অর্থনীতি ০৮ – দারিদ্রতার হ্রাসকরণ

জমির প্রান্তে ফসল ছেড়ে আসা, কুড়াতে দেওয়া

লেবীয় ১৯:৯-১০       “ফসল কাটবার সময়ে তোমরা ক্ষেতের কিনারার ফসল কাটবে না এবং ক্ষেতে যা পড়ে থাকবে তা-ও কুড়াবে না। আংগুর ক্ষেত থেকে আংগুর তোলা হয়ে গেলে আবার তোমরা সেই ক্ষেতে আংগুর তুলতে যাবে না এবং পড়ে থাকা আংগুর কুড়াবে না। গরীব ও ভিন্ন জাতির লোকদের জন্য তা রেখে দিতে হবে। আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।”

২য় বিবরণ ২৪:১৯-২২  “তুমি ক্ষেত্রে আপন শস্য ছেদন কালে যদি এক আটি ক্ষেত্রে ফেলিয়া রাখিয়া আসিয়া থাক, তবে তাহা লইয়া আসিতে ফিরিয়া যাইও না; তাহা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকিবে; যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হস্তকৃত সমস্ত কর্মে তোমাকে আশীর্বাদ করেন। যখন তোমার জলপাইবৃক্ষের ফল পাড়, তখন শাখাতে আবার অবশিষ্টের অন্বেষণ করিবে না; তাহা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকিবে। যখন তোমার দ্রাক্ষাক্ষেত্রের দ্রাক্ষাফল চয়ন কর, তখন চয়নের পরে আবার কুড়াইও না; তাহা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকিবে। স্মরণে রাখিবে, তুমি মিসর দেশে দাস ছিলে, এই জন্য আমি তোমাকে এই কর্ম করিবার আজ্ঞা দিতেছি।”

  • ঐ সময়ের একটা কৃষিনির্ভর সমাজের উদাহরণ।
  • শস্য, তেল, আঙ্গুর…. ইস্রায়েলের প্রধান ফসল, প্রধান খাবার, জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয়: রুটি, তেল, পানিয়… বাংলাদেশে: ডাল, ভাত, সবজি।

ঈশ্বরের আদেশ কি?

  • মাঠের প্রান্তের ফসল ছেড়ে আস।
  • যা তোমার ছাড়া পড়েছে বা পড়ে গেছে, রেখে আস।
  • গাছ: একেবারে সব ফল সংগ্রহ কর না, সংগ্রহের সময় যা পাকে নি বা পড়েনি তা আবার সংগ্রহ কর না।
  • দ্রাক্ষালতা: যা নিচে পড়ে যায় তা সংগ্রহ করনা, কিন্তু শাখা-প্রশাখা থেকে প্রধান শস্য পাড়।

এর মানে কি?

  • জমির মালিক হিসেবে এবং জমিতে শ্রম দেওয়ার ফলে কৃষকের প্রধান শস্য সংগ্রহ করার অধিকার আছে > মালিকানা, শ্রমিক এবং শ্রমের গুরুত্ব রক্ষা করা।
  • কিন্তু আবার একেবারে হাড়কিপটে বা লোভী হইও না, বাকীগুলো জমিতে বা গাছে রেখে দাও, অন্যদের জন্য চিন্তা কর।
 
১ম প্রশ্ন: কাদের সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে? কে কে সাহায্য পাওয়ার যোগ্য?
  • গরীব এবং বিদেশী (লেবীয় পুস্তক অনুসারে) বিদেশী, এতিম, বিধবা (দ্বিতীয় বিবরণ অনুসারে)।

 

এই চার ধরণের লোকদের মধ্যে কি কি মিল আছে?

  • বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের ভুল ছাড়াই তারা কঠিন অবস্থায় পড়ে।
  • তাদের সুরক্ষা, ক্ষমতা ও সুযোগ কম।
  • তারা খুবই ছোট (এতিম), একাকী জীবন (বিধবা), দেশের বা পরিবারের সাথে যুক্ত না(বিদেশী) > তারা সমাজে সহজেই আঘাত বা ক্ষতির শিকার হয় (ভঙ্গুর অবস্থা), বেশিরভাগ সময়ে তাদের অধিকার হরণ করা হয় বা তাদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
  • অনেক সময় তাদের নিজের জমি থাকে না অথবা তারা দুর্বল বলে তাদের জমি থেকে বঞ্চিত করা হয় > পরিস্থিতি পিটন করার জন্য তাদের খুব সীমিত সুযোগ বা ক্ষমতা, তাদের ভিত্তি দুর্বল।

 

আর কাদের এই দলের সাথে মিল আছে?

  • অক্ষম? বিকলাঙ্গ? মানসিক রোগী? বৃদ্ধ-বৃদ্ধা? এমন যাদের নিজস্ব জমি নাই, নিজে শ্রম দিতে পারে না।
  • কাদের সাহায্য করার কথা উল্লেখ নেই? কে কে সাহায্য পাওয়ার যোগ্য নয়?
  • অলস, যাদের কাজ করার সামর্থ্য আছে, যাদের সুযোগ আছে, জমি আছে। কে যোগ্য এবং কে অযোগ্য সাহায্য পাওয়ার জন্য তার পার্থক্য তৈরি করা দরকার। কেন? কি হবে যদি আমি তাদের পার্থক্য তৈরি না করি?
  • আমি অলসতা ও দায়িত্বহীন হবার জন্য সুযোগ  দিই > কারণ যদি আমি বসে থেকে এবং ভিক্ষা করে একই পরিমাণে টাকা পাই, তাহলে কেন কাজ করব?
  • আমি কঠোর পরিশ্রমী ও বিশ্বস্ত লোকদের ধোঁকা দিই বা ঠকাই।
  • আমি তাহলে আরও গরীব বানাই।
২য় প্রশ্ন : আসলে কি দেওয়া হয়?
  • টাকা? চাল? ভাত? – এর কোনটাই নয়।
  • বরং, তাদের নিজেদের যোগার/আয় করার সুযোগ করে দিই, এই সুবিধা পেতে সুবিধাভোগীদের কি কি করা দরকার?
  • যা সবাই করে তা তাদেরও করা দরকার: কাজ, শস্য সংগ্রহ, মাড়াই করা, রান্না করা।
  • তাদেরও প্রয়োজনীয় দক্ষতার ব্যবহার শুরু করা দরকার (দক্ষতা উন্নয়ন)।
  • নিজের জন্য উদ্যোগ নেওয়া ও দায়িত্ব গ্রহণ করা।

আমাদের ‘সাহায্য’ দ্বারা অবশ্যই উৎসাহিত করা উচিত

  • কঠোর পরিশ্রম।
  • নিজে নিজে পদক্ষেপ গ্রহণ।
  • নিজের জন্য দায়িত্বগ্রহণ।      
  • দক্ষতার ব্যবহার ও উন্নয়ন।
  • স্ব-নির্ভরতা।
  • দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা বা পরিকল্পনা।

সাহায্য থেকে যা অবশ্যই হওয়া উচিত

  • নিজে নিজের যত্ন নিতে আরও সম্মানবোধ, পরনির্ভরশীলতা কমানো।
  • এর চেয়ে একটা ভাল জীবনের জন্য প্রশিক্ষণ, দক্ষতার উন্নয়ন।

আমাদের সাহায্য যদি এগুলো উৎসাহিত না করে, তাহলে আমাদের সাহায্য আসলে সাহায্য নয় > আরও খারাপ বিষয় হবে, যা আমরা প্রতিরোধ করতে চাই, ঠিক তাই আমরা উৎপন্ন করি, তা হল:

  • পরনির্ভরশীলতা 
  • দায়িত্ব হীনতা
  • প্যারালাইসিস/পক্ষাঘাতগ্রস্ত, অলসতা
  • অক্ষমতা
  • অন্যদের দোষারোপ করা
  • আরও গরীব, দারিদ্রতা
 
সামাজিক চাপ বা দায়বদ্ধতা

কি হবে যদি একজন ভিক্ষা চাইতে আসে?

  • “আমি এইমাত্র ধান কেটে সংগ্রহ করেছি, আপনি আমার ধান ক্ষেতে গিয়ে ধান কুড়াতে পারেন”।
  • যতক্ষণ পর্যন্ত আমার কিছু করার সুযোগ থাকে, আমার ভিক্ষা করার কোন অধিকার নেই।
  • নীতিমালা: যে সুযোগ দেওয়া হয় তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধতার রীতি থাকা দরকার।
নীতিমালার সারাংশ
  1. কে সাহায্য পাওয়ার যোগ্য ও কে যোগ্য নয় তাদের আলাদা করা।
  2. সাহায্য করা মানে সাহায্য প্রার্থীকে উৎপাদন করার সুযোগ দেওয়া।
  3. কঠোর পরিশ্রম, নিজে নিজে উদ্যোগ গ্রহণ, দায়িত্বশীল ও দক্ষতার উন্নয়ন করতে উৎসাহিত করা।
  4. দায়বদ্ধতার রীতি বা সমাজিক চাপ দরকার।
নীতিমালা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োগ ভিন্নভাবে হতে পারে
  • আইন সঠিকভাবে বুঝতে পারা। আইনের চেয়ে নীতিমালা বুঝা আরও গুরুত্বপূর্ণ।
  • লেবীয় ও দ্বিতীয় বিবরণ পুস্তকের আদেশগুলি আলাদা, সুবিধাভোগীরা ভিন্ন, ভিন্ন ভিন্ন ফসলের উদাহরণ দেওয়া এবং নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নির্দেশনা ভিন্ন, …. কিন্তু নীতিমালা ও এর পিছনের হৃদয় একই।
  • বিভিন্ন পদ্ধতি, একই নীতিমালার ভিত্তিতে পরিচালনা করার উদাহরণ:
  • সুইজারল্যান্ডে একশত বছর আগে পর্যন্ত, যখন তারা কৃষিনির্ভর ছিল: প্রত্যেক গ্রামে কিছু সার্বজনীন বা সাধারণ জমি ছিল, যা গ্রাম পরিষদ দ্বারা বিশেষ প্রয়োজনে কোন পরিবারকে সীমিত সময়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হতো।
  • উদাহরণ: একটা পরিবারের ফসল আগুনে পুড়ে গেল অথবা রোগে কোন গৃহপালিত পশু মারা গেল। তখন গ্রাম পরিষদ এই পরিবারকে সেই “সার্বজনীন জমি” হতে পারে ৩ বছরের জন্য দিতো > যদি সেই পরিবার কঠোর পরিশ্রম করত, তারা ভাল আয় করতে পারত (প্রচেষ্টা ও স্ব-উদ্যোগে)। কিন্তু যদি সেই সার্বজনীন জমি ভালভাবে চাষ করা না হত, প্রত্যেকে তা দেখত ও অভিযোগ করত (দায়বদ্ধতা)।
  • নীতিমালা হলো চিরস্থায়ী, কিন্তু পরিস্থিতি অনুসারে প্রয়োগ দেখতে ভিন্ন হতে পারে।
আজকে আধুনিক যুগে শহরের বস্তিতে কিভাবে আমরা এই নীতিমালা ব্যবহার করতে পারি?
  • রিক্সার মালিক ড্রাইভারের কাছ থেকে একটি নিদিষ্ট পরিমাণ টাকা রেখে দিতে পারে > যেন রাইভার নিজেই আস্তে আস্তে রিক্সার মালিক হতে পারে।
  • সেলাই প্রশিক্ষণ > উপার্জিত মজুরি সঞ্চয় করা যতক্ষণ পর্যন্ত মেশিনের দাম পরিশোধ না হয়।
  • ক্ষুদ্র ঋণ ছোট ব্যবসার জন্য > পুনরায় তহবিলে রাখা।
  • গরু কর্জ নেওয়া > দুধ উৎপাদন, আয় > বাছুর।
 
বাইবেলীয় উদাহরণ ‘রূত’
  • বৈৎলেহম গ্রামে এই আইনেরই খুব ভাল উদাহরণ হলো রুতের গল্প।
    • নাওমী (একজন বিধবা) এবং রুত (একজন বিধবা ও বিদেশী), মালিক ফসল সংগ্রহের পর ঐ জমিতে ফসল কুড়ানোর অধিকার আছে।
    • রুত স্ব-উদ্যোগী, কৃতজ্ঞ, কঠোর পরিশ্রমী এবং তার নিজের ও তার শাশুড়ির জন্য যোগান দেয়। তার মর্যাদা রক্ষা হয় এবং তাকে সম্মান দেখানো হয়।
 
যারা সক্ষম তাদেরকে  কাজ করার জন্য বাইবেলীয়  আদেশ
  • কাজ করতে সামর্থ্য কিন্তু কাজ না করে বরং অন্যের থেকে আশা করা; বাইবেলে নিষেধ করা হয়েছে। থিষলনীয়কীয়দের পৌল বলেন:
  • ১ থিষলনীকীয় ৪:১১  “আমরা তোমাদের যে আদেশ দিয়েছি সেইমত শান্ত জীবন কাটাতে, নিজের কাজে ব্যস্ত থাকতে এবং নিজের হাতে পরিশ্রম করতে বিশেষভাবে আগ্রহী হও।”
  • ২ থিষলনীকীয় ৩:১০  “তোমাদের কাছে থাকবার সময়েই আমরা তোমাদের আদেশ দিয়ে বলেছিলাম যে, কেউ যদি কাজ করতে না চায় তবে সে যেন না খায়।”
 
পুরাতন নিয়মে গরীবদের জন্য আরও কিছু সাহায্য করার পদ্ধতি
  • অভাবী প্রতিবেশীদের লাভ বা সুদ ছাড়া ঋণ দেওয়া (২য় বিবরণ ১৫:৭-১১)।
  • ঋণের সময়-সীমা ৭ম বছর হলে ঋণ মওকুফ করতে হবে (২য় বিবরণ ১৫:১-৩)।
  • সপ্তম বছরে সাময়িক দাসত্বের শ্রমিকদের মুক্ত করার পদ্ধতি। মুক্তির সময় নতুনভাবে শুরু করার জন্য শ্রমিককে নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ প্রদান করতে হবে  (২য় বিবরণ ১৫:১২-১)।
  • প্রতি ৫০ বছরে নিজের জমি ফিরে পাওয়া (লেবীয় ২৫:৮-১৩)।
  • প্রতি তিন বছরে দশমাংশ শুধুমাত্র লেবীয়দের নয় কিন্তু গরীবদেরও দেওয়া (২য় বিবরণ ২৬:১২-১৬)।
আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্রের যে সমস্যা

১৭৭৬-১৮৫০ খ্রিঃ আমেরিকায় দারিদ্রতা হ্রাসকরণের প্রচেষ্টা বাইবেলীয় নীতিমালা দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল:

  • গরীবেরা সাহায্য পাওয়ার যোগ্য।
  • মানবজাতি পতিত, তারা ভুল সিদ্ধান্ত নেয় > কোন ধরণের লোক ত্রাণ পাবার যোগ্য তা বুঝা দরকার।
  • প্রথমত নিজের পরিবারে সাহায্য করবে, তারপর ছোট সমাজ/গ্রাম তাদের পাশে দাঁড়াবে, কেন্দ্রীয় সরকার নয় > ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য, ব্যক্তিগত সম্পর্ক গরীবদের সাথে, দায়বদ্ধতা।

 

১৮৫০ খ্রিঃ থেকে জ্ঞানের যুগের (Enlightenment) প্রভাবে এই নীতিমালা ক্রমান্বয়ে বাদ দিতে থাকে:

  • সরকার দারিদ্রতা বিমোচন কারী হয়।
  • কারা ত্রাণ পাবার যোগ্য বা যোগ্য নয়, তার কোন পার্থক্য নেই, বড় ধরণের প্রকল্প, ব্যক্তিগত নয়। > অন্ধভাবে যাকে তাকে দেওয়া, জিনিস বিতরণ করা, গঠনগত বিষয় নিয়ে দোষারোপ করা।
  • লজ্জাবোধ এবং নিজের দায়িত্বশীলতা ধ্বংস করে। সরকার থেকে সাহায্য দাবী করা এবং ধনীদের থেকে আমার পাওয়ার অধিকার আছে এমন মনোভাব সৃষ্টি।
  • এটার ফলাফল: দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দিন দিন সমাজে বাড়ানো, দাতা ও দানশীল লোকেরা চাপের মধ্যে মনোদুঃখ পায়; সমাজ কল্যাণের খরচ গাণিতিক হারে বৃদ্ধি।
  • আমেরিকার সমাজ কল্যাণ খরচের উদাহরণ: (www.ssa.gov):
    • ১৯৩০  ২%      সাধারণ খরচের মধ্যে থেকে সমাজ কল্যাণে খরচ
    • ১৯৫০   ৯%     সাধারণ খরচের মধ্যে থেকে সমাজ কল্যাণে খরচ
    • ১৯৬০  ১০%    সাধারণ খরচের মধ্যে থেকে সমাজ কল্যাণে খরচ
    • ১৯৭০   ১৫%    সাধারণ খরচের মধ্যে থেকে সমাজ কল্যাণে খরচ
    • ১৯৮০  ১৮%     সাধারণ খরচের মধ্যে থেকে সমাজ কল্যাণে খরচ
  • আমেরিকার (স্কট অ্যালেন, FHI) মধ্যে নির্ভরশীল শিশুদের সঙ্গে পরিবারের সহায়তা (AFDC)
    • ১৯৫০   ৬.৪৭    লাখ পরিবার সাহায্য পাচ্ছে
    • ১৯৬০   ৭.৫৭    লাখ পরিবার সাহায্য পাচ্ছে        +১৭%
    • ১৯৭০   ১৫.৫৭  লাখ পরিবার সাহায্য পাচ্ছে        +১০৭%
    • ১৯৭৪   ১০৮     লাখ পরিবার সাহায্য পাচ্ছে        +৬৯০% !!
  • সারাংশ:  দারিদ্র বিমোচনের খরচ এত বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও প্রতি বছর দরিদ্রের সংখ্যা শতকরা ব্যাপক।
  • জাতীয় ভাবে আধুনিক পশ্চিমা দেশের ঋণের বড় কারণ হলো সমাজ কল্যাণ (পাশাপাশি সামরিক খরচ)।
 
‘সাহায্য’ সম্বন্ধীয় ভুল ধারণা
  • ‘আরও টাকা দিলে দারিদ্রতার সমাধান হবে। আসলেই যদি টাকা দিয়েই উন্নয়ন কেনা যেত তাহলে বাংলাদেশ সবচেয়ে উন্নত দেশ হতো।
  • Denis Peacocke: ‘গরীবেরা ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই থাকে যার ফলে তারা গরীবই থেকে যায়; এই বিষয়ে আমি অবাক হই’ (‘I keep being amazed at the poor choices the poor make’)।
  • উদাহরণ: গরীব এশিয়ান প্রবাসীরা জ্যামাইকায় ২-৩ প্রজন্মের মধ্যেই বাগানের মালিক হচ্ছে যেখানে জ্যামাইকার আদিবাসীরা এখনও তাদের জীবন ধারণের জন্য চাষ করছে। কি পার্থক্য? কোন পরিবেশগত পার্থক্য নেই (তারা উভয়ে একই মাটি, একই আবহাওয়া….শেয়ার করেছে) বরং মনোভাব ও কাজের নৈতিকতার পার্থক্য।