ঈশ্বর আবহাওয়া এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর সৃষ্টিকর্তা
গীত ১৩৫:৭ “তিনিই পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে মেঘ উঠিয়ে আনেন; তিনিই বৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ তৈরী করেন, আর তাঁর ভাণ্ডার থেকে বাতাস বের করে আনেন।”
গীত ১৪৭:৮ “তিনি আকাশ মেঘে ঢাকেন; তিনি পৃথিবীর জন্য বৃষ্টির ব্যবস্থা করেন আর পাহাড়ের উপরে ঘাস জন্মাতে দেন।”
গীত ১৪৭:১৬-১৮ “তিনি ভেড়ার লোমের মত তুষার পাঠান আর ছাইয়ের মত শিশির ছড়ান। তিনি রুটির টুকরার মত করে শিলা ফেলেন; তাঁর দেওয়া শীত কে সহ্য করতে পারে? তাঁর বাক্য পাঠিয়ে তিনি শিলা গলিয়ে ফেলেন; তাঁর বাতাস বহালে জল বয়ে যায়।”
গীত ১৪৮:৩-৮ “হে সূর্য ও চাঁদ, তাঁর প্রশংসা কর; হে উজ্জ্বল সব তারা, তাঁর প্রশংসা কর। ৪ হে স্বর্গ, তাঁর প্রশংসা কর; হে আকাশের উপরের জল, তাঁর প্রশংসা কর। ৫ এরা সব সদাপ্রভুর প্রশংসা করুক, কারণ তিনি আদেশ দিলেন আর এদের সৃষ্টি হল। ৬ এদের তিনি চিরকালের জন্য ঠিক জায়গায় স্থাপন করেছেন; তিনি একটা নিয়ম দিয়েছেন, কেউ তা ভাঙ্গতে পারবে না। ৭ পৃথিবী থেকে তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। হে সাগরের বড় বড় প্রাণী ও সাগরের গভীর তলদেশ, তাঁর প্রশংসা কর। ৮ হে বিদ্যুৎ ও শিলা, তুষার ও কুয়াশা আর তাঁর আদেশ পালন-করা ঝোড়ো বাতাস, তাঁর প্রশংসা কর।”
ইয়োব ৩৭:১০ “ঈশ্বরের নিঃশ্বাস থেকে বরফ জন্মায় আর জল জমে যায়।”
- বাইবেল স্বসম্মত ও শক্তিশালী ঘোষণা করে যে সদাপ্রভুই হলেন এই মহাবিশ্ব, পৃথিবীর এবং সাথে আবহাওয়া সম্পর্কিত সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা: বাতাস, মেঘ, বিদ্যুৎ চমকানো, তুষার, শিশির, বৃষ্টি, কুয়াশা, ঝড় ইত্যাদি।
- আবহাওয়ার বিভিন্ন বিষয় যে সম্পর্কিত এবং একটি বিষয় অন্য বিষয়ের কারণ, তাও এই পদগুলোতে প্রকাশিত।
- গাছ-পালা, চাষ, উর্বরতা ও যোগানে জন্য আবহাওয়া গুরুত্বও প্রকাশ পায়।
- আবহাওয়ার বিষয়গুলো এবং সূর্য ও চাঁদ একই সাথে উল্লিখিত। আধুনিক বিজ্ঞান এর সম্পর্ক পরিষ্কার করেছে।
আমোষ ৪:১৩ “যিনি পাহাড়-পর্বত গড়েন, বাতাস সৃষ্টি করেন এবং মানুষের কাছে নিজের চিন্তা প্রকাশ করেন, যিনি আলোকে অন্ধকার করেন এবং পৃথিবীর পাহাড়-পর্বতের উপর দিয়ে চলেন তাঁর নাম সর্বক্ষমতার অধিকারী ঈশ্বর সদাপ্রভু।”
- এখানে পাহাড়-পর্বত ও বাতাস একসাথে উল্লিখিত। প্রকৃতপক্ষে বাতাসের সৃষ্টিতে পাহাড়-পর্বত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- সূর্যের বিকিরণ বিভিন্ন ভূখণ্ডে ভিন্ন পরিমাণে তাপ সৃষ্টি করে। তাপের পার্থক্য থেকে চাপের পার্থক্য তৈরি এবং তা থেকে তৈরি বাতাস।
- এছাড়া পাহাড়-পর্বত বাতাসের বাধা হিসাবে দাঁড়ায়। স্যাঁতসেঁতে বাতাস যদি পাহাড়ের কারণে আকাশের উপরের স্তরে উঠে তবে ঠাণ্ডা হয়ে পাহাড়ের গায়ে মেঘ ও বৃষ্টি তৈরি করে।

আবহাওয়ার উপর ঈশ্বরের ক্ষমতার কারণে তাকে সম্মান করা
হিতো ৩০:৪ “কে স্বর্গে উঠেছেন এবং নেমে এসেছেন? হাতের মুঠোয় কে বাতাস ধরেছেন? কে নিজের কাপড়ের মধ্যে সমস্ত জল জমা করে রেখেছেন? পৃথিবীর সব দিকের শেষ সীমা কে স্থাপন করেছেন? তাঁর নাম ও তাঁর পুত্রের নাম কি?“
ইয়োব ৩৮:২২-২৮ “তুমি কি তুষারের ভাণ্ডারে ঢুকেছ কিম্বা শিলার ভাণ্ডার দেখেছ? … ২৪ যে জায়গা থেকে আলো ছড়িয়ে যায়, কিম্বা যেখান থেকে পৃথিবীতে পূবের বাতাস ছড়িয়ে পড়ে সেই জায়গা কোথায়? ২৫ ভারী বৃষ্টি আসবার জন্য এবং বাজ পড়া ও ঝড়-বৃষ্টির জন্য কে পথ করেছে, যাতে জনশূন্য জায়গা জল পায়, জল পায় মরু-এলাকা যেখানে কেউ বাস করে না; ২৭ যাতে নির্জন পোড়ো জায়গা তৃপ্ত হয়, আর সেখানে ঘাস গজাতে পারে? ২৮ বৃষ্টির কি বাবা আছে? কে শিশিরের ফোঁটার জন্ম দিয়েছে?”
ইয়োব ৩৬:২৭-৩০ “তিনি জলের ফোঁটা টেনে নেন, সেগুলো বাষ্প হয় এবং বৃষ্টি হয়ে পড়ে।“তিনি জলের ফোঁটা টেনে নেন, সেগুলো বাষ্প হয় এবং বৃষ্টি হয়ে পড়ে। ২৮ মেঘ তা ঢেলে দেয়, আর মানুষের উপর প্রচুর বৃষ্টি পড়ে। ২৯ কে বুঝতে পারে তিনি কেমন করে মেঘ বিছিয়ে দেন? কিম্বা তাঁর বাসস্থান থেকে মেঘের গর্জন করেন? ৩০ তিনি তাঁর চারপাশে বিদ্যুৎ ছড়িয়ে দেন আর সমুদ্রের তলা ঢেকে দেন।”
ইয়োব ৩৭:৬-৭ “তিনি তুষারকে বলেন, ‘পৃথিবীতে পড়,’ আর বৃষ্টিকে বলেন, ‘মুষলধারে পড়।’ ৭ প্রত্যেক মানুষকে তাঁর কাজ থেকে তিনি থামিয়ে দেন, যেন সব মানুষ তাঁর কাজের বিষয় জানতে পারে।”
যিরমিয় ১৪:২২ “জাতিদের অসার প্রতিমাগুলো কি বৃষ্টি আনতে পারে? আকাশ নিজে নিজে কি এক পশলা বৃষ্টি দিতে পারে? হে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, কেবল তুমিই তা পার। কাজেই তোমার উপরেই আমরা আশা রাখি, কারণ তুমিই এই সব করে থাক।”
- ঈশ্বর হলেন সেই সর্বক্ষমতাশালী সৃষ্টিকর্তা যিনি ভক্তিপূর্ণ ভয় ও সম্মান পাওয়ার যোগ্য।
- পৃথিবী, জলবায়ূ ও আবহাওয়া সৃষ্টিকর্তা দিয়ে সৃষ্ট ও চালিত, তা স্বয়ং চলে না বরং ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল।
- ঈশ্বরের অসীম ক্ষমতা এবং দেব-দেবতাদের ক্ষমতাহীনতার মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে।

সবার জন্য দয়া হিসাবে ঈশ্বর আবহাওয়া বজায় রাখেন
আদি ৮:২২ “যতদিন এই পৃথিবী থাকবে ততদিন নিয়ম মত বীজ বোনা আর ফসল কাটা, ঠাণ্ডা আর গরম, শীতকাল আর গরমকাল এবং দিন ও রাত হতেই থাকবে।”
ইয়োব ৫:১০ “তিনি পৃথিবীতে বৃষ্টি দান করেন আর জমির উপর জল পাঠিয়ে দেন।”
মথি ৫:৪৫ “তিনি তো ভাল-মন্দ সকলের উপরে তাঁর সূর্য উঠান এবং সৎ ও অসৎ লোকদের উপরে বৃষ্টি দেন।”
- যদিও ঈশ্বর সৃষ্টিতে হস্তক্ষেপ করতে সক্ষম, অর্থাৎ সৃষ্টিতে অলৌকিকভাবে কিছু ঘটাতে পারেন তবুও তিনি সাধারণত তা করেন না। বরং তিনি এই পৃথিবী, জলবায়ূ ও আবহাওয়া প্রাকৃতিক নিয়ম দ্বারা চালান।
- ঈশ্বরের দয়ায় তিনি এই পৃথিবী, জলবায়ূ, আবহাওয়া, জমির উর্বরতা এবং এভাবে মানব জাতির জন্য যোগান দিতে থাকেন, তারা তাকে দাতা হিসাবে স্বীকার করুক বা না করুক।
সাধারণ আবহাওয়ার উপরে এবং আবহাওয়া পরিবর্তন করার ক্ষমতা ঈশ্বরের হাতে
যির ১০:১৩, ৫১:১৬ “তাঁর আদেশে আকাশের জল গর্জন করে; তিনি পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে মেঘ উঠিয়ে আনেন। তিনি বৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ তৈরী করেন এবং তাঁর ভাণ্ডার থেকে বাতাস বের করে আনেন।”
গীত ৭৪:১৭ “পৃথিবীর সব কিছুর সীমা তুমিই ঠিক করে দিয়েছ; তুমিই শীত ও গ্রীষমকাল তৈরী করেছ।”
নহূম ১:৩-৫ “সদাপ্রভু সহজে অসন্তুষ্ট হন না এবং তিনি শক্তিতে মহান; দোষীকে তিনি শাস্তি না দিয়ে ছেড়ে দেন না। তাঁর পথ ঘূর্ণিবাতাস ও ঝড়ের মধ্যে থাকে, আর মেঘ হল তাঁর পায়ের ধুলা। ৪ তিনি সমুদ্রকে ধমক দিয়ে শুকিয়ে ফেলেন; সমস্ত নদীগুলোকে তিনি জলশূন্য করে দেন। … সব ফুল ম্লান হয়ে যায়। ৫ বড় বড় পাহাড় তাঁর সামনে কাঁপে আর ছোট ছোট পাহাড়গুলো গলে যায়। তাঁর উপস্থিতিতে পৃথিবী ও তার মধ্যে বাসকারী সকলে কাঁপে।”
- জলবায়ূ ও আবহাওয়া সৃষ্টিকর্তা দিয়ে সৃষ্ট ও তাঁর দ্বারা স্থাপিত প্রাকৃতিক আইনের মধ্য দিয়ে চালিত। ঈশ্বর এই চলাচল বজায় রাখেন।
- কিন্তু ঈশ্বর চাইলে সাধারণ প্রাকৃতিক নিয়মের বাইরেও কিছু ঘটাতে পারেন। সৃষ্টির উর্দ্ধে সৃষ্টকর্তা সৃষ্টিতে হস্তক্ষেপ করতে অবশ্যই সক্ষম।
গীত ১০৭:২৩-৩১ দুর্যোগে পড়া নাবিকেরা ঈশ্বরকে ডাকেন
“যারা জাহাজে করে সাগরে যায় আর মহাসমুদ্রের মধ্যে ব্যবসা করে, ২৪ তারাই সদাপ্রভুর কাজ দেখেছে, গভীর জলে দেখেছে তাঁর আশ্চর্য আশ্চর্য কাজ। ২৫ একবার তাঁর কথায় ভীষণ ঝড় হল, তাতে বড় বড় ঢেউ উঠল। ২৬ ফলে নাবিকেরা উঠল আকাশ পর্যন্ত আর নামল জলের তলায়; বিপদে পড়ে ভয়ে তাদের প্রাণ উড়ে গেল। ২৭ মাতালের মত তারা হেলেদুলে ঢলে পড়ল; তারা বুদ্ধিহারা হয়ে গেল। ২৮ বিপদে পড়ে তারা সদাপ্রভুর কাছে কান্নাকাটি করল … ২৯ তিনি ঝড় থামিয়ে দিলেন, তাতে সমুদ্রের ঢেউ শান্ত হয়ে গেল। ৩০ সমুদ্র শান্ত হয়ে গেলে তারা খুশী হল; যে বন্দরে তারা যেতে চেয়েছিল সেখানেই তিনি তাদের নিয়ে গেলেন। ৩১ মানুষের প্রতি সদাপ্রভুর আশ্চর্য আশ্চর্য কাজের জন্য আর তাঁর অটল ভালবাসার জন্য তারা তাঁকে ধন্যবাদ দিক।”
মথি ১৪:২৪-৩২, মার্ক ৪:৩৭-৪১, ৬:৪৮-৫১, লূক ৮:২৩-২৪, যোহন ৬:১৮
- পুরাতন নিয়মে যেমন ঈশ্বরকে সৃষ্টির উপর ক্ষমতাশালী প্রভু হিসাবে বর্ণনা করা হয়, ঠিক তেমনি নতুন নিয়মে যীশুর হাতে সেই একই ক্ষমতা দেখা যায়: ঝড় ও বাতাস থামানো, জলের উপর হাঁটা, রূটি তৈরি ইত্যাদি।
মানুষের বাধ্যতা বা অবাধ্যতার শর্তে ঈশ্বর আবহওয়া নিয়ন্ত্রণ করেন।
লেবীয় ২৬:৩-৫ বাধ্য হলে তবে অনুকূল আবহাওয়া
“যদি তোমরা আমার সব নিয়ম মান এবং আমার আদেশ পালন করে চল ৪ তবে সময়মত আমি বৃষ্টির ব্যবস্থা করব। তাতে তোমাদের জমিতে পুরো ফসল হবে এবং গাছ-গাছড়ায়ও ফল জন্মাবে। ৫ তখন তোমাদের গম মাড়াই করা চলবে আংগুর তুলবার সময় পর্যন্ত এবং আংগুর তোলা চলবে বীজ বুনবার সময় পর্যন্ত। … দেশের মধ্যে নিরাপদে বাস করবে।”
দ্বিবি ২৮:২-১২ বাধ্য হলে তবে অনুকূল আবহাওয়া
“তোমরা যদি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বাধ্য হও তবে এই সব আশীর্বাদ তোমরা পাবে আর তা তোমাদের সংগে থাকবে … ১১ যে দেশটা তোমাদের দেবেন বলে সদাপ্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছিলেন সেই দেশে তিনি তোমাদের প্রচুর দান করবেন, অর্থাৎ তিনি তোমাদের পরিবারে অনেক ছেলেমেয়ে, পশুপালে অনেক বাচ্চা ও ক্ষেতে অনেক ফসল দেবেন। ১২ “তোমাদের দেশে সময়মত বৃষ্টি দিয়ে তোমাদের হাতের সব কাজে আশীর্বাদ করবার জন্য সদাপ্রভু তাঁর দানের ভাণ্ডার, অর্থাৎ আকাশ খুলে দেবেন। তোমরা অনেক জাতিকে ঋণ দিতে পারবে, কিন্তু কারও কাছ থেকে তোমাদের ঋণ নিতে হবে না।”
দ্বিবি ১১:১৩-১৭ বাধ্য হলে তবে অনুকূল আবহাওয়া, অবাধ্য হলে প্রতিকূল আবহাওয়া
“কাজেই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালবাসা ও সমস্ত মন-প্রাণ দিয়ে তাঁর সেবা করবার যে আদেশ আজ আমি তোমাদের দিলাম তা তোমরা বিশ্বস্তভাবে পালন করবে। ১৪ তা করলে সদাপ্রভু সময়মত, অর্থাৎ শরৎ ও বসন্তকালে তোমাদের দেশের উপর বৃষ্টি দেবেন যার ফলে তোমরা প্রচুর শস্য, নতুন আংগুর-রস ও তেল পাবে। ১৫ সদাপ্রভু তোমাদের পশুপালের জন্য মাঠে ঘাস হতে দেবেন। তা ছাড়া তোমরাও প্রাণ ভরে খেতে পাবে। ১৬ “তোমরা কিন্তু সতর্ক থেকো, তা না হলে তোমরা ছলনায় পড়ে সদাপ্রভুর কাছ থেকে সরে যাবে এবং দেব-দেবতার সেবা ও পূজা করবে। ১৭ এতে তোমাদের উপর সদাপ্রভুর ক্রোধের আগুন জ্বলে উঠবে এবং তিনি আকাশের দরজা বন্ধ করে দেবেন, যার ফলে বৃষ্টিও হবে না এবং জমিতে ফসলও হবে না। যে চমৎকার দেশটা সদাপ্রভু তোমাদের দিচ্ছেন সেখান থেকে তোমরা অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।”
দ্বিতীয় বিবরণ ২৮:১৫-২৪ যদি অবাধ্য > প্রতি-কূল আবহওয়া
“কিন্তু তোমরা যদি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথায় কান না দাও এবং আজকের দেওয়া আমার এই সব আদেশ ও নিয়ম যত্নের সংগে পালন না কর, তবে এই সব অভিশাপ তোমাদের উপর নেমে আসবে … ২২ ক্ষয় রোগ, তিন রকমের মারাত্মক জ্বর, যুদ্ধ, গরম শুকনা বাতাস এবং ছাৎলা- এই সব সদাপ্রভু তোমাদের উপর নিয়ে আসবেন এবং তোমাদের কষ্ট দেবেন যতক্ষণ না তোমরা ধ্বংস হয়ে যাও। ২৩ তোমাদের মাথার উপরের আকাশ হবে ব্রোঞ্জের মত শক্ত, আর পায়ের তলার মাটি হবে লোহার মত শক্ত। ২৪ সদাপ্রভু এমন করবেন যাতে তোমাদের দেশে বৃষ্টির বদলে আকাশ থেকে ধূলা আর বালি পড়ে। সেগুলো তোমাদের উপর পড়বে যতক্ষণ না তোমরা শেষ হয়ে যাও।”
১ রাজা ৮:৩৫-৩৯, ২ বংশা ৬:২৬-৩১ উপাসনা-ঘরের উৎসর্গের সময়ে শলোমনের প্রার্থনা
“তোমার বিরুদ্ধে তোমার লোকদের পাপ করবার দরুন যখন আকাশ বন্ধ হয়ে বৃষ্টি পড়বে না, তখন তারা যদি এই জায়গার দিকে ফিরে তোমার গৌরব করে ও তোমার কাছে প্রার্থনা করে … ৩৬ তবে তুমি স্বর্গ থেকে তা শুনো এবং তোমার দাসদের, অর্থাৎ তোমার লোক ইস্রায়েলীয়দের পাপ ক্ষমা করে দিয়ো … এবং সম্পত্তি হিসাবে যে দেশ তুমি তাদের দিয়েছ সেই দেশের উপর বৃষ্টি দিয়ো। ৩৭ “যদি দেশে দুর্ভিক্ষ কিম্বা মড়ক দেখা দেয়, যদি ফসল শুকিয়ে-যাওয়া রোগ কিম্বা ছাৎলা-পড়া রোগ হয়, যদি ফসলে ফড়িং বা পংগপাল লাগে … ৩৮ তখন যদি তোমার লোক ইস্রায়েলীয়দের কেউ অনুতপ্ত হয়ে মনের কষ্টে এই উপাসনা-ঘরের দিকে হাত বাড়িয়ে কোন প্রার্থনা বা অনুরোধ করে, ৩৯ তবে তোমার বাসস্থান স্বর্গ থেকে তুমি তা শুনো। তুমি তাকে ক্ষমা কোরো ও সেইমত কাজ কোরো; তার সব কাজ অনুসারে বিচার কোরো, কারণ তুমি তো তার অন্তরের অবস্থা জান- কেবল তুমিই সমস্ত মানুষের অন্তরের খবর জান।”

২ বংশা ৭:১২-১৪ উপাসনা-ঘরের দিকে অনুতাপের প্রার্থনা করলে ঈশ্বর শুনবে
“পরে এক রাতে সদাপ্রভু শলোমনকে দেখা দিয়ে বললেন, “আমি তোমার প্রার্থনা শুনেছি এবং উৎসর্গের অনুষ্ঠান করবার ঘর হিসাবে আমার জন্য আমি এই জায়গা বেছে নিয়েছি। ১৩ “যখন আমি আকাশ বন্ধ করে দেব আর বৃষ্টি পড়বে না, কিম্বা দেশ ধ্বংস করবার জন্য পংগপালকে আদেশ দেব, কিম্বা আমার লোকদের মধ্যে মড়ক পাঠিয়ে দেব, ১৪ তখন আমার লোকেরা, যাদের আমার লোক বলে ডাকা হয় তারা যদি নম্র হয়ে প্রার্থনা করে ও আমার দয়া চায় এবং মন্দ পথ থেকে ফেরে, তবে স্বর্গ থেকে তা শুনে আমি তাদের পাপ ক্ষমা করব এবং তাদের দেশের অবস্থা ফিরিয়ে দেব।”
- এখানে আমরা পুরাতন নিয়মের একটি মূল শিক্ষা পাই: ঈশ্বর মানুষকে আইন বুঝিয়ে দেন: কোন আচারণের কি ফলাফল থাকবে। “যদি … তবে …” । কারণ ও ফলাফল। যদি তুমি এটা কর তবে এর ফল ওটা। যদি তুমি এর বিপরীত কর তবে এর ফলাফলও বিপরীত। এই পৃথিবী প্রাকৃতিক ও নৈতিক আইন অনুসারে চলে।
- ঈশ্বর মানুষকে আরো বুঝিয়ে দেন মানুষের সিদ্ধান্ত কত গুরুত্বপূর্ণ। এমন কি জলবায়ূ, আবহাওয়া বা জমির উর্বরতা মানুষের সিদ্ধান্ত ও আচরণের উপর নির্ভরশীল। একটি জমির উপর কি আচরণের মানুষ বাস করে, তা জমির অবস্থার উপর বড় প্রভাবে ফেলে, উভয় ব্যবহারিকভাবে এবং আত্মিকভাবে।
- যদি মানুষ জমিটি ঈশ্বরের ভাল উপহার ও সুযোগ হিসাবে দেখে, যদি তারা ঈশ্বরকে দাতা হিসাবে স্বীকার করে এবং তাঁর সাহায্য যাচঞা করে, যদি তারা পরিশ্রমী হয় এবং জমিটি মূলবান বলে ভাল কাজে লাগায় তবে ঈশ্বরের আশীর্বাদ অবশ্যই আসবে।
গীত ৮৪:৬
“বাকা-উপত্যকার মধ্য দিয়ে যাবার সময় তারা জায়গাটাকে ফোয়ারার স্থান করে তোলে; প্রথম বর্ষার বৃষ্টি সেই জায়গাটাকে আশীর্বাদে ভরে দেয়।”
লক্ষ্য করুন যে এই পদ অনুসারে মানুষই জায়গাটিকে ফোয়ারা স্থান করে তোলে কিন্তু ঈশ্বরই বৃষ্টি দান করেন!
ইব্রীয় ৬:৭-৮
“যে মাটি বার বার বৃষ্টির জল চুষে নিয়ে চাষীদের দরকারী শাক-সব্জী জন্মায় সেই মাটি ঈশ্বরের আশীর্বাদ পায়। ৮ কিন্তু যে মাটি কাঁটাঝোপ আর শিয়ালকাঁটা জন্মায় সেই মাটি অকেজো হয়ে যায় এবং তাতে অভিশাপ পড়বার ভয় থাকে। শেষে লোকে তা পুড়িয়ে ফেলে।”
- ইব্রীয় পুস্তকের লেখক এখানে “মাটি” রূপক অর্থে ব্যবহার করেন: মানুষ হিসাবে আমরাই মাটি, আমরা ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাই কিন্তু আমাদেরকে অন্যদের জন্য আশীর্বাদের কারণও হতে হবে। সফলতা হল প্রতিজ্ঞা, এবং একইসাথে দাবি।
ঈশ্বর আবহওয়া আশীর্বাদ হিসাবে ব্যবহার করেন
আদি ২:৫ তখনও ঈশ্বর পৃথিবীর উপর বৃষ্টি পড়ার ব্যবস্থা করেন নি।
আদি ৮:২ প্লাবনের শেষে মাটির নীচের সমস্ত জল বের হল এবংআকাশের ফাটলগুলো বন্ধ হয়ে গেল।
আদি ৮:১ প্লাবনের শেষে: ঈশ্বর নোহকে স্মরণ করিয়ে বাতাস বহালেন।
যাত্রা ৯:৩৩-৩৪ মোশির কথা অনুসারে ঈশ্বর ৭ম আঘাতে শিলাবৃষ্টি থামান।
যাত্রা ১০:৯ ঈশ্বর একটি বাতাস যোগান দেন যা ৮ম আঘাতের পঙ্গপাল মিসর থেকে সরিয়ে দেয়।
যাত্রা ১৪:২১, ১৫:১০ ঈশ্বর সারা রাত ধরে একটা পূর্বের বাতাস বইতে দেন।
গণনা ১১:৩১ ইস্রায়েলের মাংস খাওয়ার দাবি অনুসারে ঈশ্বর বাতাস দ্বারা ভারুই পাখী নিয়ে আসেন।
১ রাজা ১৮:৪৫ রাজা আহাব ও ভাববাদী এলিয়ের সময়: ঈশ্বর ৩ বছর দুর্ভিক্ষের পরে বৃষ্টি নিয়ে আসেন।
যোনা ১:৪ ঝড় পাঠান যেন যোনার জাহাজ সংকটে পড়ে।
যোনা ৪:৮ ঈশ্বর যোনাকে সংকটে ফেলার জন্য গরম পূর্বের বাতাস পাঠিয়ে দেন।
২ রাজা ৩:১৭ ইলীশায় জল-ভিত্তিক একটি আশ্চর্য কাজ করেন যার সাহায্যে ইস্রায়েল যুদ্ধে জয় করে।
গীত ৬৮:৯ ঈশ্বর প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি দিয়ে শুকিয়ে ওঠা দেশকে সতেজ করে তোলেন।
যিশাইয় ৩০:২৩ উদ্ধারের প্রতিজ্ঞা: ঈশ্বর বৃষ্টি দান করবেন > বীজ বুনলে ফসল আসবে > ভাল, পুষ্ট।
হোশেয় ৬:৩ ঈশ্বরকে অন্বেষণ করলে তিনি বসন্তকালের মাটি ভেজানো বৃষ্টির মত আসবেন।
যোয়েল ২:২৩ খুশী হও, ঈশ্বর তোমাদের শরৎ কালের বৃষ্টি দিয়েছেন, প্রচুর বৃষ্টি দিচ্ছেন, আগের মত।
সখরিয় ১০:১ ঈশ্বরকে ডাক > তিনিই বৃষ্টির মেঘ তৈরি করে বৃষ্টি দান করেন, ক্ষেতে ফসল জন্মান।
প্রেরিত ১৪:১৭ ঈশ্বর সাক্ষ্য ও দয়া দেন: আকাশ থেকে বৃষ্টি, সময়মত ফসল ও প্রচুর খাবার, আনন্দ দান।
যাকোব ৫:১৮ এলিয় আবার প্রার্থনা করলেন > আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়ল আর মাটিতে ফসল হল।

ঈশ্বর চাষের জন্য প্রয়োজনীয় আবহাওয়া উপযুক্ত সময়ে দান করবেন
লেবীয় ২৬:৪ “সময়মত আমি বৃষ্টির ব্যবস্থা করব। জমিতে পুরো ফসল হবে,গাছ-গাছড়ায়ও ফল জন্মাবে”
দ্বিবি ১১:১৪ “সদাপ্রভু সময়মত, অর্থাৎ শরৎ ও বসন্তকালে তোমাদের দেশের উপর বৃষ্টি দেবেন যার ফলে তোমরা প্রচুর শস্য, নতুন আংগুর-রস ও তেল পাবে।”
উপদেশক ৩:১ “আকাশের নীচে প্রত্যেকটি কাজেরই একটা নির্দিষ্ট সময় আছে।”
যির ৩৩:২০ “দিন ও রাত সম্বন্ধে আমার যে নিয়ম আছে তা যদি ভাংগা যায় …”
যিহি ৩৪:২৬ “আমি তাদের আশীর্বাদ করব, ঠিক সময়ে বৃষ্টি পাঠাব; তা হবে আশীর্বাদের বৃষ্টি।”
তবুও আবহাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ওঠানামা বা পরিবর্তন হয়
আদি ১২:১০, ২৬:১, ৪২:৫,১৯,৩৩, ৪৩:১, ৪৭:৪,১৩ কনান দেশে দুর্ভিক্ষ
আদি ৪১:২৭,৩০-৩১,৩৬,৫০, ৪৫:৬,১১, ৪৭:২০ মিসর দেশে দুর্ভিক্ষ
আদি ৪১:৫৬-৫৭ অনেক দেশে দুর্ভিক্ষ (১৮৮০ খ্রীষ্টপূর্ব)।
লূক ১৫:১৪ হারানো ছেলের দৃষ্টান্ত: দেশে একটি দুর্ভিক্ষ হয় বলে ছেলেটি দুরাবস্থায় পড়ে।
মথি ২৪:২০, মার্ক ১৩:১৮ প্রাথনা কর যেন এই ঘটনাটি শীতকালে না ঘটে।
ঈশ্বর আবহাওয়া দ্বারা বিচার করেন
আদি ৭:৪ নোহের সময়ে মানব জাতিকে মন্দতার জন্য ঈশ্বরের বিচার: ৪০ দিন বৃষ্টি, প্লাবন।
ইয়োব ১:১৯ মরু-এলাকা থেকে হঠাৎ করে জোর বাতাস এসে ইয়োবের ঘর, সন্তানদের ধ্বংস।
যাত্রা ৯:১৮ মিসরের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের ৭ম আঘাতের ঘোষণা: শিলাবৃষ্টি (১৪৪৬ খ্রীঃপূঃ)।
যাত্রা ৯:১৮-১৯,২২-২৬,২৮-২৯,৩৩-৩৪,১:৫,১২,১৫, গীত ৭৮:৪৭-৪৮,১০৫:৩ শিলাবৃষ্টির আঘাত
যাত্রা ১০:১৩ মিসরের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের ৮ম আঘাত: পঙ্গপাল (১৪৪৬ খ্রীঃপূঃ)।
গীত ১০৫:১৬ মিসরের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের ৭ম আঘাতের ঘোষণা: আঘাতের কারণে দুর্ভিক্ষ (১৪৪৬ খ্রীঃপূঃ)।
দ্বিবি ৩২:২৪ ইস্রায়েলের অবাধ্যতায় ঈশ্বরের বিচার: দুর্ভিক্ষ, মড়ক, রোগ, ক্ষয়, বুনো পশু।
রূত ১:১ বিচারকদের সময়ে ইস্রায়েলের অবাধ্যতার উপরে ঈশ্বরের বিচার (১৩০০ খ্রীঃপূঃ)
১ শমূ ১২:১৭-১৮ শমূয়েল মেঘের গর্জন এবং বৃষ্টি যাঙ্চনা করেন যেন ইস্রায়েল অনুতপ্ত হয় (১১০০ খ্রীঃপূঃ)।
২ শমূ ২১:১, ১ বংশা ২১:১২ গিবিয়োনীয়দের মৃত্যুর কারণে দায়ূদের সময়ে ৩ বছরের দুর্ভিক্ষ (১০০০ খ্রীঃপূঃ)।
২ শমূ ২৪:১৩ দায়ূদের লোকগণনার জন্য একটি সম্ভাব্য শাস্তি: ৭ বছরের দুর্ভিক্ষ (১০০০ খ্রীঃপূঃ)।
১ রাজা ১৭:১,৭, ১৮:২, লূক ৪:২৫, যাকোব ৫:১৭ এলিয় ও রাজা আহাবের সময়ে ইস্রায়েলের উপরে ঈশ্বরের বিচার: সারে ৩ বছর দুর্ভিক্ষ (৮৬০ খ্রীঃপূঃ)।
২ রাজা ৬:২৫, ৭:৪ ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার: অরামীয়দের ঘেরাওয়ের কারণে দুর্ভিক্ষ (৮৫০ খ্রীঃপূঃ)।
২ রাজা ৮:১ ঈশ্বর দুর্ভিক্ষ পাঠাবেন > এলিয় শূনেমীয় মহিলাকে ইস্রায়েল ছেড়ে যেতে (৮৫০ খ্রীঃপূঃ)।
গীত ৪৮:৭ ঈশ্বরের বিচার: জোরালো পূর্বের বাতাস দিয়ে তর্শীশ-জাহাজ ভেঙ্গে ফেলবেন।
গীত ৭৮:৪৬-৪৭ ঈশ্বরের বিচার: তিনি শস্য, ফসল পঙ্গপালকে দেন, শিলাবৃষ্ট, শিশির দিয়ে গাছ নষ্ট করেন।
যিশাইয় ১১:১৫ মিসরের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার: তিনি বাতাস দিয়ে সুয়েজ উপসাগর শুকিয়ে ফেলবেন।
হোশেয় ৪:১৯ ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার: তারা শাস্তির বাতাসের মত উড়ে যাবে (৭৬০ খ্রীঃপূঃ)।
হোশেয় ১৩:১৫ সফলতা লাভ করলেও ঈশ্বর থেকে বাতাস > ফোয়ারাতে জল, কূয়া শুকিয়ে যাবে।
আমোষ ৪:৭-৮ ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার: বৃষ্টি বন্ধ, জলের অভাব কিন্তু অনুতাপ নেই (৭৬০ খ্রীঃপূঃ)।
যিশাইয় ৫:৬ যিহূদার বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার: কেবল কাঁটাঝোপ, বৃষ্টি বন্ধ, কিন্তু অনুতাপ নেই।
২ বংশা ৩২:১১ রাজা হিষ্কিয়ের সময়ে বাবিলীয়রা ঘেরাওয়ের ও দুর্ভিক্ষের হুমকি দেয় (৭০১ খ্রীঃপূঃ)।
যির ৩:৩ ঈশ্বর বৃষ্টি বন্ধ করেছেন, তবুও যিহূদার কোন লজ্জা নেই (৬২০ খ্রীঃপূঃ)।
যিরমিয় ৪:১১-১২ যিহূদার বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার: গরম জোরালো মরু-এলাকার বাতাস (৬২০ খ্রীঃপূঃ)।
যির ৫:১২ যিহূদার মিথ্যা নিশ্চয়তা: ঈশ্বর কিছুই করবেন না, যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষ দেখব না (৬২০ খ্রীঃপূঃ)।
যির ৫:২৪ ঈশ্বরকে ভয় করে না যিনি সময়মত শরৎ ও বসন্তকালের বৃষ্টি দেন (৬২০ খ্রীঃপূঃ)।
যির ১৪:৪ বৃষ্টি নেই, মাটি ফেটে গেছে, চাষীরা হতাশ হয়ে মাথায় হাত দেয়।
যির ১৪:১৩,১৫ ভ্রান্ত ভাববাদী বলে: যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ দেখবে না, কষ্ট পাবে না (৬০০ খ্রীঃপূঃ)।
যির ২৭:৮ যে ঈশ্বর জাতিদের এবং বুনো পশুদেরও বাবিলের অধীনতায় দিয়েছেন (৬০০ খ্রীঃপূঃ)।
যির ৩৬:৩০ যিহোয়াকীমের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার: তার দেহ গরমে ঠাণ্ডায় পড়ে থাকবে (৬০০ খ্রীঃপূঃ)।

যিহি ১৩:১১,১৩ ভ্রান্ত ভাববাদীদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার: বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, ঝোড়ো বাতাস (৫৯০ খ্রীঃপূঃ)।
যিহি ১৭:১০, ১৯:১২ যিহূদার বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার: পূর্বের বাতাস যা রূপক অর্থে বাবিলকে বুঝায় (৫৯০ খ্রীঃপূঃ)।
যিহি ২৭:২৬ সোরের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার: পূর্ব বাতাসে জাহাজগুলো টুকরা টুকরা হয়ে গেল।
যিহি ৩৮:২২ গোগের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার: ঈশ্বর বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ও আগুন পাঠাবেন।
২ রাজা ২৫:৩, যিশাই ৫১:১৯, যির ১১:২২, ১৪:১২,১৬,১৮, ১৫:২, ১৬:৪ ১৮:২১, ২১:৭,৯, ২৪:১০, ২৭:১৩,১৭,১৮, ৩২:২৪,৩৬, ৩৪:১৭, ৩৮:২, ৪২:১৬-১৭,২২, ৪৪:১২-১৩,১৮,২৭, ৫২:৬, যিহি ৫:১২,১৬-১৭, ৬:১১-১২, ৭:১৫-১৬, ১৪:২১, বিলাপ ৫:১০: যিহূদার বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার: বাবিল দ্বারা দখল, যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ (৫৮৬ খ্রীঃপূঃ)।
যিশা ১৪:৩০, যির ৫০:৩৮ বাবিলের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের বিচার: দুর্ভিক্ষ, খরায়, জল শুকিয়ে যাবে (৫৩৯ খ্রীঃপূঃ)।
হগয় ১:১১, ২:১৭ ঈশ্বরের (আংশিক) বিচার: খরা, শুকিয়ে যাওয়া, ছাৎলা রোগ, শিলাবৃষ্ট।
প্রকাশিত ৮:৭ ঈশ্বরের (আংশিক) বিচার: রক্ত মিশানো শিলাবৃষ্টি ও আগুন।
প্রকাশিত ১১:৬ ঈশ্বরের সাক্ষীদের বিনতিতে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায় (যেন মানুষ অনুতপ্ত হয়)।
প্রকাশিত ১৬:৯,২১, ১৮:৮ মানুষদের উপর ঈশ্বরের (চূড়ান্ত) বিচার: তাপ, শিলাবৃষ্টি, আঘাত, দুর্ভিক্ষ।
২ পিতর ৩:১০,১২ ঈশ্বরের চূড়ান্ত বিচার: পৃথিবী ও মহাকাশ এবং তার মধ্যে যা কিছু আছে পুড়ে যাবে।

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভক্তদের জন্য ঈশ্বরের সুরক্ষা এবং এমন কি প্রচুর যোগান
দ্বিতীয় ৮:১৫,১৩:৫ ঈশ্বর মরু-এলাকায় সুরক্ষা দিয়েছেন, পাথরের মধ্য থেকে জল বের করেছেন।
যিশাইয় ৪:৬ বেঁচে থাকা লোকদের জন্য ঈশ্বরের আশীর্বাদ: রোদ, ঝড় ও বৃষ্টির সময়ে আশ্রয়।
যিশাইয় ৫৮:১১ ঈশ্বর শুকিয়ে যাওয়ার দেশে তোমাদের প্রয়োজন মিটাবেন, শক্তি দান করবেন। তোমরা ভালভাবে জল পাওয়া বাগানের মত হবে, ফোয়ারা মত যার জল কখনও শুকাবে না।
গীত ১:১, যির ১৭:৮ ঈশ্বর ভক্তরা জলস্রোতের ধারে লাগানো গাছ, দুর্ভিক্ষের সময়েও সবুজ পাতা, ফল দেবে।
ইয়োব ৫:২০,২২, গীত ৩৩:১৯, ৩৭:১৯, ৩৬:২৯-৩০ ঈশ্বর দুর্ভিক্ষ, মৃত্যু ও যুদ্ধ থেকে উদ্ধার করতে জানেন।
রোমীয় ৮:৩৫ অত্যাচার, দুর্ভিক্ষ, খিদা, অভাব কি খ্রীষ্টের ভালবাসা থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে?
প্রকাশিত ৭:১ পৃথিবীর ৪ কোনায় ৪টি স্বর্গদূত ৪ কোনার বাতাস আটকে রাখে > বিশ্বাসীদের সীলমোহর।
ঈশ্বর ইস্রায়েলকে কনানের ভূগোল, জলবায়ূ ও আবহাওয়ার বিষয়ে নির্দিষ্ট শিক্ষা দেন
দ্বিতীয় বিবরণ ১১:৮-১২
“সদাপ্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষ ও তাদের বংশধরদের কাছে দুধ আর মধুতে ভরা যে দেশ দেবার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন সেখানে অনেক দিন বাঁচতে পার সেইজন্য আজ আমি তোমাদের যে সব আদেশ দিচ্ছি তা পালন করবে। ১০ তোমরা যে দেশটা দখল করতে যাচ্ছ সেটা মিসর দেশের মত নয় যেখান থেকে তোমরা এসেছ। তোমরা সেখানে বীজ বুনতে, আর সব্জী ক্ষেতে যেমন করা হয় তেমনি করে সেখানে পা দিয়ে জল সেচের কাজ করতে। ১১ কিন্তু যর্দন নদী পার হয়ে যে দেশটা তোমরা দখল করতে যাচ্ছ সেটা পাহাড় আর উপত্যকায় ভরা; সেই দেশ জল পায় আকাশ থেকে। ১২ সেই দেশের দেখাশোনা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুই করেন।”
- ঈশ্বর এখানে ইস্রায়েল জাতিকে খুব নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেন: যে দেশে তারা যাচ্ছে তা মিসরের মত নয়। তা হল বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল পাহাড়ী একটি দেশ, যাতে জল নদী থেকে আসে না বরং আকাশ থেকে। ঈশ্বর তাদেরকে ভূগোল, জলবায়ূ ও আবহাওয়া সম্বন্ধীয় শিক্ষা দেন।
- প্রকৃতপক্ষে মিসর সেই সময় এবং আধুনিক যুগ পর্যন্ত নীল নদীর উপরে নির্ভরশীল একটি দেশ যেখানে নীল নদীর পাড়ে সেচ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে গমের ফলবান চাষ হত (আদি ৪১:৪৬-৪৯)। এখানে মিসরকে ‘সবজী বাগান’ বলা হয়। মিসরের আবহাওয়া এমন যে সারা বছর বৃষ্টি নেই বললেই চলে, কিন্তু নীল নদীতে সারা বছর জলভরা কারণ নীল নদীর মাথা এমন একটি এলাকায় অবস্থিত যেখানে প্রচুর বৃষ্টি হয়।
- অপর পক্ষে ইস্রায়েল হল পাহাড়ি একটি দেশ, যেখানে পাহাড়, টিলা, উপত্যকা ও কিছু সমতল জায়গা পাওয়া যায়। ইস্রায়েলের মাটির গভীরতা কম, ফলে প্রায় সোপান বানিয়ে (terracing) চাষ করতে হয়। মিসরে বন বলতে কিছু নেই কিন্তু ইস্রায়েলে তা থাকবে। ইস্রায়েল পশ্চিমা বাতাস দ্বারা বৃষ্টি পায়: ভূমধ্যসাগর থেকে আর্দ্র বাতাস পাহাড় বেয়ে উপরদিকে ওঠে এবং এভাবে ঠাণ্ডা হয়ে বৃষ্টি পরে। উভয় যর্দন উপত্যকার বাম এবং ডান পাহাড়গুলো বৃষ্টি পেত। যর্দন নদীতে উত্তরের উঁচু পাহাড় (লেবনন ও সিরিয়ন) থেকে বৃষ্টি পেয়ে সারা বছর জল থাকত (যির ১৮:১৪), কিন্তু ছোট নদীগুলো গরমকালে শুকিয়ে যেত। এছাড়া যর্দন নদী নীল নদীর চেয়ে অনেক ছোট।
- ইস্রায়েল জাতির তাই সব সময় প্রয়োজনীয় বৃষ্টির জন্য ঈশ্বরের উপর নির্ভর করতে হয়। ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা দিয়েছেন যে তিনি তা বিশ্বস্তভাবে ও দয়ালুভাবে দান করতে থাকবেন (দ্বিতীয় বিবরণ ১১:১২) যেন ইস্রায়েল জাতি বড় অবাধ্যতা বা অন্যায় করে ঈশ্বরকে বৃষ্টি বন্ধ করতে বাধ্য না করেন (দ্বিতীয় বিবরণ ১১:১৬-১৭)।


দ্বিতীয় বিবরণ ৮:৭-৯

“তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে চমৎকার দেশটিতে তোমাদের নিয়ে যাচ্ছেন সেখানে রয়েছে পাহাড় ও উপত্যকা দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী, ফোয়ারা আর মাটির তলার জল। ৮ সেখানে রয়েছে প্রচুর গম ও যব, আংগুর ও ডুমুর গাছ এবং ডালিম, জলপাইয়ের তেল আর মধু। ৯ সেই দেশে তোমরা পাবে প্রচুর খাবার এবং কোন কিছুরই অভাব তোমাদের থাকবে না। সেখানকার পাথরে রয়েছে লোহা। সেখানকার পাহাড় থেকে তোমরা তামা খুঁড়ে তুলতে পারবে।”
- ঈশ্বর দেখান যে কনান দেশে নদীর পাশাপাশি ফোয়ারা ও মাটির তলার জলও পাওয়া যাবে। বৃষ্টি পড়লে কিছু জল মাটির বিভিন্ন স্তরে ঢুকে সেগুলো পুনরায় পূর্ণ করে। এই জল পরে ছেঁকে বিশুদ্ধ জলের ফোয়ারা হিসাবে আর এক জায়গায় আবার ফোয়ারা হিসাবে পাওয়া যাবে।
- মাটির স্তরের মধ্যে সেই জল অব্রাহামের সময়েও উল্লেখ পায়, যখন অব্রাহাম জলের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় কূপ খুঁড়তে বলেন (আদি ২৬:১২-২২)। মাঝে মধ্যে তিনি খুঁড়ে এমন মাটির স্তর পায় যেখানে জল পাওয়া যায় এবং এভাবে শুকনা জায়গায়ও কূপ থাকতে পারে।
- খাবার জল কত গুরুত্বপূর্ণ তা বিশেষভাবে প্রকাশ পায় যখন ইস্রায়েল মরুপ্রান্তরে ঘুরে এবং জল অথবা জলের অভাব ইস্রায়েলের জন্য এবং এমন কি মোশির জন্য পাপের কারণ হয়ে যায় (যাত্রা ১৫;২২-২৬, ১৭:১-৭, গণনা ২০:১-১৩)। এছাড়া তা চারিদিকে জাতিদের সাথে ঝগড়ার বিষয়ও হয়ে যায় (গনা ২০:১৮-২১)।
- ঈশ্বর আরো দেখান কনান দেশে কি ধরণের ফসলের জন্য শ্রেষ্ঠ: গম, যব, আঙ্গুর, ডুমুর, ডালিম, জলপাই ও মধু।
দ্বিতীয় বিবরণ ২৬:৯
“তিনি আমাদের এখানে এনেছেন এবং দুধ আর মধুতে ভরা এই দেশ আমাদের দিয়েছেন।”
- কনানকে বাইবেলে বার বার “দুধ ও মধু প্রবাহিত দেশ” বলা হয় (যাত্রা ৩:৮,১৭, ১৩:৫, ৩৩:৩, লেবীয় ২০:২৪, গণনা ১৩:২৭, ১৪:৮, ১৬:১৪, দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৩, ১১:৯, ২৬:৯,১৫, ২৭:৩, ৩১:২০, যিহোশূয় ৫:৬, যির ১১:৫, ৩২:২২, যিহি ২০:৬,১৫).
- এই রূপকের অর্থ কি? দুধ ও মধু এখানে চমৎকার খাবারের উৎস, সফলতা বা প্রাচুর্য বুঝায়, মঙ্গল একটি দেশ যেখানে যথেষ্ট ভাল, পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও মিষ্টি খাবার পাওয়া যায়।
- রূপকটি যে ইতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত, তা আমরা গণনা ১৬:১৩, পদেও দেখি যেখানে ইস্রায়েল জাতি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে মিসর দেশকে “দুধ ও মধু প্রবিহাত দেশ” বলে এবং সেখানে ফিরে যেতে চায়।
- কিন্তু “দুধ ও মধু প্রবিহাত দেশ” হতে পারে কনান কি ধরণের দেশ, তার নির্দিষ্ট বর্ণনা: “দুধ” মানে ঘাস দিয়ে ঢাকা টিলা বা পাহাড় যেখানে সবজির চেয়ে গরু, ভেড়া ও ছাগল পোষা যায়। অবশ্যই কিছু উপত্যকায় গম ও সবজিও হত, কিন্তু সব মিলিয়ে ইস্রায়েলের অনেক অংশে ঘাস ছাড়া কিছু হয় না। “মধু” হতে পারে বন জাতীয় জায়গায় বুঝায়, যেখানে মৌমাছি ভাল হয়।
ঈশ্বর মানুষদেরকে ঋতু, জলবায়ূ ও আবহাওয়াকে লক্ষ্য করতে এবং বুঝতে বলেন
আদি ৪১:৬,২৩,২৭ পূর্বের বাতাস গরম, তা সব কিছু শুকিয়ে দেয়।
উপদেশক ১:৬ বাতাসের বৃত্তাকার বা ঘূর্ণায়মান চলাচলের বর্ণনা: বাতাস দক্ষিণ দিকে বয়, ঘুরে যায় উত্তরে।
উপদেশক ১১:৩ মেঘ যদি জলে ভরা থাকে তবে তা থেকে পৃথিবীতে বৃষ্টি পড়ে।
উপদেশক ১১:৪ চাষীরা খুব যত্নের সঙ্গে বাতাস ও আবহাওয়া লক্ষ্য করে (এখানে: অতি যত্নের সঙ্গে)।
হিতো ৬:৮, ৩০:২৫ গুরুত্বের সঙ্গে ঋতু ও আবহাওয়া লক্ষ্য কর: উপযুক্ত সময়ে কাজ করা, যেমন পিঁপড়াও।
হিতো ১০:৫ গুরুত্বের সঙ্গে ঋতু ও আবহাওয়া লক্ষ্য কর: জ্ঞানী ছেলে গরমকালে ফসল জমা করে।
হিতো ২৬:১ অবেলায় বা অনুপযুক্ত সময়ের ঘটনা বা কাজ: গ্রীষ্মকালে তুষার, ফসল কাটার সময়ে বৃষ্টি।
হিতো ৩১:২১ গুণবতী স্ত্রী: বরফ বা তুষার পড়লেও দুশ্চিন্ত নেই, সবার জন্য উপযুক্ত কাপড় প্রস্তুত আছে।
পরমগীত ২:১১ লক্ষ্য কর! বুঝ!: শীতকাল চলে গেছে, বর্ষা শেষ হয়েছে, এখন বসন্তকাল।
যির ৮:২০ আফসোসের সঙ্গে খেয়াল করা: ফসল কাটার সময়, গরম কালও শেষ, কিন্তু উদ্ধার নেই।
যির ১৮:১৪ টিট্টকারী বা চেতনাদায়ক প্রশ্ন: “লেবাননের তুষার কি কখনও সম্পূর্ণ গলে যায়? দূর থেকে আসা তার ঠাণ্ডা জল বয়ে যাওয়া কি কখনও বন্ধ হয়ে যায়?”
লূক ১২:৫৫ লক্ষ্য কর! বুঝ!: দখিনা বাতাস বইতে দেখলে বলা হয় ‘গরম পড়বে’, আর তা-ই হয়।
মথি ১৬:২-৩ “সন্ধ্যা হলে বলেন ‘দিনটা পরিষ্কার হবে কারণ আকাশ লাল হয়েছে … আকাশের অবস্থা আপনারা ঠিক ভাবেই বিচার করতে জানেন, অথচ সময়ের চিহ্ন বুঝতে পারেন না।”
মথি ২৪:৩২, মার্ক ১৩:২৮, লূক ২১:৩০ লক্ষ্য কর: ডুমুর গাছের ডালপালা নরম হলে > গরমকাল এসে গেছে
হোশেয় ৮:৭ লক্ষ্য কর! বুঝ!: বাতাস বোনে > ঘূর্ণিজড় কাটে, শস্যের শীষে দানা নেই > ময়দা হবে না।
প্রেরিত ২৭:৭,১৩-১৫,২০, ২৮:১৩, ১ করিন্থীয় ১৬:৬, ২ তীমথিয় ৪:২১, তীত ৩:১২: শীতকালে ঝড়ের সম্ভাবনা বেশি > পৌল শীতকাল কোথায় কাটাবেন, তার পরিকল্পনা।
ঈশ্বর যখন পৃথিবীতে হস্তক্ষেপ করেন, সৃষ্টি সাড়া দেয়
২ শমূয়ের ২২:১১, গীত ১৮:১০-১৬
“তিনি করূবে চড়ে উড়ে আসলেন, উড়ে আসলেন বাতাসের ডানায় ভর করে। ১১ তিনি অন্ধকার দিয়ে নিজেকে ঘিরে ফেললেন; তাঁর চারপাশে রইল আকাশের ঘন কালো বৃষ্টির মেঘ। ১২ তাঁর আলোময় উপস্থিতির সামনে কালো মেঘ সরে গেল; শিলাবৃষ্টি আর বাজ বের হয়ে আসল। … ১৪ তিনি তীর ছুঁড়ে শত্রুদের ছড়িয়ে ফেললেন, আর বিদ্যুৎ চম্কিয়ে তাদের বিশৃঙ্খল করলেন। ১৫ হে সদাপ্রভু, তোমার ধমকে আর নিঃশ্বাসের ঝাপ্টায় মাটির তলার জল দেখা দিল, পৃথিবীর ভিতরটা বেরিয়ে পড়ল। ১৬ তিনি উপর থেকে হাত বাড়িয়ে আমাকে ধরলেন, গভীর জলের মধ্য থেকে আমাকে টেনে তুললেন।”
• বাইবেলে এই ধরণের আরও অনেক পদ পাওয়া যায়, যেমন ১ রাজা ১৯:১১, ইয়োব ৩৭:২১, গীত ১০৪:৩, যিশাইয় ২৯:৬ বা প্রকাশিত ১১:১৯।
• ঈশ্বর যখন নিজেকে প্রকাশিত করেন, যখন তিনি স্বয়ং এই পৃথিবীতে হস্তক্ষেপ করেন তবে সৃষ্টি সাড়া দেয়: আবারও আমরা সৃষ্টির উপরে ঈশ্বরের অসীম ক্ষমতার বর্ণনা পাই।
ঈশ্বর একটি অদ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পুনরুদ্ধার ঘটাবেন
যিশাইয় ৪৯:১০, প্রকাশিত ৭:১৬
- ঈশ্বর একটি চূড়ান্ত ও সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার ঘটানোর প্রতিজ্ঞা দিয়েছেন: ক্ষুধা, পিপাসা, তাপ বা সূর্য আর থাকবে না, থাকবে বরং ঈশ্বরের আলো।
ঈশ্বরের বাক্যের জন্য রূপক হিসাবে আবহাওয়া
যিশাইয় ৫৫:১০-১১
“বৃষ্টি ও তুষার আকাশ থেকে নেমে আসে
আর পৃথিবীকে জল দান না করে সেখানে ফিরে যায় না,
বরং তাতে ফুল ও ফল ধরায় এবং যে বীজ বোনে
তার জন্য শস্য আর যে খায় তার জন্য খাবার দান করে।
১১ ঠিক তেমনি আমার মুখ থেকে বের হওয়া বাক্য
নিষ্ফল হয়ে আমার কাছে ফিরে আসবে না,
বরং তা আমার ইচ্ছামত কাজ করবে
আর যে উদ্দেশ্যে আমি পাঠিয়েছি তা সফল করবে।”
