ল্যান্ডা লীয়া কোপ থেকে চিন্তা যোগ করা হয়েছে

বিচারের ক্ষেত্রে শলোমনের প্রজ্ঞা

  • ১ রাজা ৩:১৬-২৮ পদে আমরা ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে শলোমনের ঈশ্বরীয় প্রজ্ঞার একটি বিখ্যাত গল্প পাই। এমন দু’জন পতিতা যাদের দু’জনের নতুন শিশুর জন্ম হয়েছিল, তারা বিচারের জন্য শলোমনের কাছে আসে।
  • একটি শিশু যখন মারা যায় দু’জন মহিলা জীবিত শিশুকে নিজের শিশু হিসাবে দাবি করে।
  • গল্পটির পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিচারের এই গল্পের ঠিক আগে রাজাবলি বর্ণনা করে শলোমন কিভাবে গিবিয়োনে একটি রাত্রিকালীন স্বপ্নে ঈশ্বরকে অনুরোধ করেন: “সেইজন্য তোমার লোকদের শাসন করবার জন্য এবং কোনটা ঠিক বা কোনটা ভুল তা জানবার জন্য তুমি তোমার দাসের অন্তরে বুঝবার ক্ষমতা দাও; কারণ কার সাধ্য আছে তোমার এই মহাজাতিকে শাসন করে?” (১ রাজা ৩:৯)।
  • মহিলাদের মামলায় শলোমনের চমৎকার রায় হল ঈশ্বরের দেওয়া এই অদ্ভুত প্রজ্ঞার একটি উদাহরণ।
  • তবুও মহিলাদের এই মামলার পাশাপাশি শলোমন অবশ্যই আরো অনেক মামলায় ন্যায্য ও প্রজ্ঞাপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন।
  • স্বপ্নের মধ্যে (এবং পরবর্তীতে স্বপ্ন নিয়ে তার চিন্তায়) শলোমনের মনোভাবে প্রকাশ পায় নম্রতা, দায়িত্বশীলতা এবং ঈশ্বরের উপর নির্ভরতা।
  • রাজাবলির লেখক আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, সরকারের প্রধান ও প্রথম দায়িত্ব হল ন্যায় বিচার করা, যেমন যাত্রা ১৮ এবং দ্বিতীয় বিবরণ ১ অধ্যায়েও দেখা যায়।
  • হয়তো মহিলারা তাদের মামলাটি প্রথমে স্থানীয় আদালতে নিয়ে এসেছিল কিন্তু বিচারকেরা আটকিয়ে পড়েছিলেন (অথবা কেউ আপীল করেছে) বলে মামলাটি সর্বোচ্চ আদালতে চলে এসেছে।
  • আপীল করার পদ্ধতি যাত্রা ১৮:২২ এবং দ্বিতীয় বিবরণ ১:১৭ পদে বর্ণনা করা হয়েছে।
  • সম্ভবত, শলোমনের প্রজ্ঞাপূর্ণ রায়ের বিষয়ে আরো অনেক গল্প ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে প্রচলিত ছিল কিন্তু কোন সাক্ষী বা প্রমাণ না থাকার কারণে এই মামলাটিতে তার রায় ছিল সবচেয়ে বিখ্যাত।
মামলার উপস্থাপন – ১ রাজা ৩:১৬-২২

“এক সময়ে দু’জন বেশ্যা স্ত্রীলোক এসে রাজার সামনে দাঁড়াল। তাদের মধ্যে একজন বলল, “হে আমার প্রভু, এই স্ত্রীলোকটি এবং আমি একই ঘরে থাকি। সে সেখানে থাকবার সময় আমার একটি ছেলে হল। আমার ছেলের জন্মের তিন দিন পরে এই স্ত্রীলোকটিরও একটি ছেলে হল। ঘরে আর কেউ ছিল না, কেবল আমরা দু’জনই ছিলাম।
“রাতের বেলা এই স্ত্রীলোকটির চাপে তার ছেলেটি মারা গেল। মাঝ রাতে আপনার দাসী আমি যখন ঘুমিয়ে ছিলাম, তখন সে উঠে আমার পাশ থেকে আমার ছেলেটিকে নিয়ে নিজের বুকের কাছে রাখল আর তার মরা ছেলেটিকে নিয়ে আমার বুকের কাছে রাখল। ভোররাতে আমার ছেলেকে দুধ খাওয়াতে উঠে দেখলাম ছেলেটি মরা। সকালের আলোতে আমি যখন তাকে ভাল করে দেখলাম তখন বুঝলাম সে আমার নিজের ছেলে নয়।” তখন অন্য স্ত্রীলোকটি বলল, “না, না, জীবিত ছেলেটি আমার আর মরাটা তোমার।”
কিন্তু প্রথমজন জোর দিয়ে বলল, “না, মরাটা তোমার আর জীবিতটা আমার।” এইভাবে রাজার সামনেই তারা কথা কাটাকাটি করতে লাগল।”

  • আধুনিক যুগে আমরা এই ধরণের মামলাকে “সন্তান হেফাজতে মামলা” (child custody case) বলি, অর্থাৎ একটি সন্তানের উপর কে অধিকার পাবে, এই বিষয়ে মামলা।
  • মামলা নিয়ে সমস্যা কি? দু’জন মা ছাড়া কোনো সাক্ষী নেই। দু’জন মায়ের উদ্দেশ্য পরিষ্কার, তাই তারা দু’জন পক্ষপাতপূর্ণ সাক্ষী।
  • অন্য কোনো প্রমাণ নেই। আধুনিক যুগে এই ধরণের মামলায় একটি জিন পরিক্ষা করা হত জানার জন্য সন্তানটি কোন মায়ের।
  • কিন্তু ঐসময় তা সম্ভব ছিল না। দু’টি শিশুর বয়সের পার্থক্য মাত্র তিন দিন (১ রাজা ৩:১৮), অর্থাৎ কোন শিশুর বয়স বেশি, তা নিশ্চয়তার সঙ্গে বলা যায় না। মুখের মিল বিবেচনা করলেও তা নিঃসন্দেহে বলা যায় না।
  • প্রথম মহিলা বিষয়টি আদালতে নিয়ে আসে (১ রাজা ৩:১৬) কিন্তু তাও প্রমান হিসাবে নেওয়া যায় না কারণ তার কাছে মৃত শিশু পড়ে গেছে। তাই আদালতে না গিয়ে তিনি সন্তানহীন হয়ে পড়বে।
  • এই মামলায় শিশুর বাবা বলতে কেউ নেই, সাক্ষী হিসাবে না, সন্তানের উপর অধিকার দাবি করার ব্যক্তি হিসাবেও না।
  • দু’জন মহিলা পতিতা, একারণে শিশুদের বাবারা গর্ভবস্থা সম্বন্ধে জানেও না, সন্তান নিজের হিসাবে মানবেও না (১ রাজা ৩:১৬)।
শলোমের রায় – ১ রাজা ৩:২৩-২৭

“রাজা বললেন, “এ বলছে, ‘আমার ছেলে বেঁচে আছে আর তোমারটা মারা গেছে।’ আবার ও বলছে, ‘না, না, তোমার ছেলে মারা গেছে আমারটা বেঁচে আছে।’ ”
তখন রাজা বললেন, “আমাকে একটা তলোয়ার দাও।” তখন রাজার কাছে একটা তলোয়ার আনা হল। তিনি হুকুম দিলেন, “জীবিত ছেলেটিকে কেটে দু’ভাগ কর এবং একে অর্ধেক আর ওকে অর্ধেক দাও।”
যার ছেলেটি বেঁচে ছিল ছেলের জন্য সেই স্ত্রীলোকের মন ব্যাকুল হওয়াতে সে রাজাকে বলল, “হে আমার প্রভু, মিনতি করি, ওকেই আপনি জীবিত ছেলেটি দিয়ে দিন; ছেলেটিকে মেরে ফেলবেন না।” কিন্তু অন্য স্ত্রীলোকটি বলল, “ও তোমারও না হোক আর আমারও না হোক। ওকে কেটে দু’টুকরা কর।”
রাজা তখন তাঁর রায় দিয়ে বললেন, “জীবিত ছেলেটি ঐ প্রথম স্ত্রীলোকটিকে দাও। ওকে কেটো না; ও-ই ওর মা।”

  • শলোমন সারাংশ করে বলেন যে, এই মামলায় কোনো সাক্ষী বা প্রমাণ নেই।
  • এছাড়া মহিলারা ঠিক বিপরীত দাবি করে (১ রাজা ৩:২৩)।
  • তিনি দেখান যে, মহিলাদের কথা ও দাবি একই।
  • পরে তিনি একটি কৌশল দ্বারা দু’জন মহিলাদের মনোভাব, উদ্দেশ্য ও অনুপ্রেরণা পরীক্ষা করে নিশ্চিত করতে চেষ্টা করেন।
  • তিনি কৌশল করে বলেন যে, তিনি খুব ন্যায্য একটি সমাধান করবেন: তিনি জীবিত সন্তানকে দু’ভাগ করে প্রত্যেক মহিলাকে সন্তানের অর্ধেক অংশটি দেবেন। ন্যায্যতা এই যে, দু’জন মহিলারা যা পায়, তা আসলে একই।
  • উষ্কিয়ে তোলার বিষয় এই যে, দু’জন আসলে কিছুই পাবে না কারণ এখন দু’টি ছেলেই মৃত।
  • এভাবে শলোমন পরীক্ষা করে দেখেন জীবিত সন্তানের জন্য মহিলাদের মায়া-দয়া কতটুকু।
  • অপর পক্ষে তাদের নিজের অধিকার দাবি করার মনোভাব আছে কিনা, তাও তিনি পরিক্ষা করে দেখেন।
  • তিনি এভাবে নিশ্চিত করেন, কোন মহিলা সন্তানের মঙ্গলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি।
  • শলোমনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার নীতি এই: কে সন্তানের মঙ্গলের জন্য সবচেয়ে সমর্পিত, তিনি তাকেই সন্তানটি দেবেন।
  • যে মহিলা সন্তানের জন্য মায়া ও বিনতি করেন, সেই মহিলা সত্যিকারের মা, শলোমন কি এটা নিশ্চিত জানতেন?
  • তিনি তাই বলেন: “জীবিত ছেলেটি ঐ প্রথম স্ত্রীলোকটিকে দাও। ওকে কেটো না; ও-ই ওর মা।”
  • সম্ভবত তিনি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত নন যে, সেই মহিলা শারীরিক দিক দিয়ে সন্তানের মা, কিন্তু তিনি অন্য দিকে নিশ্চিত যে, তিনি সন্তানের জন্য সবচেয়ে ভাল অভিভাবক পছন্দ করেছেন: এমন একজন মহিলা যিনি স্বার্থহীনভাবে সন্তানকে রক্ষা করার জন্য সব কিছু হারাতে রাজি ছিল।
  • তিনি তাকে “মা” বলেন – এবং যে ভূমিকা মহিলাটি সন্তানের জন্য পালন করে, তা ছিল প্রকৃতপক্ষে মায়ের ভূমিকা। তিনি নিজের সব সুযোগ, লক্ষ্য ও দাবি ত্যাগ করে সন্তানের জন্য সুরক্ষা, মঙ্গল ও সর্বোচ্চটা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করেছেন। যে ভূমিকা একজন মায়ের পালন করা উচিত, মহিলাটি ঠিক সেই ভূমিকা পালন করেছে।
বিবেচনা করার অন্যান্য বিষয়
  • এই শাস্ত্রাংশে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পাওয়া যায় যেখানে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন:
  • শলোমন চমৎকারভাবে ও গুরুত্বের সঙ্গে এই মামলাটি সমাধান করেন। তা দ্বারা তিনি দেখান যে, প্রত্যেকটি মানুষের:
    • ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার আছে।
    • আইনগত ও উপযুক্ত প্রক্রিয়া পাওয়ার অধিকার আছে।
    • আদালতে সম্মানজনক ব্যবহার পাওয়ার অধিকার আছে।
  • সবারই আইনের সম্মুখে এই একই অধিকার আছে, নৈতিক জীবন করলেও বা অনৈতিক জীবন করলেও (মহিলারা)। এই একই অধিকার আছে, বৈধভাবে জন্ম নিলেও বা অবৈধভাবে জন্ম নিলেও (শিশুরা)। আদালতে কাউকে তুচ্ছ করা যাবে না তাদের জীবনের ধরণ দেখে (নৈতিক বা অনৈতিক) অথবা তাদের জন্মের ধরণ দেখে (বৈধভাবে বা অবৈধভাবে জন্ম নেওয়া)। অসম্মান করা যাবে না, ব্যবহারে অথবা রায়ে পার্থক্যও করা যাবে না।
  • উভয় মহিলারা সন্তানকে গুরুত্ব দেয়, তারা শিশুকে খাওয়ায়, তার যত্ন নেয় এবং তারা অনেক কিছু করতে রাজি যেন তাদের সন্তানকে হারাতে না হয়। একজন মহিলা একারণে অন্যকে আদালতে আসতে বাধ্য করে, অন্য মহিলাটি রাতের বেলায় নিজের মৃত সন্তান অন্য মহিলার কাছে রেখে দেয়। এই মহিলারা দানব নয়, তারা সাধারণ মানুষ এবং যত্নশীল মা।
  • যদিও দু’জন মহিলা পতিতা, শলোমন এটা সন্তানকে দু’জনের থেকে তুলে নেওয়ার কারণ হিসাবে দেখেন না। পতিতা হলেও মা হিসাবে মহিলাদের অধিকার তিনি বাতিল করেন না। পতিতা হলেও তিনি মনে করেন যে, সব মিলিয়ে মা হল সন্তানের সবচেয়ে ভাল অভিভাবক। বাবা একইভাবে, কিন্তু এই মামলায় সন্তারের কোনো পিতা নেই।
  • আধুনিক বিশ্বাসী হিসাবে আমরা বলতাম যে, এই মহিলারা ভাল নয়, তারা যেখানে বাস করে তা তো পতিতালয় এবং এই ধরণের পরিস্থিতিতে কোন বাচ্চার বাস করা উচিত নয়। আমরা বলতাম যে, এখানে সরকারের দায়িত্ব পালন করে এই মহিলাদের থেকে মায়ের অধিকার তুলে নিয়ে বাচ্চাটি কোন এতিমখানায় দেওয়া উচিত – অথবা আরো ভাল: এমন একটি খ্রিষ্টান পরিবার খোঁজ করা উচিত যে, বাচ্চাটি ডত্তক করে নেবে।
  • শলোমন তা-ই করেন না এবং তাকে ঈশ্বরীয় প্রজ্ঞার উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হয়! “রাজার দেওয়া রায় শুনে ইস্রায়েলের সকলের মনে রাজার প্রতি ভক্তিপূর্ণ ভয় জেগে উঠল, কারণ তারা দেখতে পেল যে, সুবিচার করবার জন্য তাঁর মনে ঈশ্বরের দেওয়া জ্ঞান রয়েছে” (১ রাজা ৩:২৮)।
  • নিজের সন্তানের সবচেয়ে ভাল অভিভাবক ও প্রাথমিক দেখাশোনাকারী হিসাবে শলোমন মা-বাবার অধিকার বজায় রাখেন।
  • যদিও সব সময় তার ফল ভাল নাও হতে পারে তবুও সরকারকে (অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে) পরিবার থেকে সন্তান তুলে নেওয়ার অধিকার দান করাই হল আরো সমস্যাপূর্ণ বিষয়।
  • যদিও তা মাঝের মধ্যে প্রয়োজন হতে পারে, তার ভুল ব্যবহারের সম্ভাবনা বেশি – এবং ভয়ংকর। গড় মিলিয়ে সরকার বা অন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে নিজের পরিবারই হল সন্তানের সবচেয়ে ভাল অভিভাবক।
  • ঈশ্বর সন্তানের উপর অধিকার প্রথম এবং প্রাথমিকভাবে মা-বাবাকে দেন।
  • কি কি ঘটলে এবং কোন কোন শর্তে সরকার অথবা অন্য একটি প্রতিষ্ঠান মা-বাবার অধিকার তুলে নিতে পারবে বা তুলে নেওয়া উচিত – তা অত্যন্ত কঠিন একটি সিদ্ধান্ত ও কাজ।
এমন অবস্থা যখন মা-বাবার অধিকারকে সরকারের হাতে সমর্পিত করা হয়         > “পরিবার ০৮” দেখুন।

দ্বিতীয় বিবরন ২১:১৮-২১ কঠিন শাস্ত্রাংশ যেখানে মা-বাবার অধিকার ভেঙ্গে যাওয়ার উদাহরণ বর্ণিত।

সন্তানের উপর মা-বাবার অধিকার সম্বন্ধীয় কিছু বাইবেল পদ                     > “পরিবার ০৭” দেখুন

দ্বি বি ৫:১৬, যাত্রা ২০:১২     ৫ম আজ্ঞা: “মা-বাবাকে সম্মান কর।”
দ্বি বি ২৭:১৬                 মা-বাবাকে অসম্মান করলে অভিশাপ।
লেবীয় ২০:৯                 মা-বাবাকে অভিশাপ দেওয়া জন্য মৃত্যুর শাস্তি।
ইফি ৬:১-৪, কল ৩:২০-২১   ছেলে-মেয়ে: “মা-বাবার বাধ্য থেকো”। বাবারা: “ছেলে-মেয়েদের মন তেতো করে তুলবে না”।
লূক ১১:১৩                  যীশুর অনুমোদন: মা-বাবারা সন্তানদের ভাল কিছু দিতে জানেন।
লূক ৭:২-১০                 শুধুমাত্র এমন লোকদের অধিকার থাকে যারা নিজেই অধিকারের অধীনে থাকতে রাজি।
লূক ২:৫১                    যীশু তাঁর মা-বাবার অধিকার মেনে নেন (যদিও পরবর্তীতে তিনি প্রত্যেক বিষয়ে বাধ্য নাও থাকেন (মার্ক ৩:২১, ৩:৩১-৩৫)।

মা-বাবার অধিকারের সীমানা সম্বন্ধীয় কিছু বাইবেল পদ                        > “পরিবার ০৭” দেখুন

দ্বিতীয় বিবরণ ১৩:৬-১১       পরিবারের চেয়ে ঈশ্বরকে প্রাধান্য দিতে হবে। পরিবার যদি প্রতিমাপূজার দিকে প্রভাব ফেলে তবে তা স্বক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।
দ্বিতীয় বিবরণ ৫:‌১৬           সন্তানের জীবনের উপর মা-বাবার অধিকার নেই – নর-হত্যা কোরো না।
দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:১০, ১৮:২   সন্তানকে উৎসর্গ বা ধর্মকর্মে ব্যবহার করার মা-বাবার অধিকার নেই ।
দ্বিতীয় বিবরণ ২৩:১৭-১৮      সন্তানকে পতিতা হিসাবে ব্যবহার বা বিক্রি করার মা-বাবার অধিকার নেই।
লেবীয় ১৮:৬-২৩              সন্তানকে যৌন ক্ষেত্রে ব্যবহার করার মা-বাবার অধিকার নেই ।
দ্বিতীয় বিবরণ ১৩:৬-১১, মথি ১০:৩৭ ঈশ্বরের চেয়ে মা-বাবাদের ভালবাসা বা প্রাধান্য দেওয়া ঠিক না।
মথি ১০:৩৪-৩৬, লূক ১২:৪৯-৫৩ পরিবারে যীশুর কারণে বিভেদ ও অত্যাচার থাকতে পারে।
আদি ২:২৪                   বিয়ে করার পরে জন্ম-নেওয়া পরিবারের চেয়ে নতুন পরিবারকে প্রাধান্য দিতে হবে।