যোগাযোগ ১২ – যোগাযোগের ভিত্তি
ঈশ্বরই যোগাযোগ
- বাইবেল আমাদের বলেন যে ঈশ্বর ত্রিত্ব ঈশ্বর (আদি ১:১-৩, মথি ৩:১০-১৭, মথি ২৮:১৯, যোহন ১:১-২)।
- ঈশ্বর যেহেতু ত্রিত্ব, তাই এর অর্থ এই যে তাদের মধ্যে অবশ্যই যোগাযোগ আছে।
- বাইবেল দেখায় যে ত্রিত্ব ঈশ্বরের মধ্যে ক্রমাগত যোগাযোগ চলছে (আদি ১:২৬, মথি ৩:১০-১৭, মার্ক ১:৩৫, যোহন ১৪:১০, যোহন ১৭)
- ঈশ্বর যে যোগাযোগ করেন তার প্রমাণ হল বাইবেল। যদি ঈশ্বর না চান যে আমরা জানি ও বুঝি তিনি কে, তবে কেন তিনি আমাদের ১০০০ পৃষ্ঠার একটি বই দেন?
- ঈশ্বর তাঁর মুখের কথা দ্বারাই এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন (আদি ১:৩-২৬)।
- যীশুকে বলা হয় ‘ঈশ্বরের বাক্য’ (যোহন ১:১-২, ইব্রীয় ১:১-২)।
- যীশু পিতাকে প্রকাশ করেন (যোহন ১৪:৯)।
- পবিত্র আত্মা আমাদের পূর্ণ সত্যে নিয়ে যাবেন (যোহন ১৬:১৩)।
- ঈশ্বরের সৃষ্টি – তাঁর হাতের কাজ – তাকে প্রকাশ করে (গীত ১৯:১)।
- ঈশ্বর কথা বলেন, প্রকাশ করেন, ঘোষণা করেন, দেখান, বুঝিয়ে বলেন, ইত্যাদি।
মানুষ হল যোগাযোগকারী
- মানুষ যেহেতু ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি সেহেতু মানুষও যোগাযোগকারী।
- মানুষ একা একা ও সম্পর্ক ছাড়া বাঁচতে পারে না।
- মানুষ এমনভাবে সৃষ্টি হয়েছে যে তারা সম্পর্ক স্থাপন ও যোগাযোগ ছাড়া টিকে না।
- যদি একটি শিশুকে শুধুমাত্র খাওয়ানো হয় কিন্তু কথা বলা বা স্পর্শ করা না হয় সে মারা যাবেই।
- ঈশ্বরের সমস্ত সৃষ্টি কিছু না কিছু প্রকাশ করে।
- মানুষের প্রত্যেকটি হাতের কাজ বা সৃষ্টি কিছু না কিছু প্রকাশ করে।
যোগাযোগ যদি হয়
- যোগাযোগ করার জন্য কি আবশ্যক? কি না থাকলে যোগাযোগ অসম্ভব?
- যোগাযোগের জন্য আবশ্যক বিষয়গুলো হল:
- ব্যাক্তি
- শুধুমাত্র এমন সত্তা যার আত্ম-সচেতনতা আছে সে যোগাযোগ করতে পারে।
- শুধুমাত্র এমন সত্তা যা চিন্তা ও সিদ্ধান্ত নিতে পারে সে যোগাযোগ করতে পারে।
- মানুষ সার্বভৌম, মানুষের নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ আছে।
- শুধুমাত্র যদি আমি বুঝতে পারি কোন চিন্তা আমার নিজের এবং কোন চিন্তা অন্যের থেকে আসে, তবে যোগাযোগ সম্ভব।

- শুধুমাত্র যদি আমি অন্যের থেকে আসা চিন্তা গ্রহন বা অগ্রাহ্য করতে পারি তবে যোগাযোগ সম্ভব
- যোগাযোগ মানে একটি উক্তি বা চিন্তা উপস্থাপনা করা ও আর একজনের উক্তি বা চিন্তা বিবেচনা করা
- আমার মনের বাইরেও একটি বাস্তবতা আছে।
- এমন একটি বাস্তবতা যা সম্বন্ধে যোগাযোগকারী ও যিনি শুনে উভয়ের কিছু জ্ঞান আছে।
- যদি আমার চিন্তার বাইরে কোনো বাস্তবতা নেই তবে আমি কোনো কিছুর সম্বন্ধে কিছু জানতে পারব না এবং তার সম্বন্ধে অন্যের সঙ্গে কোনো কিছু জানাতেও পারব না।
- শব্দের বাস্তব অর্থ আছে যা উভয় যোগাযোগকারী এবং শ্রোতা বুঝতে পারে।
- যদি সবাই একই শব্দের ভিন্ন অর্থ বুঝে তবে কোনো যোগাযোগ সম্ভব না কারণ আমার কথার বাস্তব অর্থ কেউ বুঝতে পারবে না।
- সত্য বলে কিছু আছে।
- যদি কোনো কিছু সত্য নয় তবে কিছু বলা সম্ভব না।
- যদি কোনো কিছু সত্য নয় তবে কিছু বলার দরকারও নেই।
মানুষের সার্বভৌমতা
- ঈশ্বর সার্বভৌম, তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও তা বাস্তবায়ন করারও ক্ষমতা আছে।
- মানুষ তাঁর প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি। তাই তারাও সার্বভৌম, তাদেরও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও তা বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা আছে।
- ঈশ্বর সৃষ্টিকর্তা ও আসল অধিকারী হিসাবে তিনি যত জিনিষের উপর চান তত জিনিষের উপর সার্বভৌম।
- মানুষ কিছু জিনিষের উপর সার্বভৌম, বিশেষভাবে নিজের উপর:
- সত্য উপস্থাপন করা হলে আমরা তা গ্রহণ বা অগ্রাহ্য করতে পারি।
- আমরা চেতনার রব বা বিবেকের প্রতি সাড়া দিতে পারি, অস্বীকারও করতে পারি
- আমরা চাইলে শুধুমাত্র কিছু বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারি, কিছু বিষয় বেছে না নিলে তা চোখে পড়বে না
- আমরা পরামর্শ অনুসরণ বা প্রত্যাখ্যান করতে পারি।
- আমাদের পাপ করা উচিত নয় কিন্তু আমরা পাপ করতে সক্ষম। চাইলে ঈশ্বরের সাথে অনন্তকাল থাকা অস্বীকারও করতে পারি।
- ভিন্ন মানুষ ভিন্ন বিষয় দেখতে পায়, ভিন্ন রকম চিন্তা করে ও ভিন্ন বিষয় নিয়ে সচেতন।
- আমাদের পূর্ব ধারণার প্রাধান্য অনুসারে আমরা সিদ্ধান্ত নেই কোন চিন্তা আমার মনে থাকতে দেব বা অগ্রাহ্য করব। আমাদের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তা ও জীবন দর্শন অনুসারে আমরা পৃথিবীকে দেখি।
- পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুসারে আমরা বর্তমান বিষয়ে অর্থ ও গুরুত্ব দেই।
- আদালতে যদি ২জন সাক্ষী ঠিক একই সাক্ষ্য দেয় তবে তা নকল বলে বাতিল করা হয়।
গণমাধ্যমের বা মিডিয়ার শক্তি?
- আমরা বিশ্বাসীরা মনে করি যে মিডিয়া অনেক শক্তিশালি। আমরা বলে থাকি যে
- টি.ভি. মানুষকে নষ্ট করে
- ভিডিও গেইম সেচ্ছাচারী মনোভাব তৈরী করে।
- আমি যদি কিছু শুনি বা দেখি তা কি আমাকে একই কাজ করতে বাধ্য করে?
- যদি মিডিয়া এত শক্তিশালী হয় তবে কেন ২৪ ঘন্টা খ্রীষ্টান সুসমাচার প্রচারকারী অনুষ্ঠান দ্বারা পৃথিবীর সবাইকে ধর্মান্তরিত করতে সক্ষম হয় না?
- এবং এক দিন পরে হিন্দু ধর্ম প্রচারকারী অনুষ্ঠান কেন পৃথিবীর সবাইকে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে সক্ষম হয় না?
- এটা কি আসলে এত সহজ?
- গণমাধ্যম নিজেই শক্তিশালী নয়। গণমাধ্যম ভাল অথবা মন্দ, সত্য অথবা মিথ্যা উপস্থাপন করতে পারে।
- লোকেরা মূলত যা শুনতে চায়, তাই গ্রহণ করে।
- লোকেরা মূলত যা দেখতে চায় বা যা পছন্দ করে, তাই দেখে।
- লোকেরা মূলত যা দিয়ে প্রভাবিত হতে চায়, তাই দেখে।
- মিডিয়া একটি প্রভাবক মাত্র। মিডিয়ার নিজের কোনো শক্তি নেই, কিন্তু আমরা তার সংবাদ গ্রহণ করলে মিডিয়াকে শক্তিশালী বানাই …অথবা গ্রহণ না করে তার প্রভাব অস্বীকার করি।
- ডেনিস পীককের উদ্ধৃতি: ‘হৃদয় যা পছন্দ করে মন তার জন্যই কারণ দাঁড় করায়।’
প্রভাবকে আরো শক্তিশালী করা
- উদাহরণ: একটি স্যাম্পুর বিজ্ঞাপন। যদি বিজ্ঞাপন দেখে চিন্তা করি ‘ওহ, আমার এই ধরণের চুল থাকলে, সবাই আমাকে খুব সুন্দরী বলত।’ তাহলে আমি এভাবে বিজ্ঞাপনের প্রভাবকে শক্তিশালী করি, এর পরামর্শ গ্রহণ করি, এর সংবাদ বিশ্বাস করি, বিজ্ঞাপনের সাথে একমত হই এবং এর মূল্যবোধ দ্বারা নিজেকে বিচার করি।
- কিন্তু যদি আমি বিজ্ঞাপন দেখে চিন্তা করি ‘হ্যাঁ, তার চুল খুব সুন্দর, অনেক লোকদের সুন্দর চুল আছে, এটা আর নতুন কি?’, তাহলে এই বিজ্ঞাপন আমার গায়েও লাগে না।
- সুতরাং: একটি সংবাদ জনপ্রিয় কিনা, তা দ্বারা আমি বুঝতে পারি না সংবাদটি কত শক্তিশালী, বরং শ্রোতাদের পছন্দ ও মূল্যবোধ কি, তা বুঝতে পারি।
- উদাহরণ: ১৮৫৯ সালে ডারউইনের বই ‘বিভিন্ন প্রজাতির উৎস’ (“of the origin of species”) সাথে সাথে জনপ্রিয় হয়েছিল, বইয়ের বৈজ্ঞানিক সঠিকতার কারণে না, বরং কারণ বইটিতে ছিল যা ইউরোপীয় উপনিবেশিক সম্রাজ্যগুলি শুনতে চেয়েছিল:
- ইউরোপীয় জাতি অন্য জাতিদের চেয়ে উন্নত ও উচু।
- দুর্বলদের উপর শক্তিশালীদের রাজত্ব করার অধিকার আছে।
- তাই সম্রাজ্য উপনিবেশগুলিকে শোষণ করতে অনুমোদিত।
- সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর বলতে কেউ নেই, ফলে নৈতিকতা নেই, অতএব আমি যা খুশি তাই করতে পারি।
ঈশ্বর কিভাবে যোগাযোগ করেন?
- ঈশ্বর সত্য প্রকাশ করেন।
- ঈশ্বর বুঝার ক্ষমতা দেন ও আমাদের চারিদিকের বাস্তবতা ব্যাখ্যা করেন।
- ঈশ্বর আমাদের দেখান: ‘যদি এইটা…তবে সেটা।’ তিনি আমাদের কাছে কারণ ও ফলাফল বুঝান।
- এখন আমি মানুষ হিসাবে ঈশ্বরের যোগাযোগ পেয়েছি বলে:
- আমি যা ইতিমধ্যে জানি তার সাথে ঈশ্বরের কথা তুলনা করতে পারি।
- আমি ঈশ্বরের যোগাযোগ মূল্যায়ন করেতে পারি এবং সত্য কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে পারি।
- আমি ঈশ্বরের যোগাযোগ গ্রহণ করতে পারি অথবা অগ্রাহ্যও করতে পারি …মানুষ আসলে সার্বভৌম।
- ঈশ্বর খুব সহজেই মানুষের সার্বভৌমত্বের উপর ক্ষমতা খাটাতে পারতেন
- কিন্তু তিনি আমাদের চিন্তায় সরাসরি প্রভাব ফেলেন না
- কিন্তু তিনি আমাদের হৃদয় বাধ্য হতে জোর করেন না।
- কিন্তু তিনি আমাদের আশ্চর্য কাজ দিয়ে অভিভূত করেন না, সুসমাচার জোর করে চাপিয়ে দেন না।
- ঈশ্বর এমনভাবে যোগাযোগ করেন যে আপনি চাইলে যে কোন মুহূর্তে তাঁর রব অস্বীকার করতে পারেন।
- ঈশ্বর পৃথিবীতে শিশু হিসাবে, দুর্বল ও সরলভাবে এসেছিলেন।
- যীশু পৃথিবীতে অনেক কণ্ঠস্বরগুলির মধ্যে একটি কণ্ঠস্বর হিসাবে আসলেন।
যীশু কিভাবে যোগাযোগ করেন?
- তিনি অনেক রবগুলির মধ্যে একটি রব।
- যেমন সবাই তাদের মতামত বা চিন্তা উপস্থাপনা করেন, ঠিক তেমনি যীশুও করেন।
- তিনি আশ্চর্য কাজ করেন কিন্তু যারা চায় তারা এগুলি বিশ্বাস নাও করতে পারে অথবা অন্য কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারে (যেমন ফরীশীরা)।
- তিনি নিজের কথা বুঝান কিন্তু তাঁর অসাধারণ বুদ্ধি দিয়ে এমন যুক্তি-তর্ক করেন না যা প্রত্যাখ্যান করা যায় না।
- তিনি বুঝিয়ে দেন, কিন্তু অনিচ্ছুক লোকদের জোর করেন না। অনেকে কিছু কথা শোনার পরেও চলে চায়।
- তিনি সব কিছু জানেন কিন্তু সে অসীম জ্ঞান দিয়ে লোকদের চাপিয়ে বা দাবিয়ে রাখেন না।
- তিনি নতুন চিন্তা প্রকাশ করেন, কিন্তু শুধুমাত্র এমন লোকদের কাছে যারা আগ্রহী।
- কেন যীশু দৃষ্টান্ত ব্যবহার করেন? কেন তিনি সরাসরি বিষয়গুলি বলেন না?
- দৃষ্টান্ত বা গল্প মনে রাখা সহজ (মৌখিক সংস্কৃতি)
- দৃষ্টান্ত বা গল্প মনোযোগ আকৃষ্ট করে, নতুন চিন্তা জাগায় ও হৃদয়ে চেতনা দেয়।
- লোকেরা চাইলে দৃষ্টান্তগুলি অর্থহীন হিসাবে বাদ দিতে পারে। কাউকে এর অর্থ বুঝতে জোর করা হয় না।
- দৃষ্টান্ত দ্বারা আগ্রহী ও যারা শুধুমাত্র দেখতে এসেছে, তাদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়।
- যতজন দৃষ্টান্তের অর্থ জানতে চায়, প্রত্যেকের কাছে যীশু অর্থ প্রকাশ করেন। কিন্তু সবাই জিজ্ঞাসা করতে আসে না (মার্ক ৪:১০-১১)।
কথা বলার স্বাধীনতা?
- যীশু কি বাক স্বাধীনতার পক্ষে? মানুষ যখন মিথ্যা বলে তখনও কি যীশু বাক স্বাধীনতার পক্ষে?
- যীশু স্বাধীনভাবে সত্য বলেছেন।
- যীশু তার বাক স্বাধীনতার অধিকার সুরক্ষা করেছেন।
- যীশ তার বিরোধীয়দের চ্যালেঞ্জ ও তাদের সাথে যুক্তি-তর্ক করেছেন, তাদের বিপরীতও বলেছেন।
- কিন্তু বিরোধীয়রা মিথ্যা বললেও যীশু তাদের মুখ বন্ধ করেন নি।
- যীশু শুধুমাত্র মন্দ আত্মাদের চুপ করার আদেশ দেন, মানুষদের নয়।
সত্য বনাম মিথ্যা
- যীশু বাক স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ান।
- উদাহরণ: গুটেনবার্গ ১৫২৫ সালে প্রথম ছাপাখানা তৈরী করেন। ছাপাখানা বাইবেল, পাঠ্যপুস্তক ছাপাতে পারে কিন্তু পর্নোগ্রাফিও ছাপাতে পারে। প্রবাদ: “কাগজে যে কোনো কিছু ছাপা যায়।’
- উদাহরণ: আধুনিক ইন্টারনেট
- অন্যদের মুখ বন্ধ করবেন না কিন্তু সত্য প্রকাশ করেন
- বাক স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ান, এমন কি বিরোধীদের বাক স্বাধীনতার পক্ষেও দাঁড়ান
- লোকদের পছন্দ করার সুযোগ দেন, তাদের সত্য জানান
- মন্দ বা মিথ্যা উপস্থিত। এর জন্য যা ভাল ও সত্য উপস্থাপন করেন যেন বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে।
- জিজ্ঞাসা করুন: কি বলা হচ্ছে না যা বলা আবশ্যক?
- ঈশ্বর বলেন যে লোকদের বেছে নেওয়ার সুযোগ দিলে, সত্য নিজেকে লোকদের কাছে প্রমাণিত করবে।
- ঈশ্বর বলেন যে অন্ধকারের চেয়ে আলো (সত্য) শক্তিশালী।
- সাধারণত গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সাথে দেশের উন্নয়ন সম্পর্ক যুক্ত।
- উদাহরণ: একটি দেবতাপূজারীতে পূর্ণ দেশে দানিয়েল।
- উদাহরণ: পৃথিবীর প্রথম খবরের কাগজ খ্রীষ্টানদের দিয়ে ছাপানো হয়েছিল।
- উদাহরণ: সোভিয়েত ইউনিয়নে ৭০ বছর সমাজতান্ত্রিক প্রচারণার পরেও শুধুমাত্র ২৫ ভাগ লোক প্রচারণায় বিশ্বাস করেছিল।
সারাংশ
- ঈশ্বর আমাদের নিয়ন্ত্রন করেন না কিন্তু তিনি আমাদের সত্য জানাতে আগ্রহী।
- ঈশ্বর নিশ্চিত করতে চান যে আমাদের বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে।
- কথা বা গণমাধ্যম একটি প্রভাব ফেলতে পারে যদিও তার মানুষের উপরে সরাসরি কোনো ক্ষমতা নেই।
- আমরা কথা শক্তিশালী করে তুলি যখন আমরা কথা গ্রহণ করি ও বিশ্বাস করি।
- ঈশ্বর মানুষকে সর্বভৌমতা দিয়েছেন। তিনি চান যে আমরা সত্য কি বা মিথ্যা কি, ভাল কি বা মন্দ কি বুঝতে ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শিখি।
- ঈশ্বর মন্দকে বা মিথ্যাকে সরিয়ে দেন না, লুকিয়েও রাখেন না। বরং তিনি নিশ্চিত করেন যে আমরা চাইলে সত্য পেতে পারি, যে আমরা মিথ্যা চিহ্নিত রেখে অগ্রাহ্য করতে পারি ও প্রজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেই।
সন্তানকে মানুষ করার ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ কি হতে পারে?
- বাবা-মা হিসাবে আমার দায়িত্ব হল একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সন্তানকে কিছু প্রভাব থেকে দূরে রাখতে। কিন্তু আমার লক্ষ্য হচ্ছে না তাকে জীবনের শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করতে থাকা।
- আমার লক্ষ্য হচ্ছে সন্তানদের এমন শিক্ষা দেওয়া যেন তারা সত্য বা মিথ্যা, ভাল বা মন্দ বুঝে এবং নিজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শেখে।
- নিজেকে কোন প্রভাবে রাখব বা কোন প্রভাব থেকে সরিয়ে নেব, তা শেখা হল প্রজ্ঞা।