অর্থনীতি ০৪ – কাজ ও বিশ্রাম
দ্বিতীয় বিবরণ ৫:১২-১৫
“বিশ্রামবার পালন কোরো ও পবিত্র রাখো…৬ দিন পরিশ্রম কোরো, কিন্তু ৭ম দিন ঈশ্বরের জন্য বিশ্রাম দিন … তোমরা, তোমাদের ছেলেমেয়ে, তোমাদের দাস-দাসী, তোমাদের গরু, গাধা, অন্য পশু, অন্য জাতির লোক।”
- কেন আমাদের কাজ করতে আজ্ঞা দিয়েছেন? কাজ করার উদ্দেশ্য কি?
আদি ১:২৮, ২:১৫ – কাজের উৎস ও উদ্দেশ্য
“পৃথিবী তোমাদের নিজের শাসনের অধীনে আন।”… “সদাপ্রভু ঈশ্বর মানুষকে এদন বাগানে রাখলেন যাতে তিনি তাতে চাষ করতে পারেন ও তার দেখাশোনা করতে পারেন।”
- ঈশ্বর মানুষকে কাজ করতে আদেশ দিয়েছিলেন পাপে পতিত হওয়ার আগেই। তাই:
- কাজ পাপের শাস্তি হিসাবে দেওয়া হয় নি।
- ঈশ্বরের আসল পরিকল্পনার অংশ ছিল কাজ।
- তাই কাজ ভাল। কাজ করা মানুষের জন্য মঙ্গল।
- কাজ করার উদ্দেশ্য কি?
- প্রয়োজনীয় জিনিষগুলো তৈরী করার জন্য (খাদ্য, কাপড়, বাড়ী…)।
- উপকারী জিনিষগুলো তৈরী করার জন্য (ফ্যান, বালতি, মগ, ফোন…)।
- সুন্দর জিনিষগুলো তৈরী করার জন্য (মজার, সন্তুষ্টি, আনন্দ দেওয়ার জন্য)।
- যাতে নিজের জন্য ও পরিবারের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে আয় বা উৎপাদন করতে পারি।
- অন্যদের সেবা ও ঈশ্বরকে গৌরব দেওয়ার জন্য।
- সন্তুষ্টি, তৃপ্তি, গুরুত্ব, সম্মান ও আত্ম শ্রদ্ধা উপভোগ করার জন্য। সব লোকই চায় তাদের জীবনের কাজ থেকে ভাল কিছু থেকে যাক; সেজন্য বিভিন্ন স্মৃতি সৌধ তৈরী হয়।
কাজ নিয়ে বিভিন্ন দর্শন

পূর্ব দেশের, হিন্দু, বৌদ্ধ, আত্মার পূজা ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি
- কাজ হচ্ছে চাপ বা বোঝা।
- কাজের নিজেরই কোনো মূল্য নেই।
- কাজ করি কারণ এই বস্তু জগতের বা শরীরের মধ্যে আমার আত্মা আটকিয়ে আছে।
- নির্বাণ = এই বস্তু জগত ও শরীর থেকে মুক্তি পাব।
- আমার প্রয়োজন বা চাহিদা পূর্ণ হওয়া মাত্রই কাজ করা বন্ধ করি।
- এই বস্তু জগত বাস্তব নয় বা তার মূল্য নেই > কেন জগতের জন্য কষ্ট করব?

পশ্চিমা দেশের, ‘আগে খ্রীষ্টান ছিল’, অবিশ্বাস, আধুনিক ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি
- কাজ গুরুত্বপূর্ণ।
- কাজের দক্ষতা থাকা মানে সম্মানের বিষয়।
- অধিকাংশ লোক পরিশ্রমী।
- কাজ দ্বারা আমার চাহিদা বা পছন্দের মত জিনিষগুলো তৈরী।
- কাজ করার উদ্দেশ্য মানে টাকা পাওয়া যাতে আমি আমার ইচ্ছা অনুসারে আরাম, অভিলাষ বা সুজীবনের ব্যবস্থা করতে পারি।
- কাজকে গুরুত্ব দেওয়া হয় কিন্তু স্বার্থপর ভাবে ব্যবহার।

বাইবেলের দৃষ্টিভঙ্গি
- কাজ ভাল ও ঈশ্বর দ্বারা অনুমোদিত। কাজের উৎস ঈশ্বর নিজেই।
- সমস্ত সৎ কাজ হচ্ছে সম্মানের বিষয়।
- কাজের মধ্যে উঁচু-নীচু বলে কিছু নেই, সব কাজ মূল্যবান।
- কাজের মধ্যে উঁচু-নীচু বলে কিছু নেই, সবাই সব ধরণের কাজ করে।
- কাজ দ্বারা প্রয়োজনীয়, উপকারী ও সুন্দর জিনিষ উৎপাদন করি।
- এই বস্তু জগত হল ঈশ্বরেরই জগত, তাই জগতের জন্য কাজ করা উপযুক্ত। এই জগত আমার শ্রম পাওয়ার যোগ্য।
- কাজ করি অন্যদের সেবা করার জন্য।
- কাজ = আহবান = ঈশ্বরের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করা
- কাজ দ্বারা সন্তুষ্টি, তৃপ্তি, সম্মান, গুরুত্ব, আত্ম শ্রদ্ধা ও ঈশ্বরের গৌরব।
কাজ নিয়ে পুরাতন নিয়মের চিন্তা বা দৃষ্টিভঙ্গি
- কাজ জীবনের সাধারণ অংশ। আদম ছিলেন কৃষক। অব্রাহাম ছিলেন মেষ পালক। যোষেফ ছিলেন দাস, দেখাশুনা-কারী ও মন্ত্রী। আমোষ ছিলেন ডুমুর গাছ কাটার লোক ও ভাববাদী। নহিমিয় ছিলেন পান-পত্র বাহক ও শাসনকর্তা। দানিয়েল ছিলেন সরকারি অফিসার ও পরামর্শদাতা। পিতর ছিলেন জেলে। যীশু ছিলেন কাঠমিস্ত্রী। পৌল ছিলেন তাম্বু সেলাইকারী।
- যিহূদী ঐতিহ্য অনুসারে পরিবারের প্রত্যেকটি ছেলে (যত শিক্ষিত হোক না কেন) তার বাবা থেকে একটি ব্যবহারিক পেশা শেখে।
- ইব্রীয় ভাষায় সব ধরণের কাজের জন্য মাত্র একটি শব্দ ব্যবহৃত। পুরোহিতের কাজ এবং কৃষকের কাজ একইভাবে দেখা হয়। সব কাজ গুরুত্বপূর্ণ।
- হিতোপদেশ পুস্তকে ২৯ বার অলসতাকে ধমক ও পরিশ্রমকে উৎসাহিত করা হয়েছে। যেমন হিতো ১০:৪ “অলসতা মানুষকে গরীব করে, কিন্তু পরিশ্রম ধন নিয়ে আসে।”
- হিতোপদেশ ৩১ অধ্যায়ে বশীভূত, বাসায় বসে থাকা সুন্দরী স্ত্রীকে প্রশংসা করা হয় না, বরং প্রশংসা করা হচ্ছে সক্রিয়, পরিশ্রমী, দক্ষতাশীল, সু ব্যবস্থাপনাকারী ও অধিকারপ্রাপ্ত স্ত্রীকে।
কাজ নিয়ে নতুন নিয়মের চিন্তা বা দৃষ্টিভঙ্গি
- যীশু কি কাজ করতেন?
- তিনি বারো বছর বয়সে “তার বাবার কাজে বা ব্যবসায় ব্যস্ত” ছিলেন (লূক ২:৪৯ ইংরেজি অনুবাদে)।
- যীশু কাঠ মিস্ত্রী ছিলেন ৩০ বৎসর বয়স পর্যন্ত। মাত্র ৩ বছর ধরে তিনি পরিচর্যা করেছিলেন।
- যীশুর ‘বাবা’ যোষেফের কথা শেষ বার উল্লেখ হয় যখন যীশুর বয়স ১২ বছর। সম্ভবত যোষেফ বেশ আগে মারা যান। তাই সম্ভবত যীশু বেশ অল্প বয়সে তার পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী ব্যক্তি হয়ে যান।
- যীশু তার মা, ৪জন ভাই ও ‘বোনদের’ জন্য যোগান দেন ও তাদের দেখাশোনা করেন (মথি ৩:৫৫)।
- মার্ক ৩:১০, ৩:২০ পদে বুঝা যায় যীশু পরিচর্যায় কত ব্যস্ত। তিনি ভীর নিয়ে এমন ব্যস্ত যে খাওয়া-দাওয়া আর ঠিকমত করতে পারতেন না, সবাইকে সুস্থ করতেন …
- যীশু তার পরিচর্যায় সন্ন্যাসী মত হয়ে যান নি, বড় সাহেব হিসাবে অন্যদের সব কাজ করতে বলেন নি। সাধারণ লোকদের মধ্যে বাস করতেন।
- যোহন ৫:১৭ পদে যীশু বলেছিলেন “আমার পিতা এখনও কাজ করছেন, আমিও কাজ করছি।” পিতা ঈশ্বর কি কাজ করেন??
- হ্যাঁ, ঈশ্বর নিজেই কাজ করেন। যীশুও করেন। পাপহীন পৃথিবীতে কাজ ছিল।
- এইজন্য আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে আমরা স্বর্গেও কাজ করব কিন্তু পাপের খারাপ প্রভাব ছাড়া:
- আদি ৩:১৮-১৯ “ভীষণ পরিশ্রম করা তবে তুমি মাটির ফসল খাবে …মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তোমাকে খেতে হবে।”
- ঈশ্বর পরিশ্রম দাবি করেন। অলসতা তাঁর চোখে একেবারে গ্রহণযোগ্য নয়।
বিশ্রাম করার আদেশ, উৎস ও উদ্দেশ্য
দ্বিতীয় বিবরণ ৫:১২-১৫ “একদিন ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বিশ্রাম দিন পালন কোরো।”
- কোথা থেকে বিশ্রাম বার প্রথম শুরু হয়?
আদি ২:১-৩ “ঈশ্বর সপ্তম দিনে নিজে বিশ্রাম নিলেন”
- ঈশ্বর নিজে বিশ্রামবার পালন করেন!! ঈশ্বর কি ক্লান্ত ছিলেন?
- ঈশ্বর তাঁর কাজ শেষ করে বিশ্রাম নিয়েছিলেন তাঁর কাজ উপভোগ করার জন্য।
- তিনি নিজেই এই বিশ্রামের নীতি মেনেছেন।
- ৭ দিনের সপ্তাহ সারা পৃথিবীতে মানা হয়। চাঁদের পূর্ণিমা ২৮ দিনের মধ্যে (৪ × ৭ দিন = ২৮ দিন)। মহিলাদের মাসিকের বিষয়। রং ধনুতে ৭টা রং ইত্যাদি।
বিশ্রাম বারের উদ্দেশ্য কি? কেন ঈশ্বর এই আদেশ দেন?
- ঈশ্বর কঠোর নন বরং দয়ালু, তিনি সম্পর্কের ঈশ্বর তাই আমাদের সাথে সম্পর্ক চান।
- শারীরিক, মানসিক, আবেগীয় ও আত্মিক দিকে পুনরুদ্ধার, শক্তি ফিরে পাওয়া, রক্ষণাবেক্ষণ
- বিশ্রাম বারে ঈশ্বরের সাথে সম্পর্কের, প্রার্থনার, প্রতিফলনের, মূল্যায়নের ও পুনর্নির্দেশনার সময়।
- বিশ্রাম বার হল উপভোগ করার সময়: ঈশ্বরের সান্নিধ্য, প্রকৃতি, নিজের কাজ, সম্পর্ক, ইত্যাদি।
- যেমন দিনের জন্য সকালের নীরব ধ্যান তেমন সপ্তাহের জন্য বিশ্রাম বার।
- অন্যদের সাথে সময় (বিশ্বাসীরা, চার্চ, পরিবার)
- যারা পরিশ্রম করে না তারা বিশ্রামের গুরুত্ব বুঝে না।
কে কে বিশ্রাম পায়?
- তুমি, ছেলেমেয়ে, দাস ও দাসী, গরু, গাধা, পশু, বিদেশী।
- স্ত্রী কি বিশ্রাম পায় না?
- স্ত্রী ‘তুমি’-তে আছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনকে বিশ্রাম করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
- দুই ধরণের মানদণ্ড রাখা যাবে না। মালিক এবং দাস, স্বামী এবং স্ত্রীকে ১ দিনের ছুটি দিতেই হয়।
- প্রয়োগ: বাংলাদেশী পরিবারের কাজের লোকদের সপ্তাহে ১দিন ছুটি দিতেই হবে!
- তাই ১০ আজ্ঞার মধ্যে পাওয়া যায়: শ্রমিকদের অধিকার
- এমন কি গরু, গাধা ও পশুদেরও বিশ্রাম দিতে হবে!
- তাই ১০ আজ্ঞার মধ্যে পাওয়া যায়: পশুদের অধিকার।
নতুন নিয়মে বিশ্রাম বারের বিষয়ে কথা
- নতুন নিয়মের সময় পর্যন্ত যিহূদীরা আস্তে-আস্তে মোশির আইনের সাথে অন্যান্য নিয়ম তৈরী করেছিলেন বিশ্রামের আদেশ প্রয়োগ ও সমর্থন করার জন্য। এই যোগ দেওয়া নিয়মকে ‘মৌখিক ঐতিহ্য’ বলা হত। ‘মৌখিক ঐতিহ্য’ এমন কঠোর নিয়ম যে বিশ্রাম বার একটি বোঝা হয়ে গিয়েছিল।
- যীশু মোশির আইন মানলেন কিন্তু যিহূদীদের মৌখিক ঐতিহ্যকে মানেন নি।
মার্ক ২:২৭-২৮ “মানুষের জন্যই বিশ্রাম বারের সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু বিশ্রাম বারের জন্য মানুষের সৃষ্টি হয় নি। তাই মনুষ্যপুত্র বিশ্রাম বারেরও কর্তা।”
- যীশু যিহূদীদের বিশ্রামবারের আসল উদ্দেশ্য মনে করিয়ে দেন।
- আজকালও: আমরা কঠোর নিয়ম বানাই।
- এর চেয়ে: বিশ্রাম দিনের উদ্দেশ্য খেয়াল করে অন্তর থেকে বিশ্রামবার মানা ভাল।
কাজ ও বিশ্রামের ভারসাম্য
- ৬ দিন পরিশ্রম কোরো! > অলস ও দায়িত্বহীনদের কাছে চ্যালেঞ্জ
- ১ দিন বিশ্রাম কোরো! > অতি দায়িত্বশীলদের কাছে চ্যালেঞ্জ
- আমরা প্রায়ই এর বিপরীত করি: কাজের সময় ঠিকমত কাজ করতে চাই না এবং বিশ্রামের সময়ে অতিব্যস্ত!
- উপমা: সত্য = রাস্তা যার দুইপাশে বেরা দেওয়া।
- কারও কারও একপাশের রাস্তা থেকে সরার প্রলোভন, কারও কারও অন্য পাশের রাস্তা থেকে সরার প্রলোভন।
অলস ও দায়িত্বহীনদের কাছে কথা
- অলস হতে চাইলে খ্রীষ্টান ধর্মের চেয়ে অন্য ধর্ম পছন্দ করুন!
- অলস হওয়া মানে ঈশ্বরের মন আমরা এখনও বুঝি নি।
- প্রবাদ: “যাদের কোন উদ্দেশ্য নেই, তারা ঠিকই তাদের উদ্দেশ্যে পৌঁছাবে: কোথাও পৌঁছাবে না’।
- অতিব্যস্তদের কাছে কথা:
- ‘যথেষ্ট ভাল হয়েছে’, তা বলতে পারি? না সব সময় মনে করি যে আরো করা উচিত ছিল?
- প্রবাদ: ‘বিশ্রাম নেওয়া = অসম্পূর্ণ কাজের জন্য ঈশ্বরের উপর নির্ভর করা = বিশ্বাস।’

কাজের ক্ষেত্রে সঠিক মনোভাব (Christian work ethic)
১ থিষ ৪:১১-১২ “আমরা তোমাদের যে আদেশ দিয়েছি সেইমত শান্ত জীবন কাটাতে নিজের কাজে ব্যস্ত থাকতে এবং নিজের হাতে পরিশ্রম করতে বিশেষভাবে আগ্রহী হও, যেন অন্যের উপর নির্ভর করতে না হয়।”
২ থিষ ৩:৭-১২ “তোমাদের মধ্যে থাকার সময়ে আমরা অলস ভাবে চলি নি… আমরা দিনরাত পরিশ্রম আর কষ্ট করেছি যাতে আমরা তোমাদের কারও বোঝা হয়ে না পড়ি। …কেউ যদি কাজ করতে না চায় তবে সে যেন না খায়।”
- ভাল মনোভাব: নিজের হাতে পরিশ্রম করা, কারও উপর নির্ভরশীল না হওয়া, নিজের দায়িত্ব নিজে নেওয়া।
- পৌল পরিচর্যা ক্ষেত্রে তা পালন করেছেন, যদিও প্রেরিত হিসাবে তার কিছু পাওয়ার অধিকার ছিল।
- অলসদের কারও থেকে কিছু দাবি করা ঠিক না। অলসদের খাওয়ানোও ঠিক না।
কি মনোভাবে চাকরী করা উচিত?
- বাইবেলে দাস-দাসীদের জন্য দেওয়া দিক-নির্দেশনা দেখুন:
ইফিষীয় ৬:৫-৬ “তোমরা যারা দাস, তোমরা যেমন খ্রীষ্টের বাধ্য তেমনি ভয় ও সম্মানের সঙ্গে অন্তর থেকে তোমাদের এই জগতের মনিবদের বাধ্য হয়ো। মানুষকে খুশী করবার মনোভাব নিয়ে তোমাদের মনিবদের চোখের সামনেই কেবল তাদের বাধ্য হয়ো না, তার চেয়ে বরং খ্রীষ্টের দাস হিসাবে ঈশ্বরের ইচ্ছা মনে-প্রাণে পালন করে তোমরা মনিবদের বাধ্য হয়ো। তোমরা মানুষের সেবা করছ না কিন্তু প্রভুর সেবা করছ …।”
১ তীমথিয় ৬:১-২ “যে সব দাসদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয় তারা সবাই তাদের মনিবদের সমস্ত সম্মান পাবার যোগ্য বলে মনে করুক, যেন কেউ ঈশ্বরের নামের এবং আমাদের শিক্ষার নিন্দা করতে না পারে। যে দাস খ্রীষ্টে বিশ্বাসী মনিবের অধীন সে যেন বিশ্বাসী ভাই বলেই সেই মনিবকে তুচ্ছ না করে বরং আরো ভালভাবে তাঁর সেবা করে, কারণ তার সেবায় যিনি উপকার পাচ্ছেন তিনি তো বিশ্বাসী এবং তার প্রিয়।”
- আমার কাজ ঈশ্বরের জন্য, মানুষের জন্য না।
- কাজ ভাল, ঈশ্বর যোগ্য > মনে-প্রাণে কাজ করব।
- কারও চোখে পড়লে বা না পড়লে, কেউ প্রশংসা করলে বা না করলে একইভাবে চমৎকার কাজ করব।
- স্বচালিত ও সক্রিয় হওয়া, দায়িত্ব নেওয়া, কাজটি নিজেরই মনে করা।
- আমার কাজের মানই অন্যদের কাছে ঈশ্বর সম্বন্ধীয় সাক্ষ্য।
- ‘বিশ্বাসীর জন্য কাজ করি’ বলে কাজের মান কমানো মানে ভুল মনোভাব।
- খ্রীষ্টানদের হওয়া উচিত পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল ও বিশ্বস্ত কর্মী।