সরকার ০৬ – ইস্রায়েলের ইতিহাসে রাজতন্ত্র

গণতন্ত্র স্থাপনের জন্য ঈশ্বরের নির্দেশনা – দ্বিতীয় বিবরণ ১:৯-১৫
  • নেতাদের কারা নিযুক্ত করেন? – জনগণ > নির্বাচিত সরকার।
  • কোথা থেকে নেতা নিযুক্ত? – সকল দল থেকে > প্রতিনিধিত্বের সরকার।
  • কি ধরণের নেতা নিযুক্ত? – জ্ঞানবান (চরিত্র), বুদ্ধিমান (দক্ষতা), অভিজ্ঞ (পরিচিত, সুনাম)।
  • কিভাবে তাদের নিযুক্ত করা হয়েছে? – সর্বসম্মতিতে।
 
ইস্রায়েলের গণতন্ত্রের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
  • ১৪৪৬ খ্রীঃপূঃ ইস্রায়েল জাতি সীনয় পর্বতে তাদের সরকার স্থাপন করে।
  • ১৪০৫ খ্রীঃপূঃ ইস্রায়েল যিহোশূয়ের অধীনে কনান দেশ জয় লাভ এবং বসতি স্থাপন করে।
  • ১৩৬০-১০৫০ খ্রীঃপূঃ ইস্রায়েল আইনের অবাধ্য হওয়া শুরু করে (প্রতিমাপূজা, অবিচার, অন্যায়, ইত্যাদি)।
  • ঈশ্বর তাদের শত্রুদের শক্তিশালী হতে দেন, তাই ইস্রায়েল অত্যাচারিত হয়।
  • যতবার ইস্রায়েল অনুতপ্ত হয়, ঈশ্বর একজন বিচারক উঠান যিনি ইস্রায়েলকে উদ্ধার করেন।
  • ইস্রায়েল ১২ গোষ্ঠীর স্বচালিত সরকারের একটা যৌথ অবস্থা > কোন কেন্দ্রীয় সরকার নেই।
 
ইস্রায়েল একজন রাজা দাবি করে

১ শমূয়েল ৮:১-৩ “শমূয়েল বুড়ো বয়সে ইস্রায়েলীয়দের শাসনকর্তা হিসাবে তাঁর ছেলেদের নিযুক্ত করলেন। তাঁর বড় ছেলের নাম ছিল যোয়েল এবং দ্বিতীয় ছেলের নাম ছিল অবিয়। তারা বের্‌-শেবাতে শাসনকর্তার কাজ করত, কিন্তু তারা তাদের বাবার মত চলত না। তারা অন্যায়ভাবে ধন লাভের আশায় ন্যায়ের পথ ছেড়ে দিয়েছিল। তারা ঘুষ নিয়ে ন্যায়কে অন্যায় এবং অন্যায়কে ন্যায় বলে রায় দিত।”

১ শমূয়েল ৮:৪-৫ “কাজেই ইস্রায়েলীয়দের বৃদ্ধ নেতারা একত্র হলেন এবং রামায় গিয়ে শমূয়েলকে বললেন, “দেখুন, আপনি বুড়ো হয়ে গেছেন আর আপনার ছেলেরাও আপনার পথে চলছে না, তাই আপনি অন্যান্য জাতিদের মত আমাদের শাসন করবার জন্য একজন রাজা নিযুক্ত করুন।” 

আমরা এখান থেকে কি শিখতে পারি?

  • দূর্নীতি মানুষকে আরও কঠিন সমাধান গ্রহণ করতে ইচ্ছুক করে তোলে।
  • এমন কি ঈশ্বরীয় শমূয়েলও তার মনোভাব পরবর্তী প্রজন্মের কাছে দিতে পারেন নি।
  • সামনের প্রজন্মকে মূল্যবোধ দেওয়া সহজ নয়।
  • তারা ঐক্যে আছে, প্রক্রিয়া ভাল কিন্তু উদ্দেশ্য খারাপ।

১ শমূয়েল ৮:৬ “আমাদের শাসন করবার জন্য একজন রাজা নিযুক্ত করুন,”

  • ইস্রায়েলের ‘অন্যদের মত’ হতে চাওয়া।
  • ইস্রায়েল তাদের ধার্মিকতা ও ঈশ্বরীয় আইন দ্বারা অন্য জাতিদের উপর প্রভাব ফেলার কথা ছিল।
  • কিন্তু বিপরীত ঘটে: ইস্রায়েল নিজেরা অন্য জাতিদের তাদের আদর্শ বানাতে চায়।
  • ঈশ্বরের আহ্বানের প্রত‍্যাখান।
  • ঈশ্বরকে প্রত্যাখান।
 
একজন শক্তিশালী নেতাকে চাওয়া
  • আমরা কেন রাজা বা শক্তিশালী নেতাকে চাই? আমরা কেন ক্ষমতাকে উপরদিকে দিতে চাই?
  • একজন ‘শক্তিশালী নেতাকে চাওয়া’, আজকেও আমরা তা করি, বিশেষভাবে যখন অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা, অযোগ্যতা বা অশান্তি থাকে।
  • কিন্তু: যদি আমরা বর্তমান সরকারকে আইনের প্রতি দায়বদ্ধ রাখতে না পারি, তাহলে কিভাবে আমরা আরও ক্ষমতাশালী নেতাকে দায়বদ্ধ রাখব?
 
সমস্যার ভবিষ্যদ্বাণী
  • ১ শমূয়েল ৮:৯-১৭ ঈশ্বর: “তুমি তাদের সাবধান করে বলে দাও যে, তাদের উপর যে রাজা রাজত্ব করবে সে তাদের উপর কি রকম ব্যবহার করবে।”
  • ১ শমূয়েল ৮:১০-১৭ রাজা স্বেচ্ছাচারীতা বাড়াতে থাকবেন, নি‌য়ম ভাঙ্গতে থাকবেন, সাধারণ লোকদের দাস বানাতে থাকবেন। ধনী-গরীব পার্থক্য প্রসার হতে থাকবে।
  • ঈশ্বর এখানে সাবধানবাণী হিসাবে রাজতন্ত্রের ফলাফলের একটি বাস্তব বর্ণনা দেন। ইতিহাসে তা-ই ঘটেছে।
 
রাজতন্ত্রে সমস্যা
  • সরকার নির্বাচিত ন‍য়
    • জনগণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন ক্ষমতা নেই > খারাপ নেতাকে সরিয়ে দেওয়ার কোন ক্ষমতা নেই।
    • জনগণের ইচ্ছায় নয়, পারিবারিক লাইন অনুসারে সিদ্ধান্ত: প্রথম সন্তান, পিতা যাকে মনে করেন।
    • দক্ষতার প্রতিযোগিতা নয়, পারিবারিক লাইন অনুসারে নেতা নিযুক্ত (অভিলাষে বড় হওয়া নষ্ট ছেলে)।
    • পরিবারের ভিতরে প্রতিযোগিতা, চক্রান্ত, ক্ষমতার-খেলা, ষড়যন্ত্র, গুপ্তহত্যার সম্ভাবনা বাড়ে।
    • বিপর্যয়মূলক রাজা হয়ে থাকলে, পরিবর্তন আনার কোন ভাল পথ নেই, শুধুমাত্র বিদ্রোহ বা সহিংসতার পথ।
  • জ্ঞানী (প্রজ্ঞাপূর্ণ), বুদ্ধিমান (দক্ষ) ও পরিচিত (সুনামের) ব্যক্তি ?
    • নেতৃত্ব দক্ষতা, জ্ঞান বা সুনাম অনুসারে পছন্দ হয় না বরং উত্তারাধিকারসূত্র অনুসারে।
    • উত্তরাধিকারপ্রাপ্ত ছেলে ভাল হওয়া এটা ভাগ্যের বিষয়।
    • কোন যোগ্যতা বা উপযুক্ততার গুরুত্ব নেই > এটা হলে সাধারণত নেতৃত্ব খারাপ থাকে।
    • বিলাসীতা বা একচেটিয়াভাব ভবিষ্যত নতুন রাজাকে ভ্রষ্ট করবে।
    • ষড়যন্ত্র ও ক্ষমতার খেলা ভাল চরিত্রের চেয়ে বেশি কার্যকর বলে মনে করা হয়।
  • সরকার প্রতিনিধিত্বমূলক নয়
    • লোকদের প্রয়োজনের বিষয় কম যোগাযোগ হচ্ছে, কম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, কম ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
    • এর ফলে অদক্ষতা, অবহেলা, খারাপ নেতৃত্ব, অসন্তোষ, অবিচার ও কম নিরাপত্তা পাওয়া যায়।
    • জনগণের মধ্যে ক্ষমতাহীনতার অনুভুতি থাকে ও তারা আশা ছেড়ে দিবে।
    • ঝুঁকিপূর্ণ “সমাধান” এর জন্য রাজি হয়ে যায় (যেকোন পথে হোক, পরিবর্তন দরকার)।

    • অবশেষে বিদ্রোহ।

 
ইস্রায়েলের একজন রাজা ও রাজতন্ত্রের জন্য জোরাজুরি – ১ শমূয়েল ৮:১৮, ১৯, ২২
  • জনগণ উত্তরে কি বলে খেয়াল করুন: “না, আমরা একজন রাজা চাই …”
    • “না”, মানে তারা রাজতন্ত্র চায় কিন্তু রাজতন্ত্রের ফলাফল অস্বীকার করে।
    • তারা ‘শিশুর মত ভাব প্রকাশ করে (‘জিনিষটা চাই কিন্তু ফলাফল চাই না!’)। এইটা নির্বুদ্ধিতা মাত্র।
  • ঈশ্বর: “তুমি তাদের কথা শোন এবং তাদের জন্য তুমি একজন রাজা নিযুক্ত কর।”
  • জনগণকে সরকার নিযুক্ত করার অধিকার দেওয়ার নীতিমালাটিকে ঈশ্বর এখানে সম্মান ও রক্ষা করেছেন।
রাজতন্ত্রের ১ম রাজা: শৌল – ১ শমূয়েল ৯-৩১
  • তাদের চাওয়া অনুসারে শৌল শত্রুদের উপর সামরিক বিজয় অর্জন করেন।
  • কিন্তু দ্রুত অবনতি ঘটে:
    • শৌল ব্যক্তিগতভাবে অনিশ্চয়তায় ভোগেন, ঈশ্বরের চেয়ে মানুষকে ভয় করেন, ঈশ্বর ও লোকদের উপর নির্ভরতা বা বিশ্বাস নেই, বরং সব কিছু নিজের হাতে নিয়ে নেন।
    • চাপে তিনি বার বার অবাধ্য হতে থাকেন।
    • তার চারিদিকে দ্রুত হ্যাঁ বলা লোকদের সংগ্রহ হয়ে যায় (যেমন দোয়েগ, রাজার আদেশে ৮৫ যাজক হত্যা)
    • তিনি প্রতিদ্বন্দী লোকদের প্রতি ঈর্ষা করেন, তাদের শিকারে পরিণত করেন, হত্যা করতে চেষ্টা করেন।
    • ঈশ্বর তাকে রাজা হওয়া থেকে বাতিল করার পরেও (১ শমূয়েল ১৩, ১৫) শৌল জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে থাকেন।
  • অবশেষে একজন ওঝার পরামর্শে শৌল যুদ্ধে দুঃখজনক মৃত্যু গ্রহণ করেন।
 
রাজতন্ত্রের দ্বিতীয় রাজা: দায়ূদ – ১ শমূয়েল ১৬ – ২ শমূয়েল ২৪
  • ঈশ্বর দায়ূদকে রাজপদে মনোনীত করেছেন বলে ভাববাদী শমূয়েলের হাত দিয়ে দায়ূদের অভিষেক।
  • ব্যক্তিগতভাবে তিনি ঈশ্বরীয় > ভাল রাজা।
  • ইস্রায়েলের সবচেয়ে মহান রাজা, কিন্তু রাজতন্ত্র পদ্ধতিটি তারপরেও খারাপ
  • দায়ূদও আস্তে আস্তে মন্দ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েন:
    • ব্যভিচার করতে তার ক্ষমতা ব্যবহার করেন।
    • তা লুকানোর জন্য খুন করার আদেশ দেন।
    • তার দুষ্ট ছেলেদের বিচার করতে প্রত্যাখান।
    • অবশালোনকে নিয়ন্ত্রণ করতে অস্বীকার।

 

তার বিভিন্ন আচরণের কারণে পরবর্তীর প্রজন্মের জন্য কি কি খারাপ বিষয় স্থাপিত হয়?

  • বহুবিবাহ
    • ফলে বহুসংখ্যক ছেলে, অনেক সৎভাই।
    • তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা, শত্রুতা, ঘৃণা।
    • বিচারের অনুপস্থিতি।
    • কে রাজা হবে তার প্রতিযোগিতা।
    • সহিংসতা, গুপ্তহত্যা শুরু।
  • কেন্দ্রীয় সরকার স্থাপিত
  • অভিজাত সরকার স্থাপিত
 

 

রাজতন্ত্রের ৩য় রাজা : শলোমন – ২ শমূয়েল ১১-১৪, ১ রাজাবলি ১-১১

  • শলোমন পরবর্তী রাজা হও‍য়ার জন্য ঈশ্বর ইঙ্গিত দেন।
  • শলোমনের মা বৎশেবা, যিনি পাপ করেন, কিন্তু তার প্রজ্ঞাও ছিল (হিতো ৩১:১-৯)।
  • বাবা দায়ূদ তার মৃত্যুর আগে শলোমনকে সিংহাসনে বসান।
  • ঈশ্বর প্রশ্ন করেন তিনি কি চান। তার উত্তর: প্রজ্ঞা। ঈশ্বর তাকে প্রজ্ঞা দেন, এবং ধন, জীবন, বিজয়ও দেন।
  • শলোমন মন্দির নির্মাণ করেন। মন্দির উৎসর্গের সময়ে তার মহা প্রার্থনায় শলোমনের বুঝার ক্ষমতা প্রমাণিত।
  • অনুষ্ঠানে ঈশ্বর তাঁর উপস্থিতি মেঘের মাধ্যমে প্রকাশ করেন: তা দ্বারা শলোমনের কাজকে অনুমোদন করেন, মোশীর সময়ের মত (যাত্রা ৪০:৩৪)।
  • তা দ্বারা ঈশ্বর শলোমনকে বড় ধরনের নিশ্চয়তা দেন। তা হল ইস্রায়েলের ইতিহাসের শীর্ষ!
  • দ্বিতীয় বিবরণ ১৭:১৬-২০ পদে রাজা সম্বন্ধীয় আইন: অনেক ঘোড়া, স্ত্রী, সম্পদ ও সম্মান নিষেধ।
  • শলোমন তার মধ্যে প্রত্যেকটা আইন ভাঙ্গে!
  • অনেক ঘোড়া কেন নিষেধ?
    • শলোমন মিসর ও সমস্ত দেশ থেকে অনেক ঘোড়া আমদানি করে (২ বংশা ৯:২৮)।
    • তার ১৪০০ রথ ছিল।
    • তার ১২,০০০ ঘোড়া ছিল।
    • তিনি রথের শহরও নির্মাণ করেন।
    • শলোমন শুধু ঘোড়া আমাদানিই করেন না, তিনি ঘোড়ার ব্যবসা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করেন (১ রা ১০:২৬-২৯)।
  • অনেক সম্পদ?
    • ঈশ্বর নিজেই তাকে অনেক সম্পদের প্রতিজ্ঞা দেন (১ রাজা ৩:৩১)।
    • তার সোনা, রুপা, হাতির দাঁত, অনেক সম্পদ ছিল (২ বংশা ৯:১৩-২২)।
    • রাজার মহা সংসার ও প্রশাসন চালানোর জন্য খাদ্য আবশ্যক (১ রাজা ৪:২২-২৩)।
    • তিনি কর তুলেন: ১২ টি অঞ্চল রাজার গৃহের জন্য একমাসের খাবার যোগান দিতে হবে। তিনি ইস্রায়েলের প্রত্যেক গোষ্ঠি থেকে কর আদায় করেন কিন্তু নিজের গোষ্ঠী যিহুদা থেকে তা নেন না। (১ রাজা ৪:৭-১৯)।
    • ৭ বছর ধরে মন্দির, ১৩ বছর ধরে নিজের রাজপ্রাসাদের নির্মাণ, পরে আর অনেক দালান নির্মাণ।
    • তার জন্য বিদেশীদের জোর করে শ্রম করান (আইনে অনুমোদিত) (১ রাজা ৯:১৫-২২)।
    • ইস্রায়েলীয়দের বল প্রয়োগ করে শ্রম করানো (আইনে নিষেধ) (১ রাজা ৫:১৩-১৮)।
    • শলোমনের মৃত্যুর পর ইস্রায়েলীয়রা শলোমনের বিষয়ে তার ছেলেকে বলে: “আপনার বাবা আমাদের উপর একটা ভারী জোয়াল চাপিয়ে দিয়েছেন” সোনার যুগ এত সোনালী ছিল না (২ বংশা ১০:৪)।
  • অনেক স্ত্রী?
    • শলোমন ৭০০ রাজকন্যাকে বিয়ে করেন এবং ৩০০ উপপত্নী গ্রহণ করেন > হতেও পারে শত শত সন্তান।
    • শলোমন অনেক বিদেশীনীদের বিয়ে করেন (ঈশ্বরের আদেশের বিরুদ্ধে)।
    • স্ত্রীদের বিদেশী দেব-দেবীর জন্য শলোমন বেদী নির্মাণ করেন, পূজাও করেন (১ রাজা ১১:১-৮)।
    • অসম্ভব রকমের পারিবারিক অবস্থা, বিদেশী মায়েদের দ্বারা শিষ্যত্ব পাওয়ার মাধ্যমে রাজসন্তান বড় হয়।
 
রাজতন্ত্রের ৪র্থ রাজা: রহবিয়াম , দায়ুদের নাতি – ১ রাজাবলি ১২-১৪
  • রহবিয়ামের মা হলো অম্মোরীয় নয়মা। তিনি তার ছেলেকে হতে পারে প্রতিমাপূজায় শিষ্যত্ব দেন।
  • রহবিয়াম মন্দ রাজা। তিনি ঈশ্বরকে অস্বীকার করে যিহূদাকে প্রতিমাপূজারদিকে প্রভাবিত করেন।
  • শলোমনের মৃত্যুর পরে ইস্রায়েলীয়রা তার কাছে এসে কর কমানোর জন্য অনুরোধ করেন।
  • রহবিয়াম তা অহংকারে অস্বীকার করে এবং তাদের উপরে চাপ আরও বাড়ান।
  • ফলে ইস্রায়েল বিভক্ত হয়ে পড়ে উত্তর:
    • ইস্রায়েল (দশ গোষ্ঠী) > দায়ূদ রাজপরিবারকে অস্বীকার।
    • দক্ষিণ: যিহুদা (দুই গোষ্ঠী) > দায়ূদ রাজপরিবার দিয়ে রাজত্ব।
  • ইস্রায়েলের কখনই পুনঃমিলন হয় না। একে অন্যের সাথে প্রায়ই যুদ্ধও করে।
  • উভয় সাম্রাজ্যই অবশেষে পরাজিত হয় এবং নির্বাসিত হয়ে যায়।
বিভক্ত রাজতন্ত্র: যিহুদা – রাজাবলি, বংশাবলি
  • এক রাজবংশ – শুধুমাত্র ঈশ্বরের অনুগ্রহ দ্বারা।
  • ৪৫০ বছরের মধ্যে (৯৩১-৫৮৬ খ্রীঃপূঃ) ২৩ জন রাজা।
  • প্রত্যেক রাজা গড়ে ২০ বছর রাজত্ব করেন।
  • ২৩ জন রাজাদের মধ্যে ৪ জনকে খুন করা হয় (১৭%)।
  • ২৩ জন রাজাদের মধ্যে ২ জন রাজা ভাইদের খুন করে সিংহাসনে বসেন।
  • ৪৫০ বছরের মধ্যে তারা সম্পূর্ন বিপর্যস্ত হয়ে যায়।
  • ঈশ্বর তাদের অবশেষে বিচার করেন: পরাজয় ও বাবিলে নির্বাসন।
  • ৭০ বছর পরে তারা নির্বাসন থেকে ফিরে আসার সুযোগ পায়।
 
বিভক্ত রাজতন্ত্র: ইস্রায়েল – রাজাবলি
  • রাজ্য মাত্র ২০৯ বছর টিকে (৯৩১-৭২২ খ্রীঃপূঃ)।
  • ২০৯ বছরের মধ্যে ১৯ জন রাজা এবং ৯ টি নতুন রাজবংশ > রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা।
  • গড়ে প্রত্যেক রাজা ১০.৫ বছর রাজত্ব করেন।
  • ১৯ জনের মধ্যে ৮ জন রাজাকে খুন করা হয় (৪২%)।
  • সম্পূর্ন রাজপরিবার হত্যার মাধ্যমে ৩ রাজবংশের অবসান ঘটে।
  • সবচেয়ে দীর্ঘদিনের রাজবংশ হলো যেহূর (৫ প্রজন্ম)। তা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা অনুসারে ঘটে।
  • ২০০ বছরের মধ্যে তারা বিপর্যস্ত হয়ে যায়।
  • ঈশ্বর তাদের মুছে ফেলে নির্বাসনে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে বিচার করেন, তারা
  • কখনও নির্বাসন থেকে ফিরে না।
রাজতন্ত্রের শেষ পর্যায় – যিরমি‍য়
  • যিহূদা দেশের শেষে (যখন যিরমিয় ভাববাদী) সব কিছু দূরাবস্থায়: ক্রমাগত অবিচার।
  • যিহূদার শেষের রাজারা একেবারে দূর্নীতিগ্রস্ত।
  • যখন বাবিল যিহুদা দখল করে তখন বুঝা যায় যে যিহুদার চেয়ে বাবিল বেশী আইন শৃঙ্খলায় চলে(!)।
  • গরীবদের জন্য নিজের দেশের পরাজয় কোন পার্থক্য তৈরী করে না: বাবিল যিহূদার চেয়ে উপকারী।
  • ঈশ্বরের আদর্শ জাতি (তাঁকে সমস্ত জাতির কাছে প্রকাশ করার জন্য) বিপর্যয় দি‍য়ে শেষ হয়।