বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ০৩ – বিজ্ঞানের ভিত্তি

ভিত্তিক নীতিমালা: কারণ ও ফলাফল
  • বাইবেলে  “যদি…তবে…” এরকম ধরণের শর্তমূলক বাক্য ১৫৯৫ বার উল্লেখ আছে, যেখানে কারণ ও ফলাফল দেখানো হয়েছে।
  • ঈশ্বর মানুষকে কারণ ও ফলাফল শিক্ষা দিতে অনেক শ্রম দেন বা অনেক কষ্ট করেন…. কেন কি ঘটে তা বুঝান (লেবীয় ২৬, দ্বিতীয় বিবরণ ২৮)।
  • ‘যদি তুমি ঈশ্বরের আদেশ পালন কর … ঈশ্বরকে ভালবাস …তাঁর পথে চল > তবে জীবন ও আশীর্বাদ পাবে কিন্তু যদি তোমার হৃদয় ফিরাও … অন্য দেবতার কাছে নত হও > তবে মৃত্যু ও অভিশাপ আসবে।”
  • কেন কি ঘটনা ঘটে ও কি কাজ কোন পরিণতিতে পরিচালনা দেয়, তা নিয়ে বাইবেলে ঈশ্বর প্রায় ১০০০ পৃষ্ঠা ধরে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এইটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
  • বাংলাদেশী প্রবাদ: “যে যতটুকু জলে নামবে সে ততটুকু ভিজবে”
  • সি. এস. লুইস (C.S. Lewis) থেকে উদ্ধৃতি: “আপনি জলে ঝাঁপ দিতেও পারেন নাও দিতে পারেন, কিন্তু যদি ঝাঁপ দেন আপনি অবশ্যই ভিজবেন”
  • কারণ ও ফলাফল বিজ্ঞানের ভিত্তি। কারণ ও ফলাফলের মধ্যে সম্পর্ক উদঘাটন করাই হল বিজ্ঞান: কোন নিয়ম দ্বারা চলে তা বুঝা ও খুঁজে বের করা।
  • এক ঘটনার সাথে আর এক ঘটনার সম্পর্ক, কি নীতিমালায় চলে, যে নিয়মে চলে তার বাস্তবতা যা বুঝা যায়, এমনকি যে সূত্র দ্বারা চলে যার দ্বারা আমরা ভবিষ্যৎ বলতে পারি ঈশ্বর তা আমাদের শিখাতে চান।                                                              -ঈশ্বর বিজ্ঞান শিখান।
 
আদিপুস্তকে বিজ্ঞানের কিছু ভিত্তিক ধারণা

সৃষ্টি জানা যথার্থ

  • আদি ১:১ … ঈশ্বর এই বস্তু জগত চেয়েছেন ও তাই তিনি তা সৃষ্টি করেছেন। আদি ১:৩১ … ঈশ্বর এই সৃষ্টিকে উত্তম বা চমৎকার বলেন। আদি ১:২৮ … ঈশ্বর সৃষ্টির যত্ন নেওয়ার জন্য তা মানুষের হাতে দেন।
  • এই সৃষ্টি ভাল, গুরুত্বপূর্ণ, জানার যোগ্য, সৃষ্টির পিছনে বিনিয়োগ যথার্থ ও এই সৃষ্টির জন্য কাজ করা ও  গবেষণা কাজ যথার্থ।

                                                                   -বিজ্ঞানের পিছনে সঙ্গত কারণ।

সৃষ্টি ঈশ্বর নয়

  • ঈশ্বর জগত সৃষ্টি করেন, তিনি এই জগত চান এবং তিনি তাঁর চরিত্র এই সৃষ্টির মধ্যে প্রকাশ করেন।
  • কিন্তু সৃষ্টি নিজেই ঈশ্বর নয় বা দেবতা নয় > এইজন্য মানুষ তা স্পর্শ করতে পারে, পরীক্ষা করতে পারে, অন্বেষণ করতে পারে ও তাতে নতুনত্ব আনতে পারে।

                                                                   -বিজ্ঞান / বিজ্ঞান চর্চা অনুমোদিত।

সৃষ্টি মানুষকে দেওয়া হয়েছে

  • পৃথিবী মানুষকে দেওয়া হয়েছে, মানুষের নেতৃত্বের অধীনে দেওয়া হয়েছে।
  • আদি ২:১৫ … মানুষকে আদেশ করা হয়েছে জমি চাষ করতে, পৃথিবী দেখাশুনা করতে।
  • আদি ২:১০ … মানুষকে আদেশ দেওয়া হয়েছে প্রাণীর নাম দেওয়ার জন্য। যাতে অনুসন্ধান, গবেষণা ও শ্রেণীবদ্ধকরণ প্রয়োজন।
  • আদি ১:২৮ … পৃথিবী পূর্ণ করার জন্য মানুষকে আদেশ দেওয়া হয়েছে, যা ভৌগলিকভাবে বিস্তৃতি, নতুন নতুন জায়গা, নতুন আবহাওয়া, কৃষিকাজের নতুন পথ আবিষ্কার।

                                                                   -বিজ্ঞান চর্চার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সৃষ্টি নিয়ম দ্বারা পরিচালিত
  • ঈশ্বরের চরিত্রই বিজ্ঞানের আর একটি ভিত্তি:
  • ঈশ্বর তিনি তাঁর প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করেন। ঈশ্বর তাঁর চুক্তি রক্ষা করেন। ঈশ্বরের বাক্য সবসময় টিকে থাকে। ঈশ্বর বিশ্বস্ত। ঈশ্বর তাঁর নিজের আইনের বাধ্য হন।
  • যেহেতু সৃষ্টি তাঁরই হাতের কাজ, তাই আমরা যুক্তিসঙ্গত ভাবেই প্রত্যাশা করতে পারি যে যেমন ঈশ্বর আইন পালন করে তেমনি তাঁর সৃষ্টিও আইন/নিয়ম  দ্বারা পরিচালিত হয়…. এবং সৃষ্টির মধ্যে নিয়ম বা আইন খোঁজ করাই হলো বিজ্ঞান।

                                                                   -বিজ্ঞানের ভিত্তি ঈশ্বরের চরিত্র।

বহুগুণে বৃদ্ধি ও বিজ্ঞান
  • আদি ১:২৮ … ঈশ্বর বহুগুণে বৃদ্ধির আদেশ দেন। জনসংখ্যা বৃদ্ধি আপনা আপনি বিজ্ঞানের বড় প্রয়োজনের দিকে পরিচালনা দিবে।
  • উদাহরণ: মলত্যাগ … যদি সারা পৃথিবীতে মাত্র ২ জন থাকে, তাহলে ‘যেখানে সেখানে পায়খানা’ কোন সমস্যাই নয়। কিন্তু যদি ২ কোটি লোক থাকে, তাহলে একটা পদ্ধতি দরকার।
  • উদাহরণ: বসবাস … এখন আমরা বহুতল ভবনে বাস করি, এক পরিবারের উপরে আরেক পরিবার, ২০০ বছর আগের মানুষদের কাছে এটি একটি মজার ধারণা মাত্র।
  • উদাহরণ: দেশের সীমানা … শত বছর আগে সীমানা ঠিক করা ছিল না, এখন প্রত্যেক ইঞ্চিতে দেশের সীমানায় পাথরসহ  নকশা আঁকা হয়েছে।
  • জনসংখ্যা বৃদ্ধি বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আসে … এবং যেহেতু ঈশ্বর জনসংখ্যা বৃদ্ধির আদেশ দেন, এই বৃদ্ধির উপযোগিতার জন্য তিনি বিজ্ঞানকে স্বাগত: জানান।

                                                                   -বিজ্ঞান দরকার।

কাজের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি

  • আদি ২:১৫ … খাঁটি, নিষ্কলঙ্ক পৃথিবীর অংশ ছিল কাজ। পাপে পতিত হওয়ার পূর্বে কাজ ছিল। কাজ পাপের শাস্তি নয়। কাজ ভাল। ঈশ্বর নিজেই কাজ করেন। ঈশ্বর কাজ করার জন্য আদেশ দেন। ভাল কাজের পুরস্কার হল আরো বেশী কাজ।
  • বিজ্ঞানের জন্য যা প্রয়োজন: গুরুত্বের সাথে অনুসন্ধান, চেষ্টা এমনকি অনেক বার ব্যর্থ এবং অনেক অনেক শ্রম।                                                  

                                                                   -বিজ্ঞান সমর্থিত।

 
ঈশ্বরের প্রতি সম্মান, আনন্দ, ভক্তিপূর্ণ ভয় হিসেবে বিজ্ঞান
  • হিতো ২৫:২ … “ঈশ্বর কোন বিষয় গোপন রাখলে তাতে তাঁর গৌরব হয়; রাজারা কোন বিষয় তদন্ত করে প্রকাশ করলে তাতে তাঁদের গৌরব হয়।”
  • মজা, কৌতূহল, অদ্ভুত ভয়, শিশুর মত মনোভাব, দৃষ্টান্ত হিসেবে বিজ্ঞান প্রকাশিত: ইষ্টার সানডেতে বাবা মায়েরা ডিম লুকায়ে রাখে আর ছেলেমেয়েরা খোঁজ করে।
  • গ্রহের গতির নীতি আবিষ্কার করে যোহান কেপলার বলেন: ‘ঈশ্বরের একটা চমৎকার চিন্তা আমি বুঝলাম, তা কত আনন্দের!’
  • ১ রাজা ৩:১৬-২৮, ৪:২৯-৩৪ … বিচারকাজ, কবিতা, দর্শন, শিক্ষা, চারুকলা, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যায় শলোমনের প্রজ্ঞা ও অংশগ্রহণ।
  • আবারও জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও বিজ্ঞানের ইতিবাচক ছবি।
 
বিশৃঙ্খলা নয় কিন্তু নিয়ম অনুসারে পরিচালিত একটা মহাজগত

যিশাইয় ৪৫:১৮-১৯“সদাপ্রভু, যিনি মহাকাশ সৃষ্টি করেছেন, তিনিই ঈশ্বর; যিনি পৃথিবীর আকার দিয়েছেন ও তৈরি করেছেন, তিনিই তা স্থাপন করেছেন। তিনি বাস করবার অযোগ্য করে পৃথিবী সৃষ্টি করেন নি (তিনি তা এলোমেলো হিসাবে সৃষ্টি করেন নি, তিনি তা বিশৃঙ্খল হতে দেন নি), বরং লোকেরা যাতে বাস করতে পারে সেইভাবেই তা সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলছেন, “আমিই সদাপ্রভু, আর কেউ নয়। কোন অন্ধকার দেশের কোন জায়গা থেকে আমি গোপনে কথা বলি নি। যাকোবের বংশকে আমি বলি নি, ‘তোমরা মিথ্যাই আমাকে ডাক’ (তোমরা আমাকে এলোমেলোতে খুঁজ’)। আমি সদাপ্রভু ন্যায্য কথা বলি; যা ঠিক তা-ই ঘোষণা করি।”

  • এই পদে ইব্রীয়তে আদি ১:১-২ পদের শব্দগুলি ব্যবহৃত: ‘বিশেষ আকার ছিল না’ থেকে ‘সৃষ্টি’, ‘বিশৃঙ্খলা’ থেকে ‘শৃঙ্খলা’, ‘এলোমেলো’ থেকে ‘সু-চালিত’, গ্রীকে: ‘chaos’ থেকে ‘cosmos’, ইব্রীয় ‘tohuwabohu’  থেকে ‘creation’।
  • আমরা একটা এলোমেলো পৃথিবীতে বাস করতে পারি না, যদি কালকে যা সত্য ছিল আজ তা সত্য না থাকে, আমরা বাঁচতে পারি না। যদি কোন কিছুই বাস্তব না হয়, যদি সবকিছু এমনি এমনি পরিবর্তন হয়, কারও কাছেই এই পৃথিবী বোধগম্য হতে পারে না।
  • আশ্চর্য কাজ সম্পর্কে কি বলার আছে? ঈশ্বর আশ্চর্য কাজ করতে পারেন এবং তিনি আশ্চর্য কাজ করেন, কিন্তু তিনি বেশির ভাগ নিয়ম দ্বারা এই মহাজগত পরিচালনা করেন। ঈশ্বর আশ্চর্য কাজ এমনি এমনি করেন না এবং তিনি কাজের বা সিদ্ধান্তের ফলাফল বাতিল করেন না।
  • সম্পূর্ণ আশ্চর্য পৃথিবী বাইবেলীয় ধারণা নয়, এটা মানুষের জন্য ভালও হত না। যদি আপনাকে আপনার কাজের ফলাফল নিয়মিতভাবে ভোগ করতে না হয়, কিভাবে আপনি দায়িত্বশীলতা শিখবেন? যদি আজকের আচরণের ফলাফল আগামীকাল না থাকে, তবে কিভাবে নিজের দায়িত্ব বা ক্ষমতা বুঝবেন?
দৃষ্টিভঙ্গির তুলনা

মহাবিশ্বের বৈশিষ্ট্য কি কি?

পূর্বদেশীয়দের চিন্তা

  • বস্তু জগত আত্মিক জগতের চেয়ে কম বাস্তব, কম গুরুত্বপূর্ণ > এইজন্য জগতে বিজ্ঞানের বিনিয়োগ বেশি যথার্থ নয়।
  • এই বস্তু জগত ভাল এবং মন্দ আত্মা দ্বারা প্রভাবিত।
  • ঘটনাসমূহ ইচ্ছামত বা এমনি এমনি চলে প্রাকৃতিক নিয়ম দ্বারা নয়।
  • প্রকৃতি দেখে কোন নিয়ম বা সূত্র খুঁজে পাওয়ার আশা বা প্রচেষ্টা নেই।
  • কোন কিছু স্পর্শ করার কোন অধিকার নেই।

পশ্চিমা চিন্তা

  • বস্তু জগত মাত্র বাস্তব।
  • বস্তু জগত সীমাবদ্ধ বা সসীম।
  • বাইরে থেকে কোন হস্তক্ষেপ নেই (কোন ঈশ্বর / নৈতিকতা নেই)।
  • প্রাকৃতিক নিয়ম দ্বারা চলে > বিজ্ঞানের দিকে খুবই বেশী প্রাধান্য বা দৃষ্টি।
  • বিজ্ঞানকে মূল্যায়ন করতে বা দায়বদ্ধতায় আনায় কোন চেতনা নেই।
  • নিজের ক্ষমতা বা সামর্থ্যের বাড়াবাড়ি।

বাইবেলীয়  চিন্তা

  • বস্তু জগত বাস্তব, ভাল, অনুসন্ধান যথার্থ।
  • বস্তুজগৎ ঈশ্বর দ্বারা সৃষ্ট, তাঁকেই প্রকাশিত করছে।
  • ঈশ্বরের আশীর্বাদ বা হস্তক্ষেপের প্রতি এই পৃথিবী খোলা।
  • প্রাকৃতিক  নিয়ম দ্বারা চলে।
  • ঈশ্বর আশ্চর্য ভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারেন। 
 মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে সম্পর্ক কি?

পূর্বদেশীয় চিন্তা  

  • প্রকৃতিতে  আত্মা / দেব-দেবী বাস করে।
  • প্রকৃতি মানুষের উর্ধ্বে।
  • মানুষ প্রকৃতির আরাধনা করে।

পশ্চিমা চিন্তা

  • মানুষ প্রকৃতির উর্ধ্বে।
  • মানুষ নিজের সুবিধা মত প্রকৃতি ব্যবহার করে।
  • কোন দায়বদ্ধতা নেই।

বাইবেলীয় চিন্তা

  • মানুষ প্রকৃতির উর্ধ্বে।
  • ঈশ্বরের পক্ষে মানুষ প্রকৃতির দেখাশুনা করে (ধনাধ্যক্ষতা)।
  • মানুষ প্রকৃতির দেখাশুনা ও উন্নয়ন করে।
সারাংশ: বিজ্ঞানের জন্য বাইবেলীয় ভিত্তি
  • ঈশ্বর কারণ ও ফলাফল, যদি > তবে স্থাপন করেন এবং আমাদের শেখান।
  • ঈশ্বর তাঁর বাক্য রক্ষা করেন, ঈশ্বর নিজেই তাঁর আইন পালন করেন।
    • প্রত্যাশা আছে যে, যেমন সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টিও আইন রক্ষাকারী।
    • এই আইনগুলোর আবিষ্কার হলই বিজ্ঞান।
    • আইন ছাড়া কোন বিজ্ঞান নেই।

হিন্দু মতবাদ

  • প্রকৃতি মানুষের ঊর্ধ্বে ও ঐশ্বরিক
  • প্রকৃতি আত্মা দ্বারা ইচ্ছামত পরিচালিত হয়, তাই
    • আইন যে পূর্ণ হবে, তার প্রত্যাশা নেই।
    • বিজ্ঞান অনুশীলনে উৎসাহ বা সম্ভাবনা কম।

 

বৌদ্ধ মতবাদ

  • প্রকৃতি বাস্তব নয়, গুরুত্বপূর্ণ নয়। কষ্টভোগ হলো গ্রহণযোগ্য ও কষ্টভোগ হলো মায়া।
  • সমাধান:
    • অবাস্তব বস্তু জিনিস বশে আনা।
    • আত্মিক বাস্তবতার সাথে মিলিত হওয়া / দেখা / সন্ধান পাওয়া।
  • কাজ করার কোন কারণ নেই এবং বস্তু জগত বুঝার কোন দরকার নেই।
  • বস্তু জগতের বাস্তবতা পরিবর্তনের কোন অনুপ্রেরণা নেই (বৌদ্ধের বন্ধ চোখে নীরবে বসে ধ্যান)।

 

অদ্বৈতবাদ

  • ঈশ্বরের ইচ্ছা সার্বভৌম ও স্বাধীন। প্রকৃতি তাঁর ইচ্ছা দ্বারা চলে। শুধুমাত্র যা তাঁর ইচ্ছা হয় তাই হয়।
  • ঈশ্বর চাইলে যে কোন কিছু ঘটাতে পারেন, আবার নাও ঘটাতে পারেন।
  • গতকাল যা কাজ হয়েছিল, আজকে তা কাজ নাও করতে পারে, ফলে:
    • সূত্রের বাস্তব প্রত্যাশা নাও থাকে।
    • বিজ্ঞানের কোন বাস্তব ক্ষমতা নাও থাকে।
  • ঈশ্বরের ইচ্ছা সার্বভৌম ও এক এক দিন, এক এক রকম, ফলে:
    • আবিষ্কার বা গবেষণার তেমন আদেশ নেই।
    • মানুষের উপর বিষয়টি নির্ভর নাও করে।
  • যদি ঈশ্বর এটা ভিন্ন ভাবে চালাতেন, তিনি তা ভিন্ন ভাবে করতেন:
    • পরিবর্তন বা উন্নয়ন করার তেমন প্রয়োজন নেই।
    • বিজ্ঞান ঈশ্বরের সার্বভৌম ইচ্ছার সাথে সংঘর্ষ করার ভয় আছে।
 
পদ্ধতিগত প্রাকৃতিক বিজ্ঞান পশ্চিমা দেশে উঠছে
  • উত্তর ইউরোপ পূনঃসংস্কারের পরে বিজ্ঞান উঠে আসে।
  • ষোড়শ, সপ্তদশ, অষ্টাদশ শতাব্দীর দিকে বিজ্ঞানীরা খ্রিষ্টান হয়। 
 
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রলোভন
  • বিজ্ঞান নিয়ে কি বিপদ হতে পারে?
    • মানুষের সামর্থ্য বা ক্ষমতার বাড়াবাড়ি।
    • অহংকার, স্বাধীনচেতা, বহিনিয়ন্ত্রণবাদ, অবিশ্বাস।
    • ঠিক হোক বা না হোক মানুষ ক্ষমতা থাকলে তা করবে।
    • নৈতিকতার সীমা লঙ্ঘন।
    • স্বার্থপরভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার।
  • উদাহরণ: পশ্চিমা খ্রিষ্টান দেশসমূহ যারা পরে নাস্তিকতায় ঝুঁকে পড়ে।

 

ঈশ্বরের উত্তর

  • বিজ্ঞান অনুশীলনের আদেশ ও অধিকার দেওয়া হয়েছে।
  • বিজ্ঞানের অধিকার সীমিত।
  • সৃষ্টিকর্তার কাছে দায়বদ্ধতা।