চেতনা বা চিন্তা সবচেয়ে কম, তবুও তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী একটি ইন্দ্রিয়।
  • প্রায়ই আমরা গন্ধ খুব ভালভাবে স্মরণ রাখতে পারি এবং একই গন্ধ আবার পেলে শক্তিশালীভাবে অনেক আগের একটি জায়গা, ঘটনা বা অনুভূতি মনে আসতে পারে।
  • গন্ধের ভিত্তিতে শক্তিশালী রূপকও পাওয়া যায়, যেমন ‘আমি তার গন্ধও সহ্য করতে পারি না!’
  • গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, যদি সিনেমা হলে চলচিত্র চলাকালীন বিভিন্ন গন্ধ স্প্রেয় করে দেওয়া হয় তবে লোকদের ফিলেমের অভিজ্ঞতার অনুভূতি বেড়ে যায়।
শোনার অনুভূতি বা শ্রবণ (hearing)
  • কাছাকাছি বা একটু দূরে কি চলে (এবং কতদূরে তা চলে), তা আমরা এই ইন্দ্রিয় দ্বারা বুঝতে পারি।
  • একজনের কথা যদি শুনতে পাই, তবে বক্তা ও শ্রোতারা একই জগতে, একই স্থানে এবং একই চিন্তা বা কথায় অংশ গ্রহণ করতে পারে।
  • বাজনা বাজালে বা শুনলে আমরা একই অভিজ্ঞতায় অংশ গ্রহণ করি এবং এভাবে সহভাগিতা তৈরি হয়।
  • উদাহরণস্বরূপ: যখন একটি বড় কনসার্ট শ্রোতা হই, যখন একটি ছোট স্কুল উঠানে জাতীয় গান গাই, যখন মণ্ডলীতে আমরা একসাথে আরাধনা করি বা এমন কি যখন নিজে নিজে গান গাই, এই সহভাগিতা তৈরি হয়।
  • যদিও গান-বাজনা বিভিন্ন শিল্পী থেকে আসে, অর্থাৎ বিভিন্ন মানুষ, দেশ, সংস্কৃতি বা শতাব্দ থেকে আসে, তবুও শিল্পী ও শ্রোতার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়, একই বাজনার শ্রোতাদের মধ্যেও সম্পর্ক, একতা, একআত্মাভাব এবং বন্ধুত্ব তৈরি হয়। গান-বাজনা নতুন সম্পর্কের সুযোগও সৃষ্টি করে।
দৃশ্বের অনুভূতি বা দৃষ্টিশক্তি (sight)
  • এই ইন্দ্রিয় সবচেয়ে দূর পর্যন্ত যেতে পারে। আমরা কাছের কিছু বা অনেক দূরের কিছুও দেখতে পাই।
  • দৃষ্টিশক্তি দ্বারা একটি স্থান তৈরি হয় যেখানে আমরা সবাই উপস্থিত।
  • দৃষ্টিশক্তি দ্বারা একটি কাঠামো বা স্থান তৈরি হয় যাতে আমরা সবাই আছি এবং যাতে আমরা একই অভিজ্ঞতা লাভ বা উপলব্দি করতে পারি।
  • আপনিও তা দেখেছেন? আগে এখানে এসেছেন? একই চলচিত্র উপভোগ করেছেন? আপনার জীবন ও আমার জীবনে তাহলে কিছু ক্ষেত্রে মিল আছে, তাই না কি?
  • আমরা একই জিনিষ দেখি, তা দ্বারা আমাদের মধ্যে কথা বলার এবং বন্ধুত্ব স্থাপন করার সুযোগ তৈরি হয়।

আমাদের বর্তমান যুগে অনেক ভাঙ্গা পরিবার, অনেক বিভাজন, বিচ্ছেদ, তর্কাতর্কি, দূরত্ব, একাকীত্ব এবং ‘শিকড়ের গোরায় সমস্যা’ দেখা যায়। তাই যদি আমরা কোনভাবে সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, সহভাগিতা, একতা বা একআত্মার অনুভূতি তৈরি করতে পারি, তবে তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, জীবনদায়ী ও সুস্থকারী। সম্পর্কে গঠনের প্রচেষ্টায় আমি যত ইন্দ্রিয় একসাথে ব্যবহার করি তা তত কার্যকারী। সৃজনশীল অতিথীপরায়ণতা, ভাল একজন শ্রোতার স্পর্শ বা একসাথে ছোট অভিযান, এই সব দ্বারা আমরা মানুষ হিসাবে পরিচিতি পাই এবং আমাদের মধ্যে একতা তৈরি হয়।