পরিবার ১২ – প্রয়োজনীয় সীমানা

এই শিক্ষা ‘সীমানা নির্ধারণ করা’ নামে একটি বইয়ের ভিত্তিতে লেখা (‘Boundaries’ by H.Cloud, J.Townsend)

 
শিশু পর্যায়: সীমানা নির্ধারণ করার জন্য ভিত্তি স্থাপন                                    ০ থেকে ৫ মাস বয়স
  • সব কিছুর ভিত্তি হল যে শিশুর মা ও বাবার সাথে সুসম্পর্কে আছে। শিশুদের প্রধান প্রয়োজন হল যেন তাদের গ্রহণ করা হয়, যেন তারা নিরাপদে থাকে, যেন তারা অংশভুক্ত হয়, যেন তাদের নিয়ে আনন্দ করা হয়।
  • শিশুদের জন্য একটি ভালবাসার, যত্নের ও গ্রহণের পরিবেশ আবশ্যক, কিন্তুও যেন তারা এই পরিবেশ প্রত্যেক মুহূর্তে পায়। এক বার পাওয়া যায়, এক বার পাওয়া যায় না, এভাবে হলে শিশু কোনো নিরাপত্তার ভাব পাবে না।
  • এই পর্যায়ে শিশুদের প্রয়োজনগুলি মেটানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বাবা-মার উপস্থিত থাকা, ঘনিষ্ট সম্পর্ক, স্পর্শ করা, সাড়া দেওয়া, আলিঙ্গন করা, খাওয়ানো, পরিষ্কার রাখা, যত্ন নেওয়া, কথা শোনা ও তাকে নিয়ে আনন্দ করা। এই পর্যায় একটি শিশুকে একা একা রেখে দেবেন না, কান্না করলে সাড়া দেন, তাকে ভয়ে বা বিছিন্নতায় পড়তে দেবেন না।
  • প্রয়োজন মেটাতে মেটাতে শিশু একটি ভালবাসার, যত্নের ও অবিরত উপস্থিত মা ও বাবার ছবি অন্তরে রাখে।
  • বোধ হয় যে এই সময় শিশু নিজেকে মায়ের অংশ মনে করে এবং নিজেকে আলাদা ব্যক্তি হিসাবে বুঝে না। এইটাকে ‘ঘনিষ্ঠতায় ভরা’ও (swimming in closeness) বলা হয়।
  • যদি মা শিশুকে একা রাখেন তাহলে শিশু আতঙ্কিত হয়ে যায় এবং কেবল মাত্র মা-ই তাকে আবার সান্ত্বনা দিতে পারে।
  • অবিরত প্রয়োজন মেটানো ও উপস্থিত থাকা দ্বারা শিশু নিজেকে নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্ত মনে করে, যাকে ‘আবেগীয় দৃঢ়তা’ বা ‘আবেগীয় স্থিরতা’ বলা হয়। শিশুকে এভাবে ভালবাসলে তবে পরবর্তীতে যখন একা পড়বে আর তেমন ভয় পাবে না।
  • একটি প্রয়োজন বা দাবী মেটানো দেরী হলে (delay of gratification) তা মেনে নিতে একটি শিশুকে অবশেষে অবশ্যই শিখতে হবে, কিন্তু তার জীবনের প্রথম বছরে তা তাকে শেখাতে চেষ্টা করবেন না। তার চেয়ে প্রথম একটি নিরাপত্তার ভিত্তি স্থাপন করা আবশ্যক।
 
আলাদা হওয়া ও ব্যক্তিত্ব স্থাপন                                                         ৫ মাস থেকে ৩ বছর বয়স
  • শিশুর অন্তরে নিরাপত্তার ভাব ও ঘনিষ্ট সম্পর্কের নিশ্চয়তা পেতে পেতে শিশু আর একটি প্রয়োজন উঠে আসে: স্বচলিত ও স্বনির্ভর হওয়ার প্রয়োজন (need for autonomy or independence)।
  • শিশু নিজেকে আলাদা ব্যক্তি হিসাবে বুঝতে শুরু করে, ‘মা এবং আমি এক নই’।
  • এই পর্যায়ে ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়, শিশু নিজেকে মা থেকে আলাদা করে এবং তাতে প্রথম বার বুঝে যে তার আলাদা একটি পরিচয় আছে: ‘আমি মানে আমিই’।

প্রথম দিকে:                       আলাদা হওয়া                         ৫ থেকে ১০ মাস বয়স

  • শিশু ‘ঘনিষ্ঠতায় ভরা’ বা ‘মায়ের সাথে এক হওয়া’ থেকে বের হয়ে এখন বাইরের জগতের জন্য নিজের একটি স্বক্রিয় আগ্রহ প্রকাশ করে। শিশুর আলাদা হওযার প্রচেষ্টা নিরুৎসাহিত করবেন না।
  • শিশু এই বয়সে নিজেকে যথেষ্ট নিরাপদ মনে করে, তাই সে ঝুঁকি নিতে শুরু করে। সে কিছু থেকে বঞ্চিত হতে চায় না, সব কিছুতে অংশ গ্রহণ করতে চায়। মা ছেড়ে নিজে ঘুরতে চায়, নিজে সব কিছু আবিষ্কার করতে চায়। শিশু কৌতুহলী, আগ্রহী, নতুন যে কোনো কিছুতে মজা পায় ও শিখতে আকাঙ্খী।
  • বাবা-মা হিসাবে এই সময় শিশুর কেন্দ্র হওয়া ছেড়ে দেন, আপনার শিশুকে উৎসাহিত করেন অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে ও আপনাকে ছাড়া অনেক কিছু করতে। থাকার জায়গা এমনভাবে সাজান যেন শিশু নিরাপদভাবে তার জগতকে আবিষ্কার করতে পারে।
  • এই বয়সের শিশু এখনও ‘না’ শুনে তা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারে না এবং ‘না’ শুনে তেমন সাড়া দেয় না। বাবা-মা হিসাবে শিশুকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন, বিপদের সময়ে শিশুকে সমস্যা থেকে তুলে আনেন।
  • কিন্তু শিশুরা এখনও সহজে ভয় পায় এবং তাদের এখনও বাবা-মা খুবই দরকার। শিশুর যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক, নিরাপত্তা, ভালবাসা ও গ্রহণ প্রয়োজন। বাবা-মা হিসাবে তা যোগান দিতে থাকেন।

মাঝের দিকে: চর্চা করা            ‘এমন কিছু নয় যা পারি না!’            ১০ থেকে ১৮ মাস বয়স

  • শিশু এখন মাকে ছেড়ে নিজেই আবিষ্কার করতে চায়।
  • শিশুর বলশক্তি, কৌতুহল, আনন্দ ও সর্বক্ষমতার একটি ভাব আছে।
  • তারা সব কিছু করতে চেষ্টা করে এবং তাতে খুব মজা পায়, মাত্র যখন তাদের ‘আমি সব কিছু পারি’ এই চিন্তা বাস্তবতায় ভেঙ্গে যায় তখন চোখের জল ফেলে।
  • বাবা-মা হিসাবে শিশুর আনন্দে আনন্দিত হন এবং তাদের সমর্থন করুন, যদিও নিরাপত্তার কিছু সীমানা দিতে হয় যেন শিশুরা চর্চা করার জন্য নিরাপত্তার স্থান পায়।
  • শিশুরা এই সময় শিখে যে কিছু পেতে চাইলে কিছু করতে হয়, যে স্বক্রিয় আচরণ ও আগ্রহ বিস্তার দ্বারা অনেক কিছু সম্ভব। তাদের সে আনন্দ ও আগ্রহ নিরুৎসাহিত করবেন না, কিন্তু কিছু বাস্তব সীমানা নির্ধারণ করবেন এবং সেগুলি রক্ষা করতে থাকুন।
  • শিশুরা ‘না’ শুনে তা বুঝতে পারে এবং তাতে সাড়া দিতে শিখে। শিশু যদি ‘না’ বলে, যতদূর সম্ভব চেষ্টা করুন তা সমর্থন করতে। অবশ্যই তাদেরও শেখাতে হয় যে তারা পৃথিবীর কেন্দ্র-বিন্দু নয়, কিছু সীমানা ও ফলাফল মেনে নিতে শিখতে হবে।

শেষের দিকে: বাস্তবতায় নামা          ‘আমি সব কিছু পারি না’          ১৮ মাস থেকে ৩ বছর বয়স

  • বাচ্চা আগের চেয়ে বাস্তব চিন্তা করে, আগের সেই ‘সর্বক্ষমতার ভাব’ পরিণত হয় একটি আরো বাস্তব ‘আমি সব কিছু পারি না’ ভাবে। তারা বুঝে যে বাবা-মা এখনও অনেক প্রয়োজন যদিও শিশু এখন নিজস্ব ব্যক্তি হিসাবে সম্পর্কে আসে।
  • বাচ্চার নিজের সিদ্ধান্ত নিতে শিখতে হবে, কিন্তু তাদের এখনও ঘনিষ্ট সম্পর্ক, গ্রহণ ও নিরাপত্তা প্রয়োজন। বাবা-মা হিসাবে বাচ্চাকে সাহায্য করেন গ্রহণ করতে যে ‘সব কিছু পারা যায় না’ এবং তাদের নিজস্ব ব্যক্তি হতে সমর্থন দেন।
  • এটা অনেক চ্যালেঞ্জের একটি সময়। অনেক বার বাচ্চারা এই সময় বিরক্তিকর, ইচ্ছাকৃত বিরুদ্ধীয়, বদ-মেজাজী, সহজে বিরক্ত ও মাঝের মধ্যে এমন কি খুব রাগী হয়।
  • আপনার বাচ্চা যখন রাগ প্রকাশ করে, তা সমস্যার চেয়ে প্রয়োজনীয় ও সাহায্যকারী মনে করুন: রাগ উঠলে ব্যক্তি বুঝতে পারে যে কিছু ভাল চলে না, যে একটি সমস্যা চলছে যা হাতে নেওয়া দরকার। আবারও রাগ সাহায্য করে নিজে এবং অন্যদের আলাদা হিসাবে বুঝার জন্য।
  • বাচ্চারা এই বয়সে অনেক বার তাদের মালিকানা দাবী করে, খেলনা শেয়ার করতে চায় না ইত্যাদি। তা কেবল মাত্র ‘স্বার্থপরতা’ হিসাবে দেখবেন না, বরং তা দায়িত্ব নেওয়া বা দেখাশোনা শেখার ক্ষেত্রে আবশ্যক একটি বিষয়। ‘আমার’ এবং ‘তোমার’ মানে কি, দুইটা শিখতে হবে। বাবা-মা হিসাবে বাচ্চা যখন এখানে সীমানা নির্ধারণ করে (‘তুমি এই খেলনা নিতে পারবে না’) তা সম্মান ও সমর্থন করেন যেন বাচ্চা অন্যদের সীমানাও মানতে শেখে।
  • বাচ্চা যে, ‘না’ বলতে পারে, তা হল তার প্রথম সীমানার নির্ধারণ। তা দ্বারা তারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পায়, নিজেকে সুরক্ষা করতে শেখে এবং নিজের ক্ষমতা বুঝতে পারে।
  • বাবা-মা হিসাবে বাচ্চার সীমানা নির্ধারণকে উৎসাহিত করুন। অবশ্য তাদের প্রত্যেক ‘না’ মেনে নেওয়া যাবে না, কিন্তু কখনও একটি বাচ্চা ‘না’ বলার পরে শাস্তি হিসাবে আবেগের দিক দিয়ে নিজেকে আলাদা করবেন না।
  • বাবা-মা হিসাবে বাচ্চাকে সাহায্য করুন অন্যদের সীমানা নির্ধারণকে মেনে নিতে (‘সে যদি চায় না, তবে তুমি অন্য কিছু করো’)। বাচ্চাদের ‘না’ বলতে এবং অন্যদের একটি ‘না’ মেনে নিতে শিখতে হবে।
  • বাচ্চার বয়স অনুসারে উপযুক্ত সীমানা বা নিয়ম দেন এবং তাতে বাধ্যতা নিশ্চিত করেন কথা অনুসারে সাথে সাথে এবং প্রত্যেকবার ফলাফল নির্ধারণ করার মধ্য দিয়ে। বাবা-মা হিসাবে সাবধাণভাবে পছন্দ করুন কোন যুদ্ধে নামবেন বা নামবেন না।

৩ বছর বয়স যখন হয়ে যায় একটি বাচ্চার নীচে দেওয়া বিষয়গুলি শিখে ফেলা দরকার:

  • নিজের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিত্ব ছেড়ে না দিয়ে অন্যদের সঙ্গে আবেগের সম্পর্ক স্থাপন করা।
  • অন্যদের ভালবাসা হারানোর ভয় না করে উপুক্ত সময়ে ‘না’ বলার ক্ষমতা থাকা।
  • অন্যদের থেকে আবেগের দিক দিয়ে নিজেকে আলাদা না করে অন্যদের ‘না’ মেনে নেওয়া।
 
বাল্যকাল                                                                                    ৩ থেকে ৫ বছর বয়স
  • এই সময়ে লিঙ্গ অনুসারে ভূমিকা বাচ্চার মধ্যে উন্নত হয়। ভূমিকা অনুসারে নাটক বা কর্মকান্ড ঘটতে দেন। কে বাবা-মা এবং কে সন্তান, সে পার্থক্য বাদ দেবেন না।
  • সিদ্ধান্তের ও আচরণের ফলাফল নির্ধারণ করুন। ফলাফল বুঝাতে থাকুন যেন বাচ্চা তার ক্ষমতা, নিজের জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ ও দায়িত্ব বুঝতে শেখে। এমন ফলাফল নির্ধারণ করুন যা বয়স অনুসারে ও অপরাধের পরিমাপ অনুসারে।
  • সীমানা নির্ধারণ করার উদ্দেশ্য হল একটি স্বচালিত অনুপ্রেরণা, স্বনিয়ন্ত্রণ এবং নিজের আচরণের জন্য দায়িত্ব নেওয়া।
 
পরিশ্রম বা কাজের পর্যায়                                                                      ৬ থেকে ১১ বছর বয়স
  • এই সময়ে ছেলে-মেয়েদের কাজ করতে ও একটি উদ্দেশ্য বা দায়িত্ব পূর্ণ করতে শিখতে হয়। ছেলেরা ছেলেদের সাথে সময় কাটায়, মেয়েরা মেয়েদের সাথে।
  • ছেলে-মেয়েদের পরিকল্পনা করা, পরিশ্রম অভ্যাস করা ও শেষ না হওয়া পর্যন্ত একটি কাজে লেগে থাকা শেখা দরকার।
  • তাদের শিখতে হয় যে একটি আকাঙ্খা বা দাবী সাথে সাথে পূর্ণ নাও হতে পারে। তাদের উদ্দেশ্য বুঝা ও তা অনুসারে কাজ করতে শিখতে হবে। তাদের সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করতে শিখতে হবে।
 
যুবক-যুবতী পর্যায়                                                                            ১১ থেকে ১৮ বছর বয়স
  • অনেক বার ছোট শিশুর ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জ ছিল, সেগুলি আর একবার উঠে আসে, কিন্তু এবার প্রাপ্তদের বিষয় নিয়ে যেমন: লিঙ্গ ভিত্তিক পরিচয়, যৌনতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রাপ্ত মানুষের ব্যক্তিত্ব।
  • যৌন ক্ষেত্রে পরিপক্ক হওয়া এবং নিজের পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া হল এই পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ।
  • এই সময়ে বাবা-মা দিয়ে পরিচালনা ও তাদের উপর নির্ভরতা হ্রাস পাওয়া উচিত। বাবা-মা হিসাবে সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করবেন না, কিন্তু ভাল প্রভাব ফেলুন, তার স্বধীনতা ও সাথে দায়িত্ব বাড়িয়ে দেন, আগের সীমানা ও ফলাফল আলোচনা দ্বারা মূল্যাযন করুন ও পরির্বতন করেন বা নমনীয়তা বাড়ান।
  • আর জিজ্ঞাসা করবেন না ‘তাকে কিভাবে বাধ্যতায় আনতে পারি?’ বরং জিজ্ঞাসা করুন ‘যেন সে নিজেই বাঁচতে পারে, তাকে আমি কিভাবে সমর্থন দিতে পারি?’
  • যতদূর সম্ভব তাকে নিজের সীমানা নিজেই ঠিক করতে দেন (সম্পর্কের ক্ষেত্রে, টাকা-পয়সার ক্ষেত্রে, সময়ের ব্যবহারের ক্ষেত্রে, মূল্যবোধের ক্ষেত্রে)
  • যদি তারা সীমানা পার হয় তবে তাদের বাস্তব জীবনের বাস্তব ফলাফল ভোগ করা উচিত।
 
প্রাপ্ত বয়সের পর্যায়                                                                            ১৮ বছর থেকে বয়স
  • অনেকে বাসা ছেড়ে তাদের জীবনে আগায়, পড়াশোনা হোক, চাকরীর ক্ষেত্রে হোক, বিবাহ করার ক্ষেত্রে হোক।
  • বাইরে থেকে বা পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ আর নেই, অন্যদের দ্বারা নির্ধারণ করা নিয়ম বা সীমানা আর নেই, সময়ের ব্যবহার, কাজের মনোভাব বা টাকা খরচের বিষয়ে আর বাইরের পরিচালনা নেই। তাই অনেক স্বাধীনতা আছে ও সাথে অনেক দায়িত্বও আসে, ঘনিষ্ট সম্পর্ক, চুক্তি ও সমর্পন হল তারই সিদ্ধান্ত।
  • তাই এই পর্যায়ে নিজের জন্য ভাল নিয়ম, সীমানা ও মূল্যবোধ ঠিক করা হল প্রধান চ্যালেঞ্জ।
 
লক্ষ্য কি? শেষ ছবি কেমন হওয়া উচিত?
  • আত্ম-সুরক্ষা
  • নিজের প্রয়োজনের জন্য দায়িত্ব নেওয়া
    • সন্তানদের তাদের রাগ, বিরক্ত, দুঃখ, অন্যায় ভাব ইত্যাদি নিয়ে কথা বলতে দেন। তাদের আবেগ পরিবর্তন করতে চেষ্টা করবেন না।
    • বাবা-মায়ের কথা চিন্তা ছাড়া মেনে না নিতে, প্রশ্ন করতে ও আপত্তি উঠাতে উৎসাহিত করেন।
    • তাদের উৎসাহিত করেন তাদের নেতিবাচক আবেগও প্রকাশ করতে।
    • তারা যেন অন্যদের থেকে সব কিছু পাওয়ার আশা না করে বরং নিজের প্রয়োজন বুঝে ও তা মেটানোর জন্য স্বক্রিয় হয়।
  • নিজের জন্য দায়িত্ব নেওয়া
    • যেন বুঝে যে একজনের সাফল্য বা ব্যর্থতা বেশিরভাগ তারই উপর নির্ভর করে।
    • আমি ঈশ্বরের ও অন্যদের থেকে সান্ত্বনা ও দিক-নির্দেশনা পাই, কিন্তু আমি আমার নিজের সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী।
    • যদিও যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আমি আছি তা আমার জীবনের উপরে অনেক প্রভাব ফেলে, অবশেষে আমি অন্যদের দোষ দিতে পারব না বরং আমি আমার অবস্থার জন্য নিজেই দায়ী বা দোষী হব।
    • যদিও মানুষ হিসাবে মাঝে মধ্যে ব্যর্থ হই এবং অন্যদের সমর্থনের প্রয়োজন হয়, তবুও আমি সব সময় অন্যদের উপর নির্ভর করব, তাদের থেকে আশা করব না যে তারা আমাকে বার বার বিভিন্ন আবেগের, আর্থিক বা সম্পর্ক-সম্বন্ধীয় ঝামেলা থেকে রক্ষা করে।
  • নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও দায়িত্ব বোঝা
  • প্রয়োজন, দাবী বা উদ্দেশ্য সাথে সাথে পূর্ণ না হলে ,তা মেনে নেওয়া
  • অন্যদের সীমানাকে সম্মান করা