যোগাযোগ ০৪ – যীশুর কথা বলার ধরণ: একজন মহিলা প্রশংসা করে

যীশু কিভাবে মানুষের সাথে কথা বলতেন?
- সুসমাচারে যীশুর মানুষের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলার উল্লেখ পাওয়া যায়।
- লূক ১১:২৭-২৮ পদে যীশুর একটি মহিলার সাথে অল্প কথা হয়: “যীশু যখন কথা বলছিলেন তখন ভিড়ের মধ্য থেকে একজন স্ত্রীলোক চিৎকার করে বলল, “ধন্য সেই স্ত্রীলোক, যিনি আপনাকে গর্ভে ধরেছেন এবং বুকের দুধ খাইয়েছেন।”২৮ কিন্তু যীশু বললেন, “এর চেয়ে বরং তারা ধন্য যারা ঈশ্বরের বাক্য শোনে এবং সেইমত কাজ করে।”
- এই ঘটনা বুঝার জন্য আমাদের জানা দরকার ঠিক আগে কি ঘটেছিল। লূক ১১:১৪-২৬ ও মার্ক ৩:১৯-৩০ তার বর্ণনা দেয়।
- আমাদের আরো জানা দরকার যীশুর সময় যিহূদীরা মহিলাদের কি দৃষ্টিতে দেখত।
আগের ঘটনা: যীশুর মশীহ হওয়ার বিষয়ে ধর্ম-শিক্ষকদের তদন্ত
যতবার একজন নতুন গুরু বা মশীহ ধরণের লোক উঠত যিরূশালেমের ধর্ম নেতারা তার বিষয়ে তদন্ত করত। তদন্তের দুইটি ধাপ ছিল: প্রথমে তারা লোক পাঠিয়ে শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তির কাজ ও কথা ভালভাবে লক্ষ্য করে রিপোর্ট নিত। দ্বিতীয় ধাপ ছিল: তারা আবার লোক পাঠাত এবং ঐ ব্যক্তির কোন কাজ বা কথা তাদের কাছে দুশ্চিন্তার মনে হত, তবে তার সাথে তর্ক করত।
- যীশুর ক্ষেত্রেও তাই ঘটে। তারা প্রথমে লক্ষ্য করার জন্য লোক পাঠায় (মার্ক ২:১৫-২৭) পরে তর্ক করার জন্য লোক পাঠায় (লূক ১১:১৪-২৬ ও মার্ক ৩:১৯-৩০)।
- যখন যীশুর সাথে ঐ মহিলার কথা হয় তখন দেখা যায় যে তারা ইতিমধ্যে যীশুর দোষ ধরে: “ওকে বেল্সবূলে পেয়েছে। মন্দ আত্মাদের রাজার সাহায্যেই ও মন্দ আত্মা ছাড়ায়।” (মার্ক ৩:২২, লূক ১১:১৫)।
কেন তারা এই উপসংহার টানেন?
- প্রথম তদন্তে তারা খুঁজে বের করেন যে যীশু যিহূদীদের মৌখিক ঐতিহ্যগুলি তেমন পালন করেন না, যেগুলি তারা আবশ্যক মনে করে (মার্ক ২:১৫-২৭)।
- উদাহরণ: যীশু পাপীদের ও অযিহূদীদের থেকে নিজেকে আলাদা করেন না (মার্ক ২:১৬), যীশু নিয়মিত উপবাস রাখেন না (মার্ক ২:১৮) এবং বিশ্রামবারের নিয়মে কোনো গুরুত্ব দেন না (মার্ক ২:২৪)।
- এই সব কারণে তারা উপসংহার টানেন যে যীশু আইন মানেন না, তাই সে ঈশ্বর দিয়ে পাঠানো মশীহ নয়।
- যখন যীশু শক্তিশালী আশ্চর্য কাজ করেন তখন তাদের মধ্যে এই প্রশ্ন উঠে: এই ক্ষমতা কোথা থেকে পেয়েছে? যদি সে ঈশ্বর থেকে না হন তবে অবশ্যই তাঁর ক্ষমতা শয়তান থেকে আসে। তাই তারা তাঁকে মন্দ আত্মা-প্রাপ্ত হিসাবে ঘোষণা করেন।
তাদের উপসংহারের মধ্যে কি সংযুক্ত?
- বেলসবূল মূলত ছিল ফৈনীকীয়দের একজন দেবতা।
- এখানে নেতারা ‘বেলসবূল’ বা ‘মন্দ আত্মাদের রাজা’ শব্দ ব্যবহার করেন, যা মোটামুটি শয়তানকে প্রকাশ করে।
- তারা যীশুকে মন্দ আত্মা-প্রাপ্ত হিসাবে ঘোষণা করেন, এমন কি সবচেয়ে শক্তিশালী মন্দ আত্মা-প্রাপ্ত লোক মনে করেন।
- এখন: যীশু কার দ্বারা তাঁর আশ্চর্য কাজ করেন? পবিত্র আত্মা দ্বারা। তাই নেতারা তাদের কথা দ্বারা প্রকাশ করেন যে পবিত্র আত্মা হল শয়তান।
- এর জন্য যীশু তাঁর উত্তরে তাদের সাবধানবাণী দেন যে “পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে অপমানের কথা কখনও
ক্ষমা করা হবে না। সেই লোকের পাপ চিরকাল থাকবে” (মার্ক ৩:২৯)। - যীশু তাদের দুইটি যুক্তিগত উপমা ও একটি শক্তিশালী সাবধানবাণী দিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন:
- উপমা: শয়তান যদি শয়তানকে তাড়িয়ে দেন তবে তার রাজ্য ভাগ হয়ে যায় এবং টিকে থাকতে পারে না (মার্ক ৩:২৩-২৬)। বাসার বলবান লোককে না বেঁধে কেউ ঘর লূট করতে পারে না (মার্ক ৩:২৭)। যীশু তাদের উপসংহারের ভুল যুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করেন।
- সাবধানবাণী: যীশু বলেন পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে অপমানের কথা বলা ক্ষমা করা হবে না (মার্ক ৩:২৯)। কেন ক্ষমা করা হবে না?
- উত্তরটি সাধারণ: ঈশ্বরের ক্ষমা নির্ভর করে আমাদের অনুতাপের উপর। পবিত্র আত্মার কাজ হল আমাদের পাপের সম্পর্কে চেতনা দেওয়া ও পাপীকে অনুতাপের দিকে নিয়ে যাওয়া। যদি আমি পবিত্র আত্মার রবকে ‘শয়তানের রব’ মনে করি তবে আমি যে চেতনার রব যা আমাকে অনুতাপের দিকে নিয়ে যায়, তা অগ্রাহ্য করব। ফলে আমি অনুতপ্ত হব না > ফলে আমি ক্ষমা পাব না। এমন নয় যে ঈশ্বর ক্ষমা করতে চান না, বরং এইজন্য যে আমি অনুতপ্ত হতে অস্বীকার করি। ‘ক্ষমার অযোগ্য পাপ’ ঠিক এই: পবিত্র আত্মার চেতনা অগ্রাহ্য করতে করতে আমি নিজেকে ক্ষমা থেকে বঞ্চিত করি। যীশু সত্যিই ধর্ম-শিক্ষকদের সাবধানবাণী দেন এই ধরণের মনোভাব না রাখতে।
- এই ঝগড়া ও দ্বন্দ্বের মাঝখানে ভিড়ের মধ্য থেকে একজন মহিলা চিৎকার করে যীশুর বিষয় মন্তব্য করেন (লূক ১১:২৭)।
- “যীশু যখন কথা বলছিলেন তখন ভিড়ের মধ্য থেকে একজন স্ত্রীলোক চিৎকার করে বলল, “ধন্য সেই স্ত্রীলোক, যিনি আপনাকে গর্ভে ধরেছেন এবং বুকের দুধ খাইয়েছেন।”
- কি হচ্ছে? মনে হয় মহিলাটি ভিড়ের পিছন থেকে বুঝতে পারে নি যে ধর্ম-শিক্ষকদের সাথে যীশুর তর্ক হচ্ছিল। হতে পারে অনেক মানুষের সামনে একজন গুরুর সাথে কথা বলার জন্য মহিলাটি অনেক সাহস দেখিয়ে তা করল।
- তার কথা ও সে পরিস্থিতি বুঝার জন্য যীশুর সময়ে যিহূদীরা মহিলাদের কি চোখে দেখতেন তা জানা প্রয়োজন।
নতুন নিয়মের সময়ে মহিলাদের বিষয়ে যিহূদী গুরুদের দৃষ্টিভঙ্গি
পুরাতন নিয়মে ঈশ্বরের বাক্যে মহিলাদের অনেক সম্মানের চোখে দেখা হত কিন্তু নতুন নিয়মের যুগ পর্যন্ত মহিলাদের বিষয় যিহূদী গুরুদের দৃষ্টিভঙ্গি নীচু হতে থাকল। গুরুরা শিক্ষা দিতেন যে:
- পুরুষদের চেয়ে মহিলারা সহজেই পাপ করে
- পুরুষদের চেয়ে মহিলারা সহজেই প্রতারিত হয়।
- মহিলাদেরকে আইন-কানুন শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
- মহিলাদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করার প্রয়োজন নেই।
- মহিলাদের মধ্য দিয়ে করা চুক্তি বা প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গলেও সমস্যা ছিল না।
- আদালতে মহিলাদের সাক্ষ্য পুরুষদের সাক্ষ্যের চেয়ে কম গ্রহণযোগ্য ছিল।
- যদি একজন ধর্ম-গুরু মানুষের সামনে একজন মহিলার সঙ্গে কথা বলে তবে সে নরকেও যেতে পারে।
- ‘আঘাত প্রাপ্ত ফরীশীরা’ রাস্তায় হেটে বেড়ানোর সময় চোখ বন্ধ করে রাখত যেন কোনো মহিলা দেখতে না হয়।
- গুরু ইলীয়াসর বলতেন: ‘মহিলার হাতে তৌরাত দেওয়ার চেয়ে তা পুড়িয়ে ফেলা ভাল।’
- যিহূদী মিশ্না পুস্তকে লেখা আছে: ‘২জন পুরুষ ১০০জন মহিলার চেয়েও মূল্যবান।’
লূক ১১:২৭
ইতিমধ্যে পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় যে যীশু যিহূদী গুরুদের সঙ্গে একমত নন: তিনি মহিলাদের তাঁর কাছে আসার সুযোগ দেন। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন স্থানে শিক্ষা দেন যেখানে মহিলাদের আসা বন্ধ করা সম্ভব নয় (যেমন: রাস্তা-ঘাটে, সাগরের পাড়ে, পাহাড়ে, খোলা জায়গায়)।
- সকল মানুষের সামনে যীশুর সঙ্গে কথা বলা সে মহিলার জন্য ছিল সাহসের কাজ, বিশেষভাবে ধর্ম-শিক্ষকদের উপস্থিতিতে।
- কিন্তু মহিলাটি আসলে কি বলেছিল? “ধন্য সেই স্ত্রীলোক, যিনি আপনাকে গর্ভে ধরেছেন এবং বুকের দুধ খাইয়েছেন।” এর অর্থ আসলে কি?
- মূলত মহিলাটি যীশুর মা মরিয়মকে প্রশংসা করছিল। তা দ্বারা সে অবশ্যই যীশুকেও প্রশংসা করে ‘ধন্য সে মা যার এমন পুত্র আছে!’ সে যীশুর প্রশংসা করছিল ও তাঁর মঙ্গলময়তা ও যোগ্যতা স্বীকার করছিল।
- তার সে প্রশংসা ছিল সম্পূর্ণ সেই সময়ের একজন মহিলার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে: যেহেতু ধর্ম গুরুদের শিক্ষা অনুসারে একজন মহিলা নিজে ধর্মীয় জীবন-যাপন করতে পারে না, তাই তার জন্য সর্বোচ্চ সাফল্য যখন তার স্বামী একজন ধার্মিক মানুষ, অথবা তার চেয়ে বেশি: যখন তার পুত্র একজন ধার্মিক মানুষ। সে যীশুকে দেখে, তাঁর ধার্মিকতা দেখে তাঁর মাকে ধন্য বলে।
- কিন্তু হতে পারে যে তার সুন্দর প্রশংসার সাথে তিক্ততা, কষ্ট ও একটু হিংসা যুক্ত ছিল। মূলত সে বুঝাতে চাইছিল: ‘আমার যদি এমন ছেলে থাকত, তবে আমিও সম্মানিত হতাম, আমিও মূল্য পেতাম।’ আমরা তার পরিবার সম্পর্কে কিছু জানি না। তার হয়তো ধার্মিক সন্তান বা স্বামী ছিল, কিন্তু নাও হতে পারে। হয়তো সে বিধবা ছিল, বা নিঃসন্তান।
- তার প্রশংসার মধ্যে হয়তো নিরাশাও ছিল: ‘আমার কিছু করার নেই। আমার দেওয়ার মত কিছু নেই। আমার এমন কিছু নেই যা ঈশ্বর চাইবেন।’
- চিন্তা করে দেখুন যীশু যদি এমন উত্তর দিতেন যা আমরা উপযুক্ত মনে করি: ‘ধন্যবাদ আপনার প্রশংসার জন্য। হ্যাঁ, আমার মা মরিয়ম সত্যিই ধন্য।’
- তা শুনে মহিলাটির কেমন লাগত? যীশুর কৃতজ্ঞতা শুনে সে খুশী হত। কিন্তু তা পরিবর্তন আনত না: তার যীশুর মত সন্তান নেই, এইজন্য মহিলা হিসাবে তার কিছুই করারও নেই।
- যদিও এমন কৃতজ্ঞতার কথা শুনতে ভাল লাগত, কিন্তু তা দিয়ে মহিলাটির সাহায্য হত না, তা থেকে নতুন জীবন আসত না।
- পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় যে যীশু এমন কথা বলেন না যা মানুষ শুনতে চায় বা ‘তাদের খুশী করার জন্য’ সুন্দর কথা বলেন না। যীশু এই মিথ্যা থাকতে দিবেন না যে মহিলা হিসাবে তার কিছু দেওয়ার বা অংশ গ্রহণ করার নেই।
লূক ১১:২৮
- তার পরিবর্তে যীশু কি উত্তর দেন? “কিন্তু যীশু বললেন, “এর চেয়ে বরং তারা ধন্য যারা ঈশ্বরের বাক্য শোনে এবং সেইমত কাজ করে।”
- এটি প্রায় একটি ধমক এবং অবশ্যই একটি সংশোধন। এই ধরণের উত্তর সে আশা করে নি এবং ঐ সময় উত্তরটি তেমন ভাল লাগে নি।
- খেয়াল করুন যে যীশুর উত্তরটি সম্পূর্ণ লিঙ্গবিহীন: ঈশ্বরের বাক্য শোনা ও বাধ্য হওয়া। সবাই এতে অন্তর্ভুক্ত। এই আদেশটি এমন যা মহিলা হিসাবে সেও করতে পারে। মূলত যীশু তাকে বলেন:
- ‘তুমি আমাকে কিছু দিতে সক্ষম’
- ‘আমি তোমার বাধ্যতা চাই।’
- ‘ইতিমধ্যে তুমি আমাকে অনুসরণ করছ, আমার বাক্য শুনছ, সাহস দেখাচ্ছ ও বাধ্য হচ্ছ’
- ‘তুমি চিরদিন তোমার যে স্বামী বা সন্তান আছে (বা নেই) দ্বারা মূল্যায়িত হবে না।’
- সংস্কৃতি মহিলাদের উপর যে সীমাবদ্ধতা দিয়েছে যীশু তা অগ্রাহ্য করেন।
- মহিলার প্রশংসার পিছনে সে মিথ্যা ছিল, যীশু তা ভেঙ্গে ফেলেন।
- যীশু মহিলাটির জন্য দরজা খুলে দেন।
- যীশু শুধুমাত্র তার হৃদয় চান, যা সে দিতে সক্ষম।
- ইতিমধ্যে সে যীশুর প্রতি সাড়া দিয়েছে। তা না হলে সে সেখানে দাঁড়িয়ে যীশুর কথা শুনত না এবং সাহস করে কিছু বলত না। যীশু তাকে সত্যি প্রশংসা করেন ও উৎসাহ দেন, কিন্তু যেভাবে সে আশা করেছিল সেভাবে নয়।
- এবং হ্যাঁ, যীশুর মা মরিয়ম আসলে ধন্য কারণ মরিয়ম ঠিক তাই করেছেন: ঈশ্বরের বাক্য শুনেছেন ও বাধ্য হয়েছেন।
- এমন নয় যে যীশু তাঁর মাকে অস্বীকার করেন বরং তিনি এই মহিলাকে এবং সঙ্গে সব মহিলাদের মূল্য দেন।
- যীশু সত্য নিয়ে আসেন, এমন সত্য যা স্বাধীন করে।
- যীশুর যোগাযোগ তার জন্য আশা ও গুরুত্ব নিয়ে আসে: তার বাধ্যতাই ঈশ্বর চান।
- এবং যে ধর্ম-শিক্ষকরা যারা এই ঘটনার সাক্ষী হয়ে যান, তাদের কাছে যীশু কি প্রকাশ করেন?
ধর্ম-শিক্ষকরা যীশুকে মহিলার সঙ্গে কথা বলতে শুনেন
- কি মনে করেন ধর্ম-শিক্ষকদের মনে কি চিন্তা চলে?
- ‘সে সকলের সামনে একটি মহিলার সাথে কথা বলেন!’
- ‘সে নিজেকে কিভাবে ধার্মিক বলে যখন গুরু হিসাবে এমন ব্যবহার করেন?
- ‘আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কথার মাঝখানে সে কিভাবে একটি মহিলার কথার উত্তর দেয়?
- ‘সে কি জানে না কোনটা গুরুত্বপূর্ণ?’ ‘সে কি জানে না কে গুরুত্বপূর্ণ?
- মূলত তারা এইমাত্র প্রমাণ পেয়েছে যা তারা আগে থেকে চিন্তা করেছেন: যীশু ধার্মিক নন, তিনি ঈশ্বর থেকে নন, তিনি অবশ্যই মশীহ নন।
- এই আচরণের মাধ্যমে ধর্ম-শিক্ষকদের প্রতি যীশুর বাণী কি?
- যীশু তাদের আত্মিক অহংকারের ভাগী হবেন না, তাদের উঁচু-নীচু মনোভাব বা মানুষের নিয়ম বা ঐতিহ্য মানবেন না।
- যীশু মানুষকে মূল্য দেওয়ার একটি আদর্শ দেখান।
- যীশু নিজের সুনাম রক্ষা করার চেয়ে মহিলার প্রতি বেশি যত্ন দেখান।
- যীশু মহিলার মনোভাবকে প্রশংসা করা দ্বারা তাদের মনোভাবকে চ্যালেঞ্জ করেন।
- মহিলার মনোভাব ও সাড়া যীশুর জন্য আনন্দের কারণ।
প্রয়োগ
- যীশুর যোগাযোগের ধরণ কত চমৎকার! তিনি তোষামোদ করেন না, খুশী করার জন্য কিছু বলেন না, সস্তা কথা বলেন না, এড়িয়ে যান না, কখনও নীচু করেন না বরং অন্যের জন্য সর্বোচ্চ চিন্তা করে সত্য বলেন।
- যীশু চাপ নেন না, যা বলেন ভয় ছাড়া বলেন, তিনি যত্নশীল, সত্যে একশো ভাগ সমর্পিত ও সত্যিকারভাবে উৎসাহ দান করেন। যদি আমরা তাঁর মত যোগাযোগ করতাম!