অর্থনীতি ১০ – দারিদ্রতা, জাতীয় ঋণ ও বন্দী শ্রম
কারও অভাব থাকবে না? কারও গরীব থাকার কথা নয়?
দ্বিতীয় বিবরণ ১৫:৪ “তোমাদের মধ্যে কারও গরীব থাকবার কথা নয়”।
দ্বিতীয় বিবরণ ১৫:১১১ “গরীব লোক অবশ্য দেশে সব সময়ই থাকবে”।
এই দু’টি পদ একটির ওপরে অন্যটি বিপরীত মনে করা যায়। আমরা কিভাবে এটা বুঝতে পারি ?
- “গরীব থাকবে না” মানে কি? এটা কি ঈশ্বরের আসল আদেশ? এটা কি ভবিষ্যতের বাস্তব বর্ণনা? এইটা কি ‘সুন্দর লক্ষ্য’ বা ‘হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষা’ মাত্র ?
- এইটা কি শর্তযুক্ত বিষয়? ‘যদি আইন পালন করতাম তাই হত, কিন্তু আমরা করি না তাই বাস্তবে হয় না’ … এভাবে বুঝব?

আমরা অনেকবার চিন্তা করি: যারা গরীব তারা সবসময় গরীব থাকবে, দারিদ্রটা একটা স্থায়ী বিষয়। কিন্তু ঈশ্বরের চিন্তা ভিন্ন:
- যখন ঈশ্বর বলেন “গরীব লোক অবশ্য দেশে সব সময়ই থাকবে”। হতে পারে তিঁনি বুঝাতে চান: হ্যাঁ, বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণে কিছু কিছু মানুষ দারিদ্রটায় পতিত হচ্ছে (যেমন: একটি ঝড়ের কারণে ফসল নষ্ট হওয়ার কারণে, বাবার দুর্ঘটনার কারণে এক মাস শ্রম করতে পারেন নি, রোগের কারণে গরুরা মারা গেছে, ইত্যাদি)।
- কিন্তু “তোমাদের মধ্যে কারও গরীব থাকবার কথা নয়”। ঈশ্বর চান না যে কেউ দারিদ্রটায় পড়ে থাকবে, গরীবদের বেশীদিন গরীব থাকা উচিত নয়। ঈশ্বর আদেশ দেন যে অন্যরা দুর্ঘটনা-আক্রান্ত লোককে সাহায্য করে যাতে সে আবার উঠে আসতে পারে।
- তাই, যে কোনো সময় একজন দারিদ্রটায় পড়তে পারে কিন্তু কেউ যেন সেখানে না থাকে।
- উদাহরণ: ধরুন একটি গ্রামে ১২টি পরিবার আছে। মাঝে মধ্যে কারো ক্ষতি হয়, কিন্তু অন্যদের সাহায্যে তারা আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারে। তাই কেউ গরীব অবস্থায় পড়ে থাকে না।
অন্যকে ঋণ দেওয়ার সামর্থ্য
দ্বিতীয় বিবরণ ১৫:৪-৫ “যদি তোমরা সম্পূর্ণভাবে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথার বাধ্য থাক এবং আজ আমি তোমাদের যে সব আদেশ দিচ্ছি তা মেনে চলবার দিকে মন দাও, তবে অবশ্য তোমাদের মধ্যে কারও গরীব থাকবার কথা নয়, কারণ সম্পত্তি হিসাবে যে দেশ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেখানে তিনি তোমাদের প্রচুর আশীর্বাদ করবেন।”
- যারা ঈশ্বরের আইন পালন করবে, তাদের জন্য তিনি আশীর্বাদের (অর্থনৈতিকভাবেও) প্রতিজ্ঞা রেখেছেন।
- কিভাবে এই আশীর্বাদ কাজ করে?
- কেউ কেউ বলে: আশীর্বাদ হচ্ছে কাজের প্রতিদান, পুরস্কার, কোন কিছু অতিরিক্ত পাওয়া। ভাল কাজ করলাম তাই মিষ্টি পেলাম। কাজের ও পুরস্কারের সরাসরি সম্পর্ক নেই।
- কেউ কেউ বলে: আশীর্বাদ হচ্ছে বাধ্যতার বাস্তব ফল, প্রাকৃতিক ভাবে আসা ফল, প্রত্যক্ষ ফল। এইটা ‘আলাদা কোন পুরস্কার’ নয়, কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্তের আবশ্যক ফল। যা মঙ্গল নিয়ে আসে, ঈশ্বর তো তাই করতে বলেন।
- ভুল আচরণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা প্রাকৃতিক ভাবে হারানো, ধ্বংস, মৃত্যু এসবের দিকে পরিচালনা দেয় …. এটা ঈশ্বরের শাস্তি নয়, কিন্তু স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ভাবে। এর কারণে তো ঈশ্বর এটা নিষেধ করেছেন!
- সঠিক আচরণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফলতা, আশীর্বাদ ও জীবনের দিকে পরিচালনা দেয় … এই কারণে তো ঈশ্বর সঠিক আচরণ করার জন্য আদেশ করেছেন। ঈশ্বরের প্রত্যেক আদেশ আমাদের মঙ্গলময়টার জন্য। বাস্তব কি, ঈশ্বর আমাদের তাই শেখাচ্ছেন।
ঋণ নিও না!
দ্বিতীয় বিবরণ ১৫:৬ “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুসারে তোমাদের আশীর্বাদ করবেন, আর তাতে তোমরা অনেক জাতির লোককে ঋণ দেবে, কিন্তু কারও কাছ থেকে তোমাদের ঋণ নিতে হবে না। তোমরা অনেক জাতিকে শাসন করবে কিন্তু কেউ তোমাদের শাসন করবে না।”
ঈশ্বরের আইনের বাধ্যতার ফল হবে: অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়া (ব্যক্তিগত ও জাতীয় ভাবে)
- কিন্তু মনে রাখতে হয় যে ফল দেখতে পাওয়া পর্যন্ত বেশ সময় দরকার > অল্প সময়ে বেশী পার্থক্য দেখা নাও যেতে পারে কিন্তু দীর্ঘ সময় পরে অবশ্যই পার্থক্য দেখা দেবে।
- উদাহরণ: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সু-অবস্থা ধীরে ধীরে উপরের দিকে ওঠে।
- উদাহরণ: পশ্চিমা দেশগুলো। আগের আইনশৃঙ্খলার কারণে অর্থনীতি এখনও শক্তিশালী কিন্তু তা হল ‘থেকে যাওয়া আশীর্বাদ’। লোকদের বর্তমান সিদ্ধান্তগুলো বেশীরভাগ ভাল না > অনুন্নত হবে।
“কারও কাছ থেকে তোমাদের ঋণ নিতে হবে না।” ভিন্ন অনুবাদ: “কারও কাছ থেকে ঋণ নেবে না।” তাই?

আধুনিক যুগে আমাদের দেশগুলো সম্পূর্ণ বিপরীত কাজ করে:
- বেশীরভাগ দেশ ভীষণ ঋণের মধ্যে আছে এবং ঋণ বাড়ছে।
- এমন না যে গরীব দেশ বেশী ঋণে, আসলে ধনী দেশগুলো সবচেয়ে বেশী ঋণী।
- এটা থামানোর জন্য বেশী বাস্তব পরিকল্পনাই নেই।
- মাত্র ৬০ বছর আগে বেশীরভাগ দেশই ঋণ মুক্ত ছিল।
- গত দুই প্রজন্ম চার প্রজন্মের অর্থ খরচ করে ফেলেছে। আমরা নাতি-নাতনীদের অর্থ ইতিমধ্যে খরচ করেছি।
- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই ‘বিল’ পরিশোধ করবে … মুদ্রাস্ফীতি, ধ্বংসের পরিবেশ, স্থায়িত্ব হারায়।
- এটা বিপদজ্জনক এবং এক ধরণের পাগলামি!


- বামের চার্টে দেখা যায় বিগত ১০০ বছর ধরে আমেরিা দেশের জাতীয় ঋণের বৃদ্ধি।
- ডানের চর্টে দেখা যায় আমেরিকার ঋণ GNPএর শতকরা হিসাবে।
- চার্টগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন যে জাতীয় ঋণের একটি বড় কারণ হল যুদ্ধ (১৯১৯, ১৯৪১-৪৫) এবং কল্যান (১৯৮০ সালের পরে)।
“কারও কাছ থেকে ঋণ নেবে না।” ঈশ্বর এই আদেশের মধ্যে দিয়ে কি অর্জন করতে চান? যদি কোন ঋণ নেওয়ার অনুমতি না থাকে তাহলে এটা দেশের জন্য কি করবে?
- এটা দেশকে নিজদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দৃষ্টি দিতে চাপ তৈরি করে, নিজের উৎস বা সামর্থ্যের দিকে তাকাতে সাহায্য করে।
- কাজ, সৃষ্টি, উন্নয়ন বা আবিষ্কার এর জন্য উৎসাহিত করে… অর্থপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে শিখায়।
- উদাহরণ: মহা আত্মা গান্ধীর নীতি ছিল ‘Buy India!’ মানে: ‘ভারতীয়েরা ভারতীয় জিনিস কিনুক!’।
- তা দ্বারা তিনি ভারতের শিল্প ও উৎপাদন বাড়িয়েছেন। ফলে আজকে এমন কিছু নেই যা ভারতে উৎপন্ন হয় না।


- বামের চার্ট দেখায় কিভাবে সুইজারল্যাণ্ড তাদের জাতীয় ঋণ কমাতে চেষ্টা করে, কিন্তু তারপরেও তা GNPএর তিন ভাগ – এবং এই দেশকে ‘ধনী’ বলা হয়!
- ডানের চার্ট দেখায় যে গ্রীস দেশের জাতীয় ঋণ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে – তা GNPএর প্রায় দ্বিগুন!
দেশ হিসাবে ঋণ দেওয়া কিন্তু ঋণ না নেওয়া
- ঋণ করা নিরুৎসাহিত, ঋণ দেওয়া অনুমানযোগ্য… এটা কি দুই ধরনের মানদণ্ড?
- জাতীয়ভাবে পরনির্ভরতা বা দাসত্ব কোনটাই ঈশ্বর চান না।
“কারও কাছ থেকে ঋণ নেবে না।” হয়তো কথাটি বাস্তবতার একটা সহজ বর্ণনাও।
- অর্থনৈতিক সামর্থ্য বা শক্তি তোমাকে প্রভাবশালী করবে, আপনি চান বা না চান।
- এটা কি একটি ভাল বিষয়ও হতে পারে?
- অর্থনৈতিক শক্তি এটার নীতিমালা রপ্তানি করবে বা অন্যদের কাছে যাবে।
- শক্তি <=> প্রভাব <=> নেতৃত্ব <=> নীতিমালা অন্য জাতিদের কাছে শেখানো।
- উদাহরণ: ইস্রায়েলের আহ্বান ছিল আশীর্বাদ পেয়ে আশীর্বাদ হওয়ার, এমন একটি সুঅবস্থার জাতি হওয়া, যা দেখে অন্য জাতিগুলো আকৃষ্ট হবে … যদিও ইতিহাসে তা অর্জিত হয়নি।
- ঈশ্বর যে কোনো একটি জাতির জন্য কি চান ও কি করতে ইচ্ছুক, ইস্রায়েল তার একটা আদর্শ (বর্তমান নয়, বাইবেলে বর্ণিত ইস্রায়েল)।
‘অস্থায়ী দাসত্ব’ বা ‘বন্দী শ্রম’ – দ্বিতীয় বিবরণ ১৫:১২-১৮
দ্বিতীয় বিবরণ ১৫:১২ “যদি কোন ইব্রীয় পুরুষ বা স্ত্রীলোককে তোমাদের কাছে বিক্রি করা হয়, তবে ছয় বছর তোমাদের কাজ করবার পরে সপ্তম বছরে তাকে অবশ্যই তোমাদের ছেড়ে দিতে হবে।”
এইটা হল ‘অস্থায়ী দাসত্ব’ বা ‘বন্দী শ্রমের’ পদ্ধতি
- একজন ইস্রায়েলীয় আর একজন ইস্রায়েলীয়ের দাস হওয়া নিষেধ ছিল।
- যদি একজন এমন ঋণে পড়ে যা পরিশোধ করার আশা নেই, তখন ঋণদাতা তাকে ‘বন্দী শ্রমিক’ হিসাবে দাবী করতে পারে বা আর একজনের কাছে ‘বন্দী শ্রমিক’ হিসাবে দিতে পারে।
- অথবা একজন ঋণে পড়লে সীমিত সময়ের জন্য নিজেকে ‘বন্দী শ্রমিক’ হিসাবে ‘বিক্রি’ করতে পারত।
‘বন্দী শ্রমিকের’ দায়িত্ব কি? যার জন্য সে কাজ করে, তার দায়িত্ব কি কি?
- বন্দী শ্রমিক অস্থায়ীভাবে মালিকের সেবা করে ও তার কাজে বা ব্যবসায় সাহায্য করে
- মালিক শ্রমিকে ও তার পরিবারকে দেখাশুনা করে, তাদের যোগান দেয় ও থাকার জায়গা দেয়।
- প্রত্যেক ৭ম বছরে (বিশ্রাম বছরের যখন ঘোষণা হয়) তখন সকল অস্থায়ী দাস বা বন্দী শ্রমিকদের ও তাদের পরিবারকে মুক্ত করতে হবে।
দ্বিতীয় বিবরণ ১৫:১৩-১৫ “ছেড়ে দেবার সময়ে তাকে খালি হাতে বিদায় করবে না। তোমরা তাকে খোলা হাতে তোমাদের পাল থেকে ছাগল ও ভেড়া, খামার থেকে শস্য এবং আংগুর মাড়াইয়ের জায়গা থেকে আংগুর-রস দেবে। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের যে পরিমাণে আশীর্বাদ করেছেন তোমরা সেই পরিমাণেই তাকে দেবে। মনে রেখো, মিসর দেশে তোমরাও দাস ছিলে এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের মুক্ত করেছেন। সেইজন্য আজ আমি তোমাদের এই আদেশ দিচ্ছি।”
- ছাড়ার সময়ে বন্দী শ্রমিককে খাবারও দিতে হবে, পশু-পাল, শস্যও দিতে হবে।
- তা দ্বারা তাদের একাই নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ও ব্যবসা শুরু করার ভিত্তি হয়ে যায়।
দাস বা বন্দী শ্রমিকদের জন্য ঈশ্বর কি সুযোগ তৈরি করতে চান?
- অর্থনৈতিক দুর্যোগে পড়লে বা ব্যবসার ক্ষেত্রে নিষ্ফল হলেও একটি নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
- বেঁচে থাকার ও পরিবারকে বাঁচানোর একটা পথ তৈরি করা।
- বন্দী শ্রমিক শুধুমাত্র ‘বাঁচে’ না, তার ভবিষ্যতে নতুন করে শুরু করার সুযোগও তৈরি।
- তা ছাড়া বন্দী শ্রমিক এই পদ্ধতিতে একজন সফল লোকের অধীনে কাজ করে। তা একটি শেখার সুযোগ ও উন্নত হওয়ার সুযোগও বটে।
- পরিশ্রম করা, শৃঙ্খলা, ভাল অভ্যাস ও প্রশিক্ষণ পাওয়া … এইগুলো ভবিষ্যতের জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বিতীয় বিবরণ ১৫:১৮ “দাস কিম্বা দাসীকে মুক্ত করে দেওয়াটা তোমার কোন কষ্টের ব্যাপার বলে মনে কোরো না, কারণ এই ছয় বছর সে তোমাদের জন্য যে কাজ করেছে তার দাম দু’জন মজুরের মজুরির সমান। তাদের মুক্ত করে দিলে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের সব কিছুতে আশীর্বাদ করবেন।”
পুরুষ এবং মহিলা শ্রমিকদের উদারভাবে পারিশ্রমিক দেওয়া
- নারী-পুরুষ সমান বেতন।
দ্বিতীয় বিবরণ ১৫:১৬-১৭ “কিন্তু তোমাদের ও তোমাদের পরিবারের লোকদের প্রতি ভালবাসার দরুন এবং তোমাদের কাছে সুখে আছে বলে যদি সেই দাস জানায় যে, সে তোমাদের ছেড়ে যাবে না, তবে তোমরা তার কানের লতি দরজার উপর রেখে তুরপুণ দিয়ে ছেঁদা করে দেবে; তাতে সে সারা জীবন তোমাদের দাস হয়ে থাকবে। তোমাদের দাসীর বেলায়ও তা-ই করবে।”
অস্থায়ী দাস বা বন্দী শ্রমিক যদি চায় স্থায়ীভাবে দাস হওয়ার সুযোগ ছিল
- তা দ্বারা বুঝা যায় যে এই পদ্ধতি ‘কঠোর শোষণ’ নাও হতে পারে, ভাল হতে পারে।
- পদ্ধতিটি ছিল দুইটি পরিবারের যোগ দেওয়ার, একটি দুর্বল পরিবার একটি সবল পরিবারে যোগ দেওয়া।
- পদ্ধতিটি ভাল হওয়ার একটা প্রত্যাশা আছে, তাই সম্পর্ক স্থায়ী করার সম্ভাবনা আছে।
এগুলির আধুনিক প্রয়োগ কি হতে পারে?
- ধারণা করুন যুবক-যুবতীদের সুযোগ দিচ্ছি আমার পরিবারে একসাথে থাকার জন্য, তারা আমার কাছ থেকে কাজ শিখবে, শেষে একটি প্রারম্ভিক মূলধন নিয়ে নিজে নতুন ব্যবসা শুরু করবে … এমনটা ভালই সুযোগ হত।
- শিক্ষানবিশ পদ্ধতি এর সাথে মিল আছে: ৩-৪ বছর প্রশিক্ষণ, কাজ করলাম, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা লাভ করলাম, পরে বেতন পেয়ে নিজেই শুরু করলাম।